সাংগঠনিক কর্মে বড় সাফল্য পেতে পারেন। উপস্থিত বুদ্ধি আর সাহসের জোরে কার্যোদ্ধার। বিদ্যায় সাফল্য। ... বিশদ
খাদ্যদপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, ফর্টিফায়েড চাল দেওয়ার পাশাপাশি বাঁকুড়ায় রেশন সামগ্রীর ওজন নিয়েও নানা পদক্ষেপ নিচ্ছে রাজ্য। ওজন যন্ত্রের সঙ্গে ই-পসের সংযুক্তি হবে। চাল সহ অন্যান্য রেশন সামগ্রীর যা ওজন হবে, তা ক্যাশমেমোতে লেখা থাকবে। খাদ্যদপ্তরের এক আধিকারিক বলেন, রেশনে অনেক সময় কম সামগ্রী দেওয়ার অভিযোগ ওঠে। তাই এই কাজে স্বচ্ছতা আনার জন্য ওজন যন্ত্রের সঙ্গে ই-পসের সংযুক্তি হবে। এরফলে ওজন সংক্রান্ত অভিযোগের নিষ্পত্তি হবে।
খাদ্যদপ্তর জানিয়েছে, আগামী এপ্রিল মাসে ওই সংযুক্তি বাঁকুড়ার বিভিন্ন রেশন দোকানে পাইলট প্রজেক্ট হিসেবে নেওয়া হবে। মে মাস থেকে তা জেলার সব রেশন দোকানেই বাধ্যতামূলক করার ব্যাপারে হাঁটছে খাদ্যদপ্তর। সমস্যা সমাধানের জন্য গ্রাহকরা তাঁদের প্রাপ্য সামগ্রীর সঙ্গে ক্যাশমেমোর পরিমাণ মিলিয়ে দেখে নিতে পারবেন। তারসঙ্গে আঙুলের ছাপ দিয়ে যাঁদের রেশন সামগ্রী তুলতে অসুবিধা হয় তাঁদের জন্য চোখের রেটিনা স্ক্যান করার যন্ত্রও বসেছে অধিকাংশ দোকানে।
উল্লেখ্য, গত বছরের এপ্রিল মাস থেকে অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র ও মিড ডে মিলে ফর্টিফায়েড চাল দেওয়া হচ্ছে। তবে ফর্টিফায়েড চাল নিয়ে বিভ্রান্তির জেরে জেলার বিভিন্ন প্রান্তে ক্ষোভ-বিক্ষোভ ছড়ায়। অনেকেই সেটিকে প্লাস্টিক চাল ভেবে প্রতিবাদ জানান। পরে প্রশাসনের আধিকারিকরা সেখানে গিয়ে বুঝিয়ে বিক্ষোভ তোলেন। তাই ফর্টিফায়েড চাল নিয়ে সচেতনতা প্রচার চালিয়েছে খাদ্য দপ্তর। খাদ্য দপ্তরের এক আধিকারিক বলেন, পুষ্টিকর এই চালে আয়রন, ফলিক অ্যাসিড, ভিটামিন বি ১২ প্রভৃতি পুষ্টিগুণ রয়েছে। স্বাস্থ্যের পক্ষে এই ফর্টিফায়েড চাল উপকারী। শিশু, প্রসূতিদের এই চাল কাজে লাগবে।
বাঁকুড়া জেলা রাইস মিল অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক তারাপদ মহাপাত্র বলেন, পুষ্টির জন্য প্রত্যেক রেশন গ্রাহককেই ফর্টিফায়েড চাল দেওয়া হবে। রাইস মিলগুলি সংশ্লিষ্ট পুষ্টিকর চাল বাইরে থেকে কিনে আনছে। পরে চালকলে তা মিশ্রণ করা হচ্ছে। এজন্য ব্লেন্ডিং মেশিন বসানো হয়েছে। ৪৪টি রাইস মিল পুষ্টিকর চাল সরবরাহ করবে।