Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

টালবাহানা! সেন্সাস কিন্তু ছেলেখেলা নয়
শান্তনু দত্তগুপ্ত

মাথা নাড়লেন জওহরলাল নেহরু। ‘কাজটা কঠিন। কারণ, আমাদের কাছে কোনও ডেটা নেই। যে ডেভেলপমেন্টই করতে যাই না কেন, সবটাই অন্ধকারে হাতড়ানো।’ তাহলে উপায় কী? সোভিয়েতের ধাঁচে পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা শুরু করতে চান প্রধানমন্ত্রী। লক্ষ্য একটাই, জন্মলগ্ন থেকে দেশের অর্থনীতি এবং আর্থ-সামাজিক পরিকাঠামোকে একটা বাঁধনে বেঁধে ফেলা। সদ্য স্বাধীনতা প্রাপ্তির পর সবটাই শূন্য থেকে শুরু। আর এমন মুহূর্তে পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনার থেকে ভালো কিছু হতে পারে না। দায়িত্ব দিলেন নেহরু প্রশান্ত মহালানবিশকে... ‘আপনি কিছু করুন’। এই ‘কিছু’ বলতে কী? আসরে নামলেন মহালানবিশ। ন্যাশনাল স্যাম্পল সার্ভে করবেন তিনি। অর্থাৎ, নমুনা সংগ্রহ। এতবড় দেশের প্রত্যেক ঘরে গিয়ে তথ্য সংগ্রহ বেশ কঠিন ব্যাপার। তাই জনপদ এবং পরিবার বেছে নিতে হবে নিপুণভাবে। সব ধরনের এলাকা এবং সমাজের প্রত্যেক শ্রেণির মানুষের নমুনা যাতে নথিভুক্ত হয়, সেটা নিশ্চিত করতে হবে। প্রথম দফায় ১৮৩৩ জনের স্যাম্পল সংগ্রহ হল। পুরোটাই প্রায় গ্রাম্য এলাকা থেকে। ১৯৫০ সালের অক্টোবর থেকে ১৯৫১ সালের মার্চ মাস পর্যন্ত বিপুল কর্মকাণ্ড। আর এত বড় স্যাম্পল সার্ভে সত্যিই তখন ছিল তাক লাগানোর মতো। পাশাপাশি ততদিনে শুরু হয়ে গিয়েছে জনগণনার কাজও। ’৫১ সালের ৯ থেকে ২৮ ফেব্রুয়ারি। বাড়িতে কতজন আছেন, কী কাজ করেন, পরিবারের আয় কত, জমিজমা কী আছে, বাড়িতে কতজন পুরুষ ও কতজন মহিলা, কী ভাষায় কথা বলেন... এক কথায় তথ্য ভাণ্ডার। এবং অবশ্যই অন্ধকার থেকে মুক্তি। কারণ সরকার দেখতে পেল, কোন শ্রেণির জন্য কতটা কাজ করতে হবে। কত কোটি মানুষকে বেঁচে থাকার জন্য সস্তায় দিতে হবে রেশন, কোন শ্রেণিকে আরও বেশি করে পড়াশোনার সুযোগ করে দিতে হবে, দেশের কোন প্রত্যন্ত এলাকায় আদিবাসীরা টাকার কথাই শোনেনি... তাদের নিয়ে আসতে হবে মূল স্রোতে। স্যাম্পল সার্ভে হল। জনগণনাও। আদমশুমারির ক্ষেত্রে ভারত অবশ্য আনকোরা ছিল না। লর্ড মেয়োর শুরু করা প্রক্রিয়া ১৯৪১ সালের পরাধীন ভারতেও সেরেছে ব্রিটিশ সরকার। নেহরু একটা কাজই করেছিলেন—সেটা বন্ধ হতে দেননি। এবং আক্ষরিক অর্থে গোটা দেশে জনগণনা কার্যকর করেছিলেন। 
জনগণনা। সেন্সাস। আদমশুমারি। যে নামেই ডাকুন না কেন, এর অর্থটা কী? ভারত কবে চীনকে জনসংখ্যার নিরিখে পেরিয়ে যাবে, তার উত্তর মেলে এতে? তেমনটা কিন্তু নয়। এ এমন এক প্রক্রিয়া, 
