বিদ্যার্থীরা শুভ ফল লাভ করবে। মাঝে মাঝে হঠকারী সিদ্ধান্ত গ্রহণ করায় ক্ষতি হতে পারে। নতুন ... বিশদ
উল্লেখ্য, এবছর সময়মতো বর্ষা না আসায় ইলিশের আকাল দেখা গিয়েছে। গত ২৫-২৬জুলাই দীঘা মোহনায় ১০টন ইলিশ ওঠে। আকাশছোঁয়া দামে সেই ইলিশ বিক্রি হয়ে যায়। তারপর গত ৬থেকে ৮আগস্ট বঙ্গোপসাগরে দীঘা-ওড়িশা উপকূলজুড়ে নিম্নচাপ সৃষ্টি হওয়ায় মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে যেতে নিষেধ করা হয়। যেসব মৎস্যজীবী গভীর সমুদ্রে ছিলেন, তাঁদেরও দ্রুত ফিরে আসার বার্তা পাঠানো হয়। যার ফলে নিম্নচাপ এবং পুবালি হাওয়ায় ইলিশের আনাগোনা বাড়লেও মৎস্যজীবীরা সমুদ্রে নামতেই পারেননি।
৯আগস্ট থেকে সমুদ্রে যাওয়ার ব্যাপারে নিষেধাজ্ঞা উঠতেই ঝাঁকে ঝাঁকে মৎস্যজীবী ট্রলার এবং ইলিশ ধরার উপকরণ নিয়ে সমুদ্রে রওনা দিয়েছেন। দীঘায় মাছ ধরার জন্য মোট সাড়ে ৪হাজার অনুমোদনপ্রাপ্ত ট্রলার আছে। তারমধ্যে একসঙ্গে প্রায় আড়াই হাজার ট্রলার সমুদ্রে চলে গিয়েছে। সঙ্গে গিয়েছেন ২০-২৫হাজার মৎস্যজীবী। অনুমান, মৎস্যজীবীরা ফিরতে শুরু করলেই ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ মিলবে। সেই সঙ্গে এই মুহূর্তে মহার্ঘ্য ইলিশের দাম তখন অনেকটাই সাধারণের নাগালের মধ্যে থাকবে।
আগস্টের মাঝামাঝিতেও ইলিশের খরা এর আগে কবে হয়েছে, তা মনে করতে পারছেন না মৎস্যজীবী থেকে ব্যবসায়ীরা। ইলিশ যেমন বাঙালির রসনাতৃপ্তি করে তেমনই এর সঙ্গে হাজার হাজার মৎস্যজীবী পরিবারের রুজি-রুটির সম্পর্ক জড়িয়ে আছে। তাই ষোলোআনা আশা নিয়ে শনি ও রবিবার হাজার হাজার মৎস্যজীবী ইলিশের সন্ধানে গভীর সমুদ্রের উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন। ইলিশের জোগান বাড়লেই স্বাভাবিক নিয়মে দাম কমবে।
দীঘা ফিশারমেন অ্যান্ড ফিস ট্রেডার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক শ্যামসুন্দর দাস বলেন, বঙ্গোপসাগরে গভীর নিম্নচাপের জেরে গত ৬-৮ আগস্ট দীঘা উপকূলজুড়ে লাল সতর্কতা ছিল। তাই পর্যটকরা যেমন হোটেলবন্দি ছিলেন, তেমনই মৎস্যজীবীরাও সমুদ্রে যেতে পারেননি। নিম্নচাপ সরে যেতেই গত দু’দিনে দু’-আড়াই হাজার ট্রলার নিয়ে ২০-২৫ হাজার মৎস্যজীবী সমুদ্রে রওনা দিয়েছেন। চার-পাঁচদিন পর থেকেই ওই সব ট্রলার মোহনায় ফিরতে শুরু করবে। এবছর এখনও সেভাবে ইলিশ মিলছে না। গত ২৫-২৬ জুলাই নাগাদ ১০টন ইলিশ উঠেছিল। ৬০০-৭০০ওজনের ইলিশ প্রতিকেজি ১০০০-১২০০টাকায় বিক্রি হয়েছে। সাধারণ মানুষের পক্ষে এত টাকায় ইলিশ কেনা সম্ভব নয়। আমাদের আশা, এবার হয়তো পর্যাপ্ত ইলিশ ধরা পড়বে। সেক্ষেত্রে দামও অনেকটা নাগালের মধ্যে থাকতে পারে।
প্রতি বছর ১৫আগস্ট স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে বিপুল সংখ্যক পর্যটক দীঘায় আসেন। এবছরও দীঘায় প্রায় প্রতিটি হোটেল বুকিং হয়ে গিয়েছে। বলা বাহুল্য, এই সময় ইলিশের জোগান থাকলে পর্যটকদের মুখেও চওড়া হাসি ফুটবে।