যে কোনও ব্যবসার বৃদ্ধি ও অর্থকড়ি আয় বৃদ্ধি। ধর্মাচরণে মনযোগ বৃদ্ধি। বন্ধুর শত্রুতায় ক্ষতি। ... বিশদ
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন সকালে গ্রামের সাইরুল শেখের জমিতে দু’টি ছাগল ধান খাচ্ছিল। ওই ছাগল দু’টি গ্রামের পঞ্চায়েত সদস্য মফেজা বিবির পরিবারের বলে দাবি। এনিয়ে দু’পক্ষের মধ্যে বচসা হয়। হঠাৎ করেই সাইরুলের পরিবারের লোকজন লাঠিসোঁটা নিয়ে চড়াও হয়। দু’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বেধে যায়। ব্যাপক ইট ছোড়াছুড়ি হয়। ইট ও লাঠির আঘাতে পঞ্চায়েত সদস্য সহ আরও ছ’জন জখম হন। বোমাবাজিও করা হয়। পুলিস পৌঁছলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে।
বাসিন্দারা জানান, গত পঞ্চায়েত ভোটে এখানে তৃণমূল কংগ্রেসের হয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন সারমিনা বিবি। তিনি নির্দল প্রার্থী মফেজা বিবির কাছে মাত্র সাত ভোটে হেরে যান। যদিও ভোটের পরে মফেজা বিবি তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দেন। গ্রামের গৃহবধূ সাইরা বানু বলেন, ওই দুই পরিবারের মধ্যে প্রায় দিনই গণ্ডগোল হয়। এদিন ধান জমিতে ছাগল নামা নিয়ে গণ্ডগোল হয়। প্রথমে ইট, পরে লাঠিসোঁটা নিয়ে সংঘর্ষ বেধে যায়। পরে বোমাও ফাটানো হয়।
জখম পঞ্চায়েত সদস্যার স্বামী আনসার শেখ বলেন, আমরা সবসময় ঝামেলা এড়িয়ে চলি। এদিন আমাদের লোকজন ঘটনার জন্য সাইরুলের কাছে ক্ষমা চেয়ে মিটিয়ে নিতে চেয়েছিল। কিন্তু, ওরা কোনও কথা না শুনে আমাদের উপর চড়াও হয়। সাইরুলের আত্মীয় আলম শেখ বলেন, কেউ কারও কাছে কোনও ক্ষমা চাইনি। দু’পক্ষই ক্ষমতা জাহির করতে থাকায় সংঘর্ষ বেধে যায়।
তৃণমূল কংগ্রেসের বহরমপুর মুর্শিদাবাদ সাংগঠনিক জেলা সভাপতি অপূর্ব সরকার বলেন, পুরনো রাগ ও গ্রাম্য বিবাদের জেরে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এরসঙ্গে দলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের কোনও ব্যাপার নেই।