যার উপর দাঁড়িয়ে থাকে দেশের এবং সমাজের বর্তমান। এমনকী ভবিষ্যৎও। সেন্সাসের তথ্যের উপর নির্ভর করেই সরকার তৈরি করে সামাজিক সুরক্ষার ব্লু-প্রিন্ট। এখন যেমন ২০১১ সালের হিসেবের ভিত্তিতেই দেশ চলছে। তখন ভারতের জনসংখ্যা কত ছিল? ১২০ কোটি। তারপর মধ্যবর্তী সমীক্ষা হয়েছে ঠিকই, কিন্তু দুধের স্বাদ কি আর ঘোলে মেটে? পরিপূর্ণ সেন্সাস যা তথ্য সরকারকে দেবে, তা কোনও ইন্টারিম সার্ভে দিতে পারে না। আর তাই ২০২১ সালে নির্ধারিত জনগণনার কাজ না হওয়ার বিস্তর 
প্রভাব কিন্তু পড়ছে আম জনতার মধ্যে। পুরো আফটার শকটাই অনুভূত হচ্ছে সমাজের মাইক্রো লেভেলে। তাহলে কেন হচ্ছে না সেন্সাস? ২০২০ সালে না হয় কোভিড-হানা ছিল। আপামর দেশবাসীর হাতে ভ্যাকসিনের ছুঁচ ফোটাতেই সময় কাবার হয়ে গিয়েছিল কেন্দ্রের। একুশেও না হয় যথারীতি করোনা এফেক্ট ছিল। তাই সেন্সাসের সময় পাওয়া যায়নি। কিন্তু তারপর? একের পর এক বিধানসভা নির্বাচন 
ও লোকসভা ভোট হয়েছে, প্রধানমন্ত্রী বিদেশ সফরে গিয়েছেন, রামমন্দিরের উদ্বোধন হয়েছে, নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন কার্যকর হয়েছে, শিল্পপতিরা তাঁদের ছেলেমেয়েদের রাজকীয়ভাবে বিয়েও দিয়েছেন। 
বাকি থেকে গিয়েছে শুধু সেন্সাস। কেন?
কারণ রাজনৈতিক হতেই পারে। এবং তা একটি নয়, একাধিক। যেমন, ১) দিল্লির দরবার থেকে যা খবর মিলছে, জনগণনার রিপোর্ট সামনে এলে সবার আগে নজর পড়বে মুসলিম জনসংখ্যায়। দেশ ১৪০ কোটি নাগরিকের মাইলস্টোন পার করলেও হিন্দু জনসংখ্যার তুলনায় মুসলিমদের অনুপাত কিন্তু কমবে। সেক্ষেত্রে সরাসরি ধাক্কা খাবে বিজেপির মেরুকরণের রাজনীতি। হিন্দুরা সংখ্যালঘু হয়ে পড়ছে—এমন একটা প্রচার আর ধোপে টিকবে না। তৃণমূল কংগ্রেসের মতো সীমান্তবর্তী রাজ্যগুলির শাসকদের বিরুদ্ধে লাগাতার নরেন্দ্র মোদি-অমিত শাহ তোপ দেগে থাকেন, তারা নাকি ভোটের স্বার্থে অনুপ্রবেশকারীদের আশ্রয় দেয়। সেই রাজনৈতিক প্রচারও হালে পানি পাবে না। ২) এবার আদমশুমারিতে জাতিগণনার দাবি প্রতিদিন প্রবল হয়ে উঠছে। কংগ্রেস, আরজেডি এমনকী শরিক জেডিইউয়ের মতো দলও এই একটি দাবি নিয়েই কোমর বেঁধে নেমেছে। যুক্তিটা পরিষ্কার, ১৯৫১ সালে স্বাধীন ভারতের প্রথম জনগণনার সময় তফসিলি জাতি ও উপজাতির কথা আলাদাভাবে উল্লেখ করা হয়েছিল। কারণ, তারা পিছড়ে বর্গ। বাড়তি সুযোগ-সুবিধা দিয়ে এই শ্রেণির মানুষকে সামনের সারিতে নিয়ে আসার চেষ্টা শুরু করেছিল নেহরু সরকার। এখন সেই একই ফর্মুলা ওবিসি বা অন্যান্য অনগ্রসর জাতির জন্য প্রযোজ্য হবে না কেন? ঠিক কতজন ভারতীয় নাগরিক ওবিসি ক্যাটিগরিতে পড়ছেন, সেন্সাস না হওয়া পর্যন্ত সেটা জানাটা অসম্ভব। সেই অঙ্ক সামনে চলে এলে তাঁদের জন্য বাড়তি সুবিধা নিশ্চিত করতে হবে সরকারকে। আর