যে কোনও ব্যবসার বৃদ্ধি ও অর্থকড়ি আয় বৃদ্ধি। ধর্মাচরণে মনযোগ বৃদ্ধি। বন্ধুর শত্রুতায় ক্ষতি। ... বিশদ
সদ্য বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলের যোগ দিয়েছেন সন্তোষ রায়। তিনি বলেন, সিএএ ধাপ্পা ছাড়া আর কিছুই নয়। নাগরিকত্বের জন্য কেউ আবেদন করবেন না। বিজেপি ফাঁদে ফেলতে চাইছে। ৩৪ বছর ধরে এই দলটার সঙ্গে ছিলাম। এখনকার বিজেপি আর আগের মতো নেই। ওরা মানুষকে সমস্যায় ফেলার কৌশল নিয়েছে। তৃণমূলের প্রবীণ নেতা স্বপন দেবনাথ বলেন, বিজেপি সরকার চেষ্টা করলেও নাগরিকত্ব কাটতে পারবে না। এ কথা দিদি দিয়েছেন। শেষ রক্তবিন্দু পর্যন্ত তিনি লড়াই করবেন।
শনিবার সেলিমাবাদে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় সভা করতে এসেছিলেন। তীব্র দাবদাহের মাঝে জামালপুর এলাকার বাসিন্দারা বেশি সংখ্যায় ভিড় জমিয়েছিলেন। জেলা তৃণমূলের সভাপতি রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়, জামালপুর ব্লকের তৃণমূলের সভাপতি মেহমুদ খান, অলোক মাজি সহ জেলার নেতারা উপস্থিত ছিলেন। তাঁরাও একাধিক ইস্যুতে বিজেপিকে তোপ দাগেন।
তৃণমূলের দাবি, সিএএ একটা ফাঁদ ছাড়া অন্য কিছুই নয়। আধার কার্ড নিষ্ক্রিয় করে বিজেপি এনআরসির অ্যাসিড টেস্ট করতে চেয়েছিল। রাজ্য সরকারের চাপে পড়ে তাদের পরিকল্পনা ভেস্তে যায়। বিজেপির পাল্টা দাবি, সিএএ নাগরিকত্ব দেওয়ার আইন। কারও নাগরিকত্বের অধিকার কেড়ে নেওয়া হবে না। বিজেপি প্রার্থী অসীম সরকার বলেন, তৃণমূল মানুষকে ভুল বোঝাচ্ছে। বিজেপি সরকার কারও নাগরিকত্বের অধিকার কেড়ে নেবে না।
তবে আধার কার্ড নিষ্ক্রিয় হওয়ার চিঠি পাওয়ার পর জামালপুরের বাসিন্দাদের আতঙ্ক এখনও কাটেনি। এদিনের সভায় তাঁদের ভিড় সেটা আরও একবার প্রমাণ করেছে। তাঁদের বিশ্বাস, তৃণমূল ছাড়া তাঁদের পাশে কেউ থাকবে না। দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একাধিক মঞ্চ থেকে তাঁদের পাশে দাঁড়ানোর আশ্বাস দিয়েছেন।