পারিবারিক সম্পত্তি ভাগ-বাটোয়ারার প্রচেষ্টায় সাফল্য পাবেন। ব্যবসায় লগ্নি বৃদ্ধির সম্ভাবনা । শরীর একপ্রকার থাকবে। ... বিশদ
সেকথা স্পষ্ট করে দিয়েছেন তৃণমূল সাংসদ জগদীশচন্দ্র বর্মা বসুনিয়া। গত লোকসভায় সিতাই বিধানসভায় ২৮ হাজারের বেশি ভোটে এগিয়ে ছিলেন তিনি। সেই ভোট ধরে রাখতে পারলেই তৃণমূলের জয় নিশ্চিত। কিন্তু পোড়খাওয়া রাজনীতিবিদ জগদীশচন্দ্র চাইছেন দলের প্রার্থী সঙ্গীতা রায়কে এক লক্ষ ৭০ হাজার ভোটে জিতিয়ে দিনহাটা উপ নির্বাচনের রেকর্ড ভাঙতে। সেই লক্ষ্যে সফল হতে কর্মী, সমর্থকদের নিয়ে কেন্দ্রের এক প্রান্ত থেকে অপর প্রান্ত ছুটছেন তিনি।
শুক্রবার দিনভর চামটা এলাকার প্রত্যন্ত গ্রাম দক্ষিণ পানিখাওয়ায় গিয়ে দেখা গেল বক্তব্য রাখছেন জগদীশচন্দ্র। শান্ত, শীতল, ছায়াঢাকা গ্রাম্য পরিবেশের মাঝে প্রচারে তাঁর মন্তব্য, দিনহাটায় ভারতের দ্বিতীয় সর্বাধিক ভোটে জয় এসেছিল। সেই রেকর্ড টপকাতে পারলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় খুশি হবেন। দিনহাটার মানুষ যে মনেপ্রাণে তৃণমূলের সঙ্গেই আছেন, আরেকবার সেটা অনুভব করবেন।
এদিকে প্রচারে হালে পানি না পেয়ে মুষড়ে পড়েছেন বিজেপি নেতা, কর্মীরা। সিতাইয়ে দলের প্রার্থী দীপককুমার রায়কে দুপুরে ফোন করতে জানা গেল তিনি একদফা প্রচার সেরে বাড়ি ফিরেছেন। তিনি বললেন, দিনহাটায় কীভাবে ভোট হয়েছিল সকলেই জানেন। ভোট কারও পকেটে থাকে না। সবাই ভোট দিতে পারলে নিঃসন্দেহে ফল তৃণমূলের বিপক্ষে যাবে। সিতাইয়ের কংগ্রেস প্রার্থী হরিহর সিংহরায় এদিন সিতাইয়ে প্রচারেই ছিলেন না। তাঁর মন্তব্য, ওরা অঞ্চলে অঞ্চলে কর্মীদের বলছে ভোটের দিন কী কী করতে হবে। এখন থেকে ষড়যন্ত্র করছে। তাই তিন লাখ ভোটেও জিততে পারে।
একই সুর শোনা গিয়েছে ফরওয়ার্ড ব্লক প্রার্থী অরুণকুমার বর্মনের গলায়। তাঁর মন্তব্য, ঠিকভাবে ভোট হলে কোনও রেকর্ড হবে না। তৃণমূলের বিরুদ্ধেই ফল হবে। তবে বিরোধীদের সন্ত্রাসের এই তত্ত্ব যে আসলে পিঠ বাঁচানোর জন্য, সেটা মানুষ খুব ভালো করেই বোঝেন। সেই কারণেই সিতাই রেকর্ড ব্যবধানে তৃণমূলের জয় দেখার অপেক্ষায়।