তার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে মুখ থুবড়ে পড়বে বিজেপির এলিট হিন্দু ক্লাসের রাজনীতি। ৩) খাও এবং খানে দো... তলে তলে গেরুয়া বাহিনীর এই আপ্তবাক্য এখন চর্চার কেন্দ্রে চলে এসেছে। নরেন্দ্র মোদি মুখে যতই বলুন, তাঁর সরকার দুর্নীতির ব্যাপারে জিরো টলারেন্স, ক্যাগ রিপোর্টেও কিন্তু উল্টো সুর শোনা যাচ্ছে। সবচেয়ে বড় কথা, আর্থ-সামাজিক দিক থেকে পিছিয়ে পড়া তকমা গায়ে সেঁটে ডাবল ইঞ্জিন রাজ্যগুলিতে যত মানুষ সুবিধা ভোগ করে আসছে, তাদের পায়ের তলার মাটি সরবে। সেইসঙ্গে ‘সোর্স’ কাটছাঁট হয়ে যাবে নেতাদেরও। হিসেব বলছে, দেশের প্রায় ১০ কোটি মানুষ সরাসরি বাদ হয়ে যাবে ‘ফ্রি রেশন প্রাপ্তির’ তালিকা থেকে। সবচেয়ে বেশি ‘ক্ষতিগ্রস্ত’ হবে ডাবল ইঞ্জিন উত্তরপ্রদেশ। সে আবার স্বয়ং প্রধানমন্ত্রীর রাজনৈতিক ক্ষেত্রও বটে। আর শুধু রেশন নয়, সব সামাজিক প্রকল্পেই এর প্রভাব পড়বে। তাই যতদিন ২০১১ সালের হিসেবে প্রকল্প বা উন্নয়নের ঝান্ডা তুলে রাখা যায়, ততই ভালো। ৪) ডিলিমিটেশন বা আসন পুনর্বিন্যাস আর একটা বড় কারণ। এই আর একটি ক্ষেত্র, যেখানে ভোটব্যাঙ্ক নিয়ে সমস্যা বাড়তে পারে বিজেপির। প্রশ্ন হল, কেন? ২০০১ সালে সংশোধনী এনে ২৫ বছরের জন্য স্থগিত রাখা হয়েছিল আসন পুনর্বিন্যাস। অর্থাৎ, কোন রাজ্যে কতগুলি লোকসভা, বিধানসভা, পুরসভা বা পঞ্চায়েত আসন থাকবে, তার সিদ্ধান্ত হয়েছিল ২০০১ সালে। তখন ভারতের জনসংখ্যা ছিল ১০২ কোটির সামান্য বেশি। ভারতীয় নাগরিকের সংখ্যা ৪০ কোটি বেড়েছে মানে সেই অনুপাতে ভোটারও বেড়েছে। লক্ষ করার মতো বিষয় হল, জনসংখ্যা বৃদ্ধির এই হার কিন্তু বেশিরভাগটাই উত্তর ভারতে। অর্থাৎ, গেরুয়া শিবিরের গড় বলে পরিচিত এমন রাজ্যগুলিতে। দক্ষিণের রাজ্যগুলিতে জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার কমেছে, স্বাক্ষরতার হার বেড়েছে, মাথা পিছু আয়ও আগের থেকে অনেক বেশি। সোজা কথায়, আর্থ-সামাজিক দিক থেকে উন্নতি করেছে দক্ষিণ ভারতের রাজ্যগুলি। বিজেপির উৎফুল্ল হওয়ারই কথা। কারণ, ডিলিমিটেশন হলে দক্ষিণে আসন সংখ্যা কমবে, উত্তরে বাড়বে। গত লোকসভা ভোট পর্যন্তও অঙ্কটা এমন ছিল। তৃতীয় ইনিংস শুরু করার পর নরেন্দ্র মোদি আবিষ্কার করেছেন, সমীকরণটা এখন আর অতটা সহজ নয়। উত্তরে রীতিমতো ভাগ বসিয়েছে বিরোধীরা। বাকি থাকল পূর্ব এবং পশ্চিম। বহু চেষ্টার পরও বাংলা বা পাঞ্জাবের মতো রাজ্যের গেরুয়াকরণ করা যাচ্ছে না। অথচ আসন পুনর্বিন্যাস হলে পশ্চিমবঙ্গের আসন বাড়বে। সেটা আরও মাথাব্যথার বিষয়। উপায় একটাই, রাজ্য ভাগ। একমাত্র উত্তরবঙ্গ এবং বিহারের কিছু অংশ জুড়ে (সীমাঞ্চল) আলাদা রাজ্য তৈরি করতে পারলে এই ট্রেন্ড বিগড়ে দেওয়া সম্ভব। সেটাও