বিদ্যার্থীরা শুভ ফল লাভ করবে। মাঝে মাঝে হঠকারী সিদ্ধান্ত গ্রহণ করায় ক্ষতি হতে পারে। নতুন ... বিশদ
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বাঁকুড়া জেলার সীমান্ত লাগোয়া ঝাড়গ্রাম জেলার এটেলার কাছে তারাফেনি নদীর কুশমোড়া ঘাটে এদিন সকালেই হড়পা বান চলে আসে। যার ফলে ৫ নম্বর রাজ্য সড়কের কজওয়ের উপর দিয়ে জল ছুটতে থাকে। এদিন সকাল থেকে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। ঘটনার কথা জানতে পেরে স্থানীয় সিভিক ভলান্টিয়ারদের নদীর দু’পাশে মোতায়েন করা হয়। প্রায় ৯ ঘণ্টা ঝাড়গ্রাম-বাঁকুড়া দুই জেলার যাতায়াত বন্ধ ছিল। ছুটির দিন থাকায় চাকরিজীবীদের খুব একটা সমস্যায় পড়তে হয়নি। তবে নিত্যযাত্রী এবং সাধারণ মানুষ খুবই অসুবিধার মধ্যে পড়েন।
ঝাড়গ্রাম থেকে এদিন রাইপুরে মেয়ের বাড়ি যাচ্ছিলেন সুবীর মোদক। সুবীরবাবু বলেন, তারাফেনি নদীর জল কজওয়ের উপর দিয়ে যাচ্ছিল। তাই বাসের সমস্ত যাত্রীকে সেখানে নামিয়ে দেওয়া হয়। আবার আমরা ঝাড়গ্রাম ফিরে আসি। ঝাড়গ্রাম-বাঁকুড়া রুটে কোনও গাড়ি যাতাযাত করতে পারেনি।
প্রসঙ্গত, ২০১২ সালের ৬ সেপ্টেম্বর দুপুরে এই ৫ নম্বর রাজ্য সড়কের উপরে বাঁকুড়া জেলার ফুলকুশমা পেরিয়ে মোটগদা যাওয়ার পথে ভৈরববাঁকি নদীতে আচমকা হড়পা বান চলে আসে। দুপুরে ঝাড়গ্রাম থেকে ছেড়ে একটি যাত্রীবাহী বাসটি বাঁকুড়ার দিকে যাচ্ছিল। পুরো বাসটি জলের তোড়ে ভেসে গিয়েছিল। তারপর রাজ্য সরকার ভৈরববাঁকি নদীর উপরে নতুন ব্রিজ তৈরি করে। প্রায় তিন বছর আগে ওই ব্রিজটি চালু হওয়ায় আর অসুবিধার মধ্যে পড়তে হয়নি সাধারণ মানুষজনকে। স্থানীয় বাসিন্দা যামিনী মাহাত, স্বপন সিংহরা বলেন, ভৈরববাঁকিতে ব্রিজ হলেও এখানে তেমন কোনও উদ্যোগ দেখা যায়নি। ঝাড়গ্রাম জেলা পরিষদের সভাধিপতি মাধবী বিশ্বাস বলেন, বিষয়টি আমরা আলোচনা করে দেখছি। ঝাড়গ্রামের জেলাশাসক আয়েষা রানি এ বলেন, জেলা পরিষদ থেকে যাতে ব্রিজ করা যায়, সেই বিষয়টি দেখা হচ্ছে।