ব্যবসা ও পেশায় ধনাগম ভাগ্য আজ অতি উত্তম। বেকারদের কর্ম লাভ হতে পারে। শরীর স্বাস্থ্য ... বিশদ
সিএমইআরআইয়ের অধিকর্তা হরিশ হিরানি বলেন, অতি সংক্রামিত এই রোগে আক্রান্তদের চিকিৎসা করার ক্ষেত্রে চিকিৎসক, স্বাস্থ্যকর্মীরা যাতে সংক্রামিত না হন, সেই ভাবনা থেকেই এটি প্রস্তুত করা হয়েছে। রোগীর কাছে না গিয়েও এর মাধ্যমে প্রায় সবকাজই করতে পারবেন স্বাস্থ্যকর্মী ও চিকিৎসকরা।
অন্যদিকে দুর্গাপুর এনআইটির অধিকর্তা অনুপম বসু বলেন, অত্যন্ত উন্নত মানের মাস্ক কম খরচে প্রস্তুত করা সম্ভব হয়েছে। এটির আরও উন্নয়ন করার কাজও চলছে। আশাকরি চিকিৎসক স্বাস্থ্যকর্মীদের এটি অত্যন্ত উপযোগী হবে।
করোনা রোগীর চিকিৎসা করতে গিয়ে ইতালিতে রেকর্ড সংখ্যায় চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মী করোনায় আক্রান্ত হয়েছিলেন। ভারতের মুম্বইয়েও একাধিক হাসপাতালের চিকিৎসক, স্বাস্থ্যকর্মী করোনায় আক্রান্ত হন। এই রাজ্যেও চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীরা আক্রান্ত হয়েছেন। তাই বিষয়টি নিয়ে যথেষ্ট চিন্তায় চিকিৎসক মহল। দূর থেকে যন্ত্রমানবের মাধ্যমে চিকিৎসা করার ভাবনা উঠে এসেছে বিদেশেও। এই ধরনের রোবট প্রস্তুত হয়েছে দিল্লিতেও। এবার দুর্গাপুরের সিএসআইআর-সিএমইআরআইও এই ধরনের রোবট প্রস্তুত করল। তবে সংস্থার দাবি, এটি সর্বাধুনিক। যার মূল্য মাত্র পাঁচ লক্ষ টাকা। এর ছ’টি ড্রয়ার রয়েছে। যা রিমোটের মাধ্যমে কাজ করে। রোগীর কাছে খাবার, ওষুধ, পৌঁছে দেওয়া থেকে প্রয়োজনীয় নমুনা সংগ্রহ করে রাখা সম্ভব। সবচেয়ে সুবিধা হল ইউভি রে-এর মাধ্যমে ড্রয়ারগুলি নিজে নিজেই ডিসইনফেকশন হয়ে যাবে। ২০ কেজি পর্যন্ত সামগ্রী পরিবহণ করতে পারে ৮০ কেজির এই বিশেষ মেশিন। ৫০০ মিটার দূর থেকেই রিমোটের মাধ্যমে একে অপারেট করা যায়। উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, এই রোবট একবার যে রাস্তায় যাবে, পরের বার সেখানে যেতে তাকে আর গাইড করতে হয় না। অডিও, ভিডিও সিস্টেম থাকায় সহজেই রোগীর সঙ্গে চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের দূর থেকেই নিবিড় যোগাযোগ স্থাপন সম্ভব হবে।
অন্যদিকে, এনআইটি দুর্গাপুর কিছুদিন আগেই একটি প্রাথমিক ভেন্টিলেটর প্রস্তুত করে চমক দিয়েছিল। এবার অধ্যাপক শিবেন্দু শেখর রায় ও তিন পড়ুয়া ধ্রুবজ্যোতি গুপ্ত, অমিতকুমার বল ও অনন্যা নাথ মিলে বিশেষ মাস্ক প্রস্তুত করেছেন। প্রস্তুতকারকদের দাবি, থ্রি-ডি প্রিন্টার টেকনোলজি ব্যবহার করে মুখ ও নাককে ঘিরে রাখবে এমন একটি পলিমারের কাঠামো প্রস্তুত করা হয়। এরপর সেই কাঠামোর ভিতরের দিকে এন ৯৫ মাস্কে ব্যবহৃত ফিল্টার বা মেমব্রেন লাগানো হয়। প্রয়োজন হলে সেই মেমব্রেন পাল্টে ফের সেই পলিমারের স্থায়ী কাঠামোতে লাগিয়ে পুনারায় নতুনের মতো ব্যবহার করা যায়। মাত্র ২৫০ টাকা খরচেই এটি বানানো সম্ভব হয়েছে।