হয়ে উঠছে না। কারণ, বাংলার মানুষই সেটা চায় না। রাজ্য ভাগ হলে বিজেপির ভোটই উল্টে কমে যাবে। তাই আগে রাজনৈতিক জমি শক্ত করে সেন্সাসে যাওয়া ভালো। মোদিজি হয়তো ভাবছেন, এক দেশ এক ভোট কার্যকর করে ফেলতে পারলে ওই ভিতের উপর ভালোভাবে সিমেন্ট মারা হয়ে যাবে। সত্যিই কি তাই? এটারও কিন্তু পরীক্ষা প্রার্থনীয়। তবে একটা ব্যাপার নিশ্চিত—চলতি বছরও ওসব জনসংখ্যা গোনাগুনতি হওয়ার সম্ভাবনা নেই বললেই চলে। তাহলে মোদি সরকারের হাতে টালবাহানার জন্য কতদিন থাকল? মাত্র একটা বছর—২০২৫। কারণ, জনগণনা পিছনো গেলেও ডিলিমিটেশন নিয়ে এপাশ ওপাশ করা চলবে না। ২০২৫ সালে জনগণনা শুরু হলে রিপোর্ট পেতে পেতে ’২৬। ওই বছরই ডিলিমিটেশনের কাজ শুরু হবে। সেটা শেষ হতে আরও তিন বছর। অর্থাৎ ২০২৮। অর্থাৎ, এই ফর্মুলা বাস্তবায়িত হলে পরের লোকসভা ভোট নতুন আসন বিন্যাসেই যাবেন মোদিজি।
১৮৮১ সালে লর্ড মেয়োর হাত ধরে সেন্সাস শুরুর পর ১৪০ বছর কেটে গিয়েছে। এই প্রথম অতি প্রয়োজনীয় এই কর্মকাণ্ড হয়নি সঠিক সময়ে। হচ্ছেও না। এতে রাজনৈতিক দলগুলির হয়তো খুব বেশি কিছু আসে যায় না। কিন্তু ঘুম উড়ে যায় আমলা মহলের, নীতি নির্ধারকদের। কারণ, ওই ডেটার উপর নির্ভর করেই তাঁরা প্রশাসন চালান, নীতি ঠিক করেন। জনসংখ্যার উপর ভিত্তি করেই তৈরি হয় নতুন আইন। বদলেও যায়। প্রশাসন বুঝতে পারে, কোন সামাজিক সুরক্ষা প্রকল্প বন্ধ করার সময় এসেছে বা কোন ধরনের প্রকল্প নতুন করে শুরু করতে হবে। ব্যবসায়ীরা বুঝে নেন বাজার। সাধারণ মানুষের উপার্জন বাড়ল কি না, তারা কোন ক্যাটিগরিতে পড়ল, সেই মতো উৎপাদন বাড়ানো হবে কি না... এই সবই নির্ভর করে সেন্সাসের রিপোর্টের উপর। রোজকার জীবন যাপনে আপনি-আমি হয়তো এর প্রয়োজনীয়তা খুব একটা টের পাই না। আমরা শুধু মূল্যবৃদ্ধির আঁচে সেদ্ধ হই। আর সেন্সাসে ঢিলেমির সঙ্গে সঙ্গে মাটিতে সেঁধিয়ে যায় সমাজের মাইক্রো লেভেল। নিম্ন মধ্যবিত্ত। গরিব মানুষ। তারপরও আমাদের শ্রদ্ধেয় প্রধানমন্ত্রী ডিজিটাল সেন্সাসের স্বপ্ন দেখেন। সেখানে একটি অ্যাপ লঞ্চ হবে। আমরা সবাই সেটা ডাউনলোড করব। তারপর ফর্ম ফিল আপ ও আপলোড। সে সব দেখে সমীক্ষকরা আমাদের বাড়িতে আসবেন এবং ফর্ম মিলিয়ে নেবেন। মোদিজি হয়তো ভুলে গিয়েছেন, আমাদের দেশে এখন ৭০ কোটির কাছাকাছি মোবাইল ফোন চলে। অনেকেরই আবার তার মধ্যে একাধিক হ্যান্ডসেট ও নম্বর রয়েছে। ৭০ কোটি একক ব্যবহারকারী ধরলেও কিন্তু আরও ৭০ কোটি মানুষ এখনও স্মার্টফোন ব্যবহার করে না। তাদের সেই ক্ষমতা নেই। কেনারও না, ব্যবহারেরও না। তাহলে ডিজিটাল সেন্সাস হবে কীভাবে? আর কবে?
বোধহয় আচ্ছে দিন এলে। 
29th  October, 2024
হলিউডে ড্রাগনের থাবা!
মৃণালকান্তি দাস

