সংবাদদাতা, চাঁচল: কোথাও চোখ ধাঁধানো আলোকসজ্জা, আবার কোথাও থিমের পুজো। দর্শনার্থীদের নজর কাড়তে কালীপুজোতেও থিমের ছড়াছড়ি মালদহের চাঁচলে। পাশাপাশি পুরনো ঐতিহ্যবাহী পুজোগুলিও নজর কাড়ছে এলাকায়। চাঁচল থানা এলাকার ১৫১ টি জায়গায় কালীপুজো হচ্ছে বলে পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে। চতুর্থ বর্ষে পুরনো রাজঠাকুরবাড়ির আদলে মণ্ডপসজ্জা করে চমক দিয়েছে চাঁচল সদরের রঙিন ক্লাব। ক্লাবের সম্পাদক অমিয় দাস বলেন, আমরা প্রতিবছর নতুনভাবে থিম তুলে ধরি। তৃতীয় বর্ষে তারাপীঠ থেকে পুরোহিত এনে কালীপুজোয় হোমযজ্ঞ করে ইয়ুথ ক্লাব। সেখানে প্রতিবছর দশমাথা কালী প্রতিমার পুজো করা হয় বলে জানিয়েছেন ক্লাবের সম্পাদক অভিজিৎ রায়। ১৮ তম বর্ষে গুহার আকারে মণ্ডপ অগ্রদূত ক্লাবের। তাদের বাজেট তিন লক্ষ টাকা বলে জানিয়েছেন ক্লাবের সদস্য সমু ভট্টাচার্য। ৪০ তম বর্ষে ‘শিশু ও শৈশব’ থিম তুলে ধরেছে চাঁচল টেন জুয়েলস ক্লাব। মন্দিরের আদলে সুদৃশ্য প্যান্ডেল তৈরি করে চমক দিয়েছে বাঘাযতীন ক্লাব। সুবর্ণ জয়ন্তী বর্ষে পুজোর আনন্দটা যেন দ্বিগুণ পোদ্দারপাড়ার অরবিন্দ ক্লাবে। সেখানে স্বস্তিকা চিহ্নের আকারে প্যান্ডেল করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন কর্মকর্তা তিলক রাম।
এদিকে চাঁচল সদরের তিনকিমি দূরে ঐতিহ্যবাহী কলিগ্রামে ইতিহাসের সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে কালীপুজো। গ্রামে যেমন কয়েকশো বছরের প্রাচীন ঐতিহ্যবাহী থানের ও মন্দিরের কালীপুজো রয়েছে, তেমনই গ্রামের ঐতিহ্যকে বজায় রেখে শুরু হয়েছে বিগবাজেটের কালীপুজো।
এখানে সারা গ্রামে প্রায় কুড়িটি কালীপুজো হচ্ছে। তারমধ্যে মূল আকর্ষণ রয়েছে ঝংকার ক্লাবে। পুজোর সুবর্ণ জয়ন্তীতে সেখানে এবার ছয়দিন ধরে চলবে বিভিন্ন অনুষ্ঠান।
বগচড়া অরবিন্দ মোড়ে দুর্বাসা সঙ্ঘের কালীপুজো এবার ২৭ তম বর্ষে। পুজোর দিনগুলিতে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান থাকছে। কলিগ্রাম পুরাতন বাজারে কালীর থানে রীতি মেনেই পুজো শুরু হয়েছে। পুজো কমিটির সদস্য বিতান রায় বলেন, মৎস্যজীবী মানুষের হাত দিয়েই এখানে প্রতিমা থান থেকে নামানো হয়। শোভাযাত্রা করে বিসর্জন হবে। ব্রিটিশ আমল থেকে পুজো হওয়া খরবা ফাঁড়ি সংলগ্ন মন্দিরে মা কালীর আরাধনা হচ্ছে। নিয়ম অনুযায়ী সেখানে পুজো হওয়ার পরেই চাঁচল থানা সংলগ্ন মন্দিরে কালী পূজিত হন। চাঁচলের দুর্গাবাড়ি মোড়ে গীতাঞ্জলি স্মৃতি সংসদের কালীপুজোর মণ্ডপ। নিজস্ব চিত্র