মাতৃসূত্রে বিপুল অঙ্কে বিত্তলাভ হতে পারে। কর্ম ও ব্যবসায় ক্রমোন্নতি। ঈশ্বর চিন্তায় মনে শান্তিলাভ। ... বিশদ
শনিবার ষষ্ঠ দফার নির্বাচনে সকাল থেকে শান্তিতেই ভোটগ্রহণ চলছিল ঝাড়গ্রাম লোকসভা কেন্দ্রের গড়বেতায়। যদিও দুপুরের পর হঠাৎই খবরের শিরোনামে চলে আসে গড়বেতা। উত্তপ্ত হয়ে ওঠে গড়বেতা-১ ব্লকের খড়কুশমা অঞ্চলের মঙ্গলাপোতা গ্রাম। অভিযোগ, দুপুরে গড়বেতার বিজেপি নেতাদের নিয়ে গ্রামে ভোটগ্রহণ কেন্দ্রে পৌঁছন বিজেপি প্রার্থী প্রণত টুডু। তাঁকে ঘিরে ওঠে ‘গো ব্যাক’ স্লোগান। গ্রামবাসীদের অভিযোগ, সেই সময় প্রণতবাবুর দেহরক্ষী লাঠিচার্জ করে। তাতে জখম হন এক মহিলা সহ কয়েকজন তৃণমূল সমর্থক। তারপরেই তেতে ওঠে এলাকা। প্রণতবাবুর দিকে লাঠি, ইট, পাথর ছুড়তে ছুড়তে তেড়ে আসে একদল লোক। ইটের ঘায়ে জখম হন প্রণতবাবু ও তাঁর দুই নিরাপত্তারক্ষী। কয়েকজন বিজেপি বিজেপি কর্মী-সমর্থকও জখম হন। প্রার্থীর গাড়ি ভাঙচুর করা হয় বলে অভিযোগ।
জখম মহিলা সহ কয়েকজন তৃণমূলকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কিছুক্ষণ পর প্রণতবাবুও হাসপাতালে চিকিৎসা করাতে যান। সেই খবর পেয়ে হাসপাতালে পৌঁছন বিজেপি নেতা-কর্মীরা। তৃণমূলের অভিযোগ, হাসপাতালে ভর্তি তৃণমূল কর্মী সমর্থকদের ভিতরে ঢুকে বিজেপি লোকেরা মারধর করে, হুমকি দেয়। তাতেই পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়। ভোটের একেবারে শেষপর্বে গড়বেতার তৃণমূল বিধায়ক উত্তরা সিং হাজরা হাসপাতালে পৌঁছেই রণংদেহি মূর্তি ধরেন। গলায় পেঁচানো ওড়না বেঁধে নেন কোমরে। তারপর বলেন, কত বিজেপির দম হয়েছে, ডেকে নিয়ে আয়। এরপরই তাড়া করেন হাসপাতালে থাকা বিজেপি কর্মীদের। সেইসময় বিজেপি কর্মীরা পিছু হলে উত্তরা বলেন, পালাচ্ছিস কেন? আমি একা আছি। বিজেপির কত বড় বাপ আছে আয়। এই বলে চিত্কার করতে থাকেন। হাসপাতালে থাকা পুলিস অফিসার তাঁকে আশ্বস্ত করার চেষ্টা করলেও থামানো যায়নি।
বিধায়ক বলেন, এমনিতেই বুথে আমাদের কর্মীদের মেরেছে। এক মহিলার মাথা ফাটিয়ে দিয়েছে। তার উপর হাসপাতালে ঢুকেও আমাদের কর্মীদের মারবে? মস্তানি বের করে দেব। এদিকে বিধায়কের এই বণংদেহি মেজাজের ভিডিও ভাইরাল হয়ে গিয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। তৃণমূল বিধায়ক বলেন, আমাদের কর্মীদের মারধর করা হয়েছে। তাঁদের পাশে দাঁড়াতেই হাসপাতালে গিয়েছিলাম।
এনিয়ে গড়বেতার বিজেপি নেতা তথা দলের রাজ্য কমিটির সদস্য প্রদীপ লোধা বলেন, হাসপাতালে কোনও মারধরের ঘটনাই ঘটেনি। আসলে ফুটেজ খেতে উনি হাসপাতালে গিয়েছিলেন। পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত করার চেষ্টা করছিলেন। কিন্তু বিজেপির কর্মীরা তাঁর পাতা ফাঁদে পা দেয়নি।-নিজস্ব চিত্র