পরিচালক স্টিভেন স্পিলবার্গ বেজিংয়ের তিয়েনআনমেন স্কোয়ারে পা রেখেছিলেন ২০০৪ সালের ২২ সেপ্টেম্বর। সেদিন তিয়েনআনমেন স্কোয়ারে একটি বিশাল ঘড়ি লাগানো হয়েছিল। ঘড়ির কাঁটা চালু হয়েছিল ১ হাজার ৪১৭ দিন গণনার জন্য। লক্ষ্য ২০০৮-এর গ্রীষ্মকালীন ওলিম্পিক্স। 
বিশদ

আধুনিক ভারতের স্থপতি, দূরদর্শী রাষ্ট্রনায়ক
নরেন্দ্র মোদি

আজ ২৫ ডিসেম্বর, আমাদের সকলের কাছে একটি অত্যন্ত বিশেষ দিন। আমাদের প্রিয় প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী অটলবিহারী বাজপেয়িজির ১০০তম জন্মজয়ন্তী। তিনি শুধু একজন রাষ্ট্রনায়ক নন, অগণিত মানুষকে প্রেরণা জুগিয়ে চলেছেন নিরন্তর।  বিশদ

25th  December, 2024
সাহেবি আমল থেকেই বড়দিন বাঙালির নিজস্ব পার্বণ
সন্দীপন বিশ্বাস

সাহেবি আমলের দেশি বাবুরা কেবল দুর্গাপুজো, বুলবুলির লড়াই আর বিড়ালের বিয়ে নিয়েই মেতে থাকতেন না, তাঁরা বড়দিন বা ইংরেজি নববর্ষের আনন্দের স্রোতেও ভেসে যেতেন। সে ছিল এক দেখার মতো ব্যাপার। বাবুদের কাপ্তেনির মেজাজে লাগত সুরা ও সুরের দোল। বিশদ

25th  December, 2024
বাংলাদেশ প্রমাণ, বিভাজন শুধু বিপর্যয়ই আনে
শান্তনু দত্তগুপ্ত

বাংলাদেশের একটি ভিডিও পোস্ট করেছেন তসলিমা নাসরিন। নাটকের দৃশ্য। তাতে যশোর জামিয়া ইসলামিয়ার তিন ছাত্র ইসলামিক জঙ্গিদের সাজে দাঁড়িয়ে আছে। হাতে বন্দুক। আপাতদৃষ্টিতে প্লাস্টিকের বলেই মনে হচ্ছে (দেশটা এখনও সিরিয়া হয়ে যায়নি। নাটকের জন্য সেখানে আজও প্লাস্টিকের বন্দুক ব্যবহার হয়)। বিশদ

24th  December, 2024
সংবিধানের উপর বিরাট আঘাত
পি চিদম্বরম

ভারতের সংবিধান গ্রহণের ৭৫তম বার্ষিকী আমরা উদযাপন করেছি ২০২৪ সালের ২৬ নভেম্বর। সংবিধানের ৭৫ বছরের যাত্রাকে স্মরণ করার জন্য সংসদের দুটি কক্ষই তাদের নিয়মিত কার্যাবলির বাইরে দুটি দিন আন্তরিকতার সঙ্গেই উৎসর্গ করেছিল।
বিশদ

