মাতৃসূত্রে বিপুল অঙ্কে বিত্তলাভ হতে পারে। কর্ম ও ব্যবসায় ক্রমোন্নতি। ঈশ্বর চিন্তায় মনে শান্তিলাভ। ... বিশদ
হলদিয়া বন্দরের জেনারেল ম্যানেজার (ট্রাফিক) অভয়কুমার মহাপাত্র বলেন, ঘূর্ণিঝড় নজরদারি ও মোকাবিলার জন্য বন্দর কর্তৃপক্ষ কন্ট্রোল রুম খুলেছে। আধিকারিকরা সেখানে দায়িত্বে রয়েছেন এবং ২৪ ঘণ্টাই কন্ট্রোল রুম খোলা। ঝড়ের জন্য বন্দরে আসা ৯টি জাহাজকে ডকের মধ্যে রাখা হয়েছে। নদী তীরে কোনও জেটিতে জাহাজ নেই। কয়লা, লৌহ আকরিকের মতো ড্রাই বাল্ক কার্গো ওঠানামা বন্ধ রয়েছে। তবে একটি ভোজ্যতেলের জাহাজ পাইপের মাধ্যমে পাম অয়েল খালাস করছে। শনিবার রাত ১০টা থেকে সোমবার দুপুর ২টো পর্যন্ত বন্দরের কাজ বন্ধ রাখা নির্দেশ দেওয়া হয়েছে নোটিস জারি করে। এক আধিকারিক বলেন, বন্দরের মূল সম্পদ বিভিন্ন ধরনের স্বয়ংক্রিয় হারবার ক্রেন। ৫০-৬০ কোটি টাকার দামি ক্রেনগুলিকে ঝড়ের সময়ে তার আর্ম নামিয়ে, লোহার কাছি দিয়ে হাতির পা বেঁধে রাখার মতো পাড়ে আটকে দেওয়া হয়। ঝড়ের ধাক্কায় ওই ক্রেন কোনওভাবে যাতে জলে না পড়ে যায় তার জন্যই এই ব্যবস্থা। বন্দরের শ্রমিক নেতা প্রদীপ বিজলি বলেন, যশের সময় বন্দরের লকগেট জলোচ্ছ্বাসে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। এবার লকগেট ঝড়ের ২৪ ঘণ্টা আগেই কার্যত সিল করে দেওয়া হয়েছে। লকগেট দিয়েই বন্দরের ডকে জাহাজ ঢোকে।
রবিবার সকাল থেকেই ঝোড়ো হাওয়ার সঙ্গে দফায় দফায় বৃষ্টি শুরু হয়েছে হলদিয়াজুড়ে। সন্ধেয় ঝোড়ো হাওয়ার গতি বাড়তে শুরু করে। দুর্যোগের আশঙ্কায় এদিন সকালে হলদিয়ার বাজারগুলিতে আপৎকালীন পরিস্থিতির জন্য জিনিসপত্র কেনার ভিড় ছিল। বিকেল থেকে রাস্তাঘাট কার্যত শুনশান হয়ে যায়। সকাল থেকেই দফায় দফায় লোডশেডিং হতে থাকে। তবে ঝড়ের গতি বাড়তেই বিকেল থেকে হলদিয়ার বিস্তীর্ণ এলাকা বিদ্যুৎহীন। পুর কর্তৃপক্ষ বিপর্যয় মোকাবিলা টিম গড়ে হলদির তীরে রায়রাঞ্যাচক, টাউনশিপ, হুগলি নদীর তীরে ঝিকুরখালি, দুর্গাচক এলাকায় মাইকিং করে সতর্ক করে বাসিন্দাদের। পুর প্রশাসক ও মহকুমা শাসক সুপ্রভাত চট্টোপাধ্যায় বলেন, বিপর্যয় মোকাবিলার সব ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। গাছ কাটার টিম তৈরি রয়েছে বিভিন্ন ওয়ার্ডে। চারটি জায়গায় ত্রাণশিবির খোলা হয়েছে। পুরসভার কর্মী চন্দন বেরা সহ কয়েকজন বিপর্যয় মোকাবিলা টিমের নজরদারি করছেন। ঘূর্ণিঝড়ের ভয়ে কাঁপছে সুতাহাটার হুগলি নদীর তীরে কুঁকড়াহাটির এড়িয়াখালির কয়েক হাজার বাসিন্দা। স্থানীয় বাসিন্দা বিজয় দাস বলেন, এড়িয়াখালিতে নদী বাঁধ বিপজ্জনক অবস্থায় রয়েছে। রাতে কী হবে বুঝতে পারছি না। যশের জলোচ্ছ্বাসের কথা ভেবে এলাকার মানুষের ঘুম উড়েছে। সুতাহাটা পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি অশোক মিশ্র এদিন নদী বাঁধ ঘুরে দেখেন। তিনি বলেন, পঞ্চায়েতের টিম বিপর্যয় ঠেকাতে রাত জাগছে।-নিজস্ব চিত্র