গুরুজনের স্বাস্থ্য নিয়ে চিন্তা ও মানসিক উদ্বেগ। কাজকর্মে বড় কোনও পরিবর্তন নেই। বয়স্কদের স্বাস্থ্য সমস্যা ... বিশদ
রানাঘাট উত্তর-পূর্ব বিধানসভার ধানতলায় বিকেল ৫টা নাগাদ রোড শো এবং পথসভা করার কথা ছিল সুকান্ত মজুমদারের। কিন্তু, বৃষ্টির কারণে প্রায় আড়াই ঘণ্টা পর ধানতলা বাজারের সভামঞ্চে আসেন তিনি। বিকেল থেকে কর্মী সমর্থকরা সভা মঞ্চের সামনে ভিড় জমালেও বৃষ্টি এবং রাজ্য নেতার দেরি হওয়ার কারণে অনেকেই ফিরে যান। ততক্ষণ অবশ্য ছাতা মাথায় দিয়ে মঞ্চে দাঁড়িয়ে বক্তব্য রাখতে দেখা যায় বিজেপির জেলা নেতৃত্বের অনেককে। আর সেখানেই স্পষ্ট হয় সংগঠনের অন্দরে প্রার্থী জগন্নাথ সরকার বনাম কর্মীদের একাংশের বিভাজন। এদিন সন্ধ্যায় মঞ্চে দাঁড়িয়ে বিজেপি নেতা অরবিন্দ সাহা কর্মীদের উদ্দেশে বলেন, জগন্নাথ সরকার দলের অনেকের কাছেই পছন্দের, আবার অনেকের কাছেই অপছন্দের। কিন্তু, মনে রাখবেন এটা প্রধানমন্ত্রী হওয়ার ভোট। তাই জগন্নাথ সরকারকে দেখে নয়, নরেন্দ্র মোদিকে দেখে ভোট দিন।
সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা নাগাদ বৃষ্টির মধ্যেই মঞ্চে ওঠেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি। সঙ্গে ছিলেন রানাঘাট উত্তর-পূর্বের বিধায়ক অসীম বিশ্বাস, নদীয়া দক্ষিণ সাংগঠনিক জেলা বিজেপির সাধারণ সম্পাদক আশিসবরণ উকিল সহ অন্যান্য নেতারা। বিজেপি সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিনের সভামঞ্চে দাঁড়িয়ে নাগরিকত্ব নিয়ে রাজ্য সভাপতির বিস্তারিত বক্তৃতা দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু, ১০ মিনিটের বক্তব্যে তাঁকে শুধু বলতে শোনা গিয়েছে, নাগরিকত্ব নিয়ে তৃণমূল আপনাদের ভুল বোঝাচ্ছে। মিথ্যা প্রতিশ্রুতিতে কেউ পা দেবেন না। কারও ভোটার, আধার কার্ড বাতিল হবে না। কারও নাম বাদ গেলে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে নাম ফেরানোর দায়িত্ব সুকান্ত মজুমদারের। যদিও এনিয়ে পাল্টা কটাক্ষ করে রানাঘাট সাংগঠনিক জেলা তৃণমূলের সভাপতি দেবাশিস গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, ভোটের মাত্র তিন দিন আগে মঞ্চে দাঁড়িয়ে বিজেপির রাজ্য সভাপতিকে নাগরিকত্ব দিয়ে গ্যারান্টি দিতে হচ্ছে। ওদের নিজেদের নেতারাই এখনও পর্যন্ত সিএএর জন্য আবেদন করে দেখাতে পারেননি। মানুষ ওদের ভাঁওতা ধরে ফেলেছে। ভোটপ্রচারে রানাঘাট কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী জগন্নাথ সরকার।-নিজস্ব চিত্র