23rd  December, 2024
এক দেশ এক নির্বাচন কার স্বার্থে?
হিমাংশু সিংহ

কেন ইস্তফা দেবেন না অমিত শাহ? দেশের দণ্ডমুণ্ডের কর্তাই যদি মুখ ফস্কে দেশের সংবিধান প্রণেতা সম্পর্কে এমন বালখিল্য মন্তব্য করেন তাহলে সরকারের অভিসন্ধি বুঝতে ভুল হওয়ার কথা নয়। সম্মান জানানো দূরস্থান, বি আর আম্বেদকরের ভূমিকাকে লঘু করার চেষ্টা করেন, তাহলে তাঁর ও তাঁর কট্টর মনুবাদী দলের আসল উদ্দেশ্য বুঝতে অসুবিধা হয় না। ‘আলটপকা’ এই মন্তব্যটা স্রেফ অজুহাত।
বিশদ

22nd  December, 2024
এরপরেও বিজেপি গরিবের ভোট চাইবে?
তন্ময় মল্লিক

বাংলার বাড়ি প্রকল্পের টাকা দেওয়ামাত্র বিরোধীরা একযোগে সমালোচনা শুরু করে দিয়েছেন। তাঁদের দাবি, ‘ছাব্বিশের ভোটের জন্য এসব করা হচ্ছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মাছের তেলে মাছ ভাজছেন। কারণ এটা সাধারণ মানুষের করের টাকা।’ বিরোধীরা একেবারে হক কথা বলছেন। বিশদ

21st  December, 2024
জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার কমছে অথচ অপুষ্টি কমছে না
সমৃদ্ধ দত্ত

সরকার জনসংখ্যা নীতি নিয়ে চিন্তাভাবনা করছে। জনসংখ্যা বৃদ্ধি যাতে কমে যায় সেই কঠোর নীতি কি নেওয়া দরকার? নাকি জনসংখ্যা নীতির প্রয়োজন নেই? এই জল্পনা এখন সরকারের অন্দরে অন্যতম প্রধান একটি বিতর্ক। সিদ্ধান্ত নেওয়া যাচ্ছে না। কিন্তু যে রাষ্ট্র আর কিছু বছরের মধ্যে নাকি তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতি হবে সেখানে এত শিশুমৃত্যু কেন? এত অপুষ্টি কেন?
বিশদ

20th  December, 2024
আল-কায়েদা জঙ্গি জোলানি এখন হিরো
মৃণালকান্তি দাস

প্রচণ্ড গরমের এক দুপুর। ইরাক আর সিরিয়ার সীমান্তের কাছাকাছি একটি জায়গায় দাঁড়িয়ে দু’টি পিকআপ ভ্যান। স্থানীয়রা জানত, এসব গাড়ি কাদের এবং কী উদ্দেশ্যে এখানে চলাচল করে। সিরিয়ার বাজার থেকে অস্ত্র কিনে এই রুট দিয়ে সেগুলি ইরাকে নিয়ে যায় আল-কায়েদা। বিশদ

19th  December, 2024
পাকিস্তান নয়, ভারতই পাশে থাকবে
হারাধন চৌধুরী

অনেক সংশয় কাটিয়ে সোমবার ঢাকাতেও পালিত হল ‘বিজয় দিবস’। এমনকী, কলকাতায় ফোর্ট উইলিয়ামের বিজয় দিবসের অনুষ্ঠানেও যোগ দিল বাংলাদেশের প্রতিনিধি দল। ‌গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে হাসিনা সরকারের পতন হয় এবং ৮ আগস্ট বাংলাদেশের দায়িত্ব নেয় মহম্মদ ইউনুসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকার।
বিশদ

18th  December, 2024
সিবিআইকে নিয়ে গদগদ হওয়ার কিছু আছে কি?
শান্তনু দত্তগুপ্ত

১) ময়নাতদন্ত নিয়ে প্রশ্ন। কল্যাণী এইমস এবং দিল্লির গঙ্গারামপুর হাসপাতালে পাঠানোর পরও কিন্তু খুঁত মিলল না। বিশদ

17th  December, 2024
প্রত্যাশিত ভারত মোদির ‘বিকশিত’ ভারত নয়
পি চিদম্বরম

বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর এবং ইলেকট্রনিক্স ও তথ্য-প্রযুক্তি মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব—দু’জনেই শহুরে, সুশিক্ষিত ও মৃদুভাষী মানুষ। এস জয়শঙ্কর ফরেন সার্ভিসে একটি উল্লেখযোগ্য কর্মজীবন কাটিয়েছেন। সেখানে তাঁকে একজন উদারপন্থী ব্যক্তি হিসেবেই বিবেচনা করা হতো।
বিশদ

16th  December, 2024
একনজরে
গত ১৩ বছরে রাজ্যের বিদ্যুৎ বণ্টন পরিকাঠামো উন্নয়নে একাধিক পদক্ষেপ করেছে রাজ্য সরকার। তার ফলে রাজ্যে লোডশেডিং এখন অতীত। ...

