কাজকর্মে পরিশ্রম ও ব্যস্ততা বৃদ্ধি। ছোট ও মাঝারি ব্যবসায় অগ্রগতি। অর্থাগম যোগটি অনুকূল। ... বিশদ
এদিকে, শুক্রবার পাঁশকুড়ার মেচগ্রামে বড়মা মাল্টি স্পেশালিটি হাসপাতাল থেকে ন’জন আক্রান্ত সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গিয়েছেন। তাঁদের প্রত্যেককে ১৪দিনের হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় মহিষাদল ব্লকে দু’জন, এগরা-১ব্লকে দু’জন, ময়না ব্লকে দু’জন এবং ভগবানপুর-২ব্লকে একজন করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। মহিষাদল ব্লকে তেথিবাড় গ্রামে ৩০বছর বয়সি একজন এবং চক দ্বারিবেড়িয়া গ্রামের ২৫বছরের এক যুবতী করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। এগরা-১ব্লকের ছত্রী গ্রামের ২৪বছর বয়সি এক পরিযায়ী শ্রমিক, ষড়রং গ্রামের ২৩বছর বয়সি আরেক পরিযায়ী শ্রমিক করোনায় আক্রান্ত। দু’জনেই মহারাষ্ট্র থেকে ফিরেছিলেন। তাঁদের বড়মা মাল্টি স্পেশালিটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ময়না ব্লকে বিষ্ণুমিশ্রচক গ্রামে ২২বছর বয়সি এক পরিযায়ী শ্রমিক করোনা আক্রান্ত। এছাড়া ওই ব্লকের কলাগেছিয়া গ্রামে কলকাতা পুলিসে কর্মরত এক যুবক করোনা আক্রান্ত। ভগবানপুর -২ব্লকে এক্তারপুর গ্রামে ২৩বছর বয়সি এক পরিযায়ী শ্রমিকও করোনা আক্রান্ত হয়েছেন।
পশ্চিম মেদিনীপুর জেলায় মেদিনীপুর সদর ব্লকে রানিপাটনা গ্রামে আড়াই বছরের শিশু ও তার মা করোনা আক্রান্ত। মহারাষ্ট্র থেকে তাঁরা ফিরেছিলেন বলে জানা গিয়েছে। গড়বেতা-১ব্লকে খড়কুশমা গ্রামে তিনজন পরিযায়ী শ্রমিক করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। দিল্লি থেকে ওই তিনজন বাড়ি ফিরেছিলেন। কেশপুরের ঝেঁতলা গ্রামের ২৫বছর বয়সি এক পরিযায়ী শ্রমিক, কলাগ্রামে ২২বছর বয়সি এক পরিযায়ী শ্রমিক এবং আমরাকুচি গ্রামে ২৪বছর বয়সি অপর এক পরিযায়ী শ্রমিক করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। সবং থানার খড়িকা গ্রামে এক ব্যক্তি করোনা আক্রান্ত। তিনি কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। সেখানেই তাঁর নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছিল। তাঁর করোনা পজিটিভ রিপোর্ট এসেছে। এদিন স্বাস্থ্যদপ্তরের পক্ষ থেকে এলাকার ১৯টি পরিবারকে নিয়ে কন্টেইনমেন্ট জোন চিহ্নিত করে সিল করে দেওয়া হয়েছে।
ঘাটাল মহকুমায় মোট চারজন করোনা আক্রান্ত। তারমধ্যে দাসপুর-১ব্লকের তিনজন এবং চন্দ্রকোণা-১ব্লকের একজন করোনা আক্রান্ত। দাসপুর-১ব্লকের মধ্যে বাড় কাশেমপুর, সুরানারায়াণপুর এবং গোপীনাথপুরের তিনজন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। চন্দ্রকোণা-১ব্লকের জাড়া হাটপুকুর এলাকার একজন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। প্রত্যেকেই স্বর্ণশিল্পী এবং পরিযায়ী শ্রমিক। বিভিন্ন রাজ্য থেকে তাঁরা ফিরেছিলেন। এছাড়াও দাসপুর থানার নবীনশিমুলিয়া গ্রামে ৪৫বছর বয়সি একজন জ্বর ও কাশি নিয়ে ২জুন ঘাটালের একটি নার্সিংহোমে ভর্তি হন। পরদিন সেখান থেকে ঘাটাল মহকুমা হাপাতালে তাঁকে রেফার করা হয়। ওইদিন তাঁকে মেদিনীপুরে কোভিড হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথে মারা যান। ওই ব্যক্তির করোনা টেস্টের জন্য নমুনা নেওয়া হয়েছিল। বৃহস্পতিবার তাঁর পজিটিভ রিপোর্ট এসেছে।