গুরুজনের স্বাস্থ্য নিয়ে চিন্তা ও মানসিক উদ্বেগ। কাজকর্মে বড় কোনও পরিবর্তন নেই। বয়স্কদের স্বাস্থ্য সমস্যা ... বিশদ
জেলা উপ-কৃষি অধিকর্তা (প্রশাসন) শিবনাথ ঘোষ বলেন, এখনও খুব বেশি বৃষ্টি হয়নি। জেলায় অর্ধেকের বেশি বোরো ধান কাটা হয়েছে। চাষিরা বৃষ্টিতে কিছুটা সমস্যায় পড়লেও আশা করছি, এখনই ধানের ক্ষতি হওয়ার মতো পরিস্থিতি হয়নি। তবে আমরা পরিস্থিতির উপর নজর রাখছি।
জেলা কৃষি দপ্তর সূত্রে খবর, এবার গরমের মরশুমে বীরভূমের প্রায় ৯৫হাজার ৭৭০হেক্টর জমিতে বোরো ধান চাষ হয়েছিল। যা কৃষি দপ্তরের টার্গেটকেও ছাপিয়ে গিয়েছিল। চাষের শুরু থেকেই এবার ঝাড়খণ্ডের ম্যাসাঞ্জোর ড্যাম এবং সিউড়ির ময়ূরাক্ষী নদীর ব্যারেজ থেকে পর্যাপ্ত জল দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছিল সেচ দপ্তর। মাঝে তীব্র গরমে জলের কিছুটা টান দেখা দিলেও শেষ পর্যন্ত সুষ্ঠুভাবেই চাষ সম্পন্ন হয়েছে। প্রায় অর্ধেক জমিতে ধান কাটা শেষ। কিন্তু বোরো চাষের শেষ মুহূর্তে বৃষ্টি শুরু হওয়ায় চাষিরা কিছুটা সমস্যায় পড়েছেন। তাঁরা জানান, বৃষ্টির কারণে জল দাঁড়িয়ে গেলে ধানগাছের গোড়া পচে যাবে। বেশি বৃষ্টি হলে গাছ নুইয়ে পড়বে। ফলে ফসলের ক্ষতি হবে।
এখন বেশিরভাগ জায়গায় যন্ত্রের সাহায্যে চাষিরা ধান কাটছেন। তাই ধান কাটতে সময়ও কম লাগছে। কিন্তু যেসব চাষি কাস্তে দিয়ে ধান কাটছেন, তাঁদের কিছুটা সময় বেশি লাগছে। গত দু’দিনে জেলাজুড়ে গড়ে প্রায় ৩৪.৮মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে। বৃহস্পতিবার দুপুরের পর থেকে ফের বৃষ্টি শুরু হয়েছে। আগামী কয়েকদিনে বৃষ্টির পরিমাণ বৃদ্ধি পেলে চাষিরা বেশি সমস্যায় পড়বেন। বৃষ্টিস্নাত সিউড়ি। নিজস্ব চিত্র