বাংলা হল মিলনক্ষেত্র। সব ধর্ম, বর্ণ, সম্প্রদায়ের মানুষের সহাবস্থান। সমস্ত উৎসবে একসঙ্গে মাতোয়ারা, আবার সুখ-দুঃখ একসঙ্গে ভাগ করে নেওয়া—ক্রিসমাসের শুভেচ্ছা জানাতে গিয়ে সম্প্রীতির চিরন্তন মেলবন্ধনকেই তুলে ধরলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। ...

পাকিস্তানের বিমান হামলা। আফগানিস্তানে ৪৬ জন নিহত। তাঁদের মধ্যে মহিলা ও শিশুর সংখ্যাই বেশি। তালিবান সরকারের মুখপাত্র জাবিউল্লা মুজাহিদ জানান, মঙ্গলবার রাতে পাকিতিকা প্রদেশের বারমাল জেলার চারটি এলাকায় হামলা চালায় পাকিস্তান। ...

নতুন বছরে মারুতি সুজুকি কোম্পানির গাড়ির দাম বাড়ছে। শুক্রবার সংস্থা ঘোষণা করেছে, আগামী ১ জানুয়ারি থেকে চার শতাংশ পর্যন্ত হারে দাম বাড়ছে সব মডেলের গাড়ির। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

পড়ে গিয়ে বা পথ দুর্ঘটনায় আঘাতপ্রাপ্তির যোগ থাকায় সতর্ক হন। কর্মে  উন্নতি ও সাফল্যের যোগ। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৭৯১- কম্পিউটারের জনক চার্লস ব্যাবেজের জন্ম
১৮০১- বাংলা ও মাদ্রাজের জন্য ব্রিটিশদের প্রথম সুপ্রিম কোর্ট গঠন
১৮৩১- হেনরি লুই ভিভিয়ান ডিরোজিওর মৃত্যু
১৮৫০- ভারতের চিকিৎসাশাস্ত্রে সবচেয়ে সম্মানিত ও প্রথম স্যার উপাধিপ্রাপ্ত চিকিৎসক  স্যার কৈলাসচন্দ্র বসুর জন্ম
১৮৯৩- চীনা কমিউনিস্ট পার্টির নেতা মাও সে তুংয়ের জন্ম
১৮৯৯- বিপ্লবী উধম সিংয়ের জন্ম
১৯০৬- অস্ট্রেলিয়ার মেলবোর্নে বিশ্বের প্রথম পূর্ণদৈর্ঘ্য ছায়াছবি ‘দি স্টোরি অব দ্য কেলি গ্যাং’ প্রথম প্রদর্শিত হয়
১৯১৩- কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে ডি লিট উপাধি দেয়
১৯১৯- লীগ অব নেশনস প্রতিষ্ঠিত হয়
১৯৪৯- মধ্যাকর্ষণের নতুন সাধারণকৃত তত্ত্ব উদ্ভাবন করেন বিজ্ঞানী আলবার্ট আইস্টাইন
২০০৪- ভয়াবহ সুনামির আঘাত ভারত-সহ ছয়টি দেশে, নিহত আড়াই লক্ষেরও বেশি মানুষ



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮৪.২৮ টাকা ৮৬.০২ টাকা
পাউন্ড ১০৪.৮৬ টাকা ১০৮.৫৭ টাকা
ইউরো ৮৬.৮৬ টাকা ৯০.২০ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
25th  December, 2024
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭৬,২০০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭৬,৬০০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৭২,৮০০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৮৮,৪০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৮৮,৫০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

১১ পৌষ, ১৪৩১, বৃহস্পতিবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪। একাদশী ৪৬/৩ রাত্রি ১২/৪৪। স্বাতী নক্ষত্র ২৯/৩৮ সন্ধ্যা ৬/১০। সূর্যোদয় ৬/১৮/৩৯, সূর্যাস্ত ৪/৫৫/৪৯। অমৃতযোগ দিবা ৭/৪৩ মধ্যে পুনঃ ১/২৩ গতে ২/৪৮ মধ্যে। রাত্রি ৫/৪৯ গতে ৯/২৩ মধ্যে পুনঃ ১২/৪ গতে ৩/৩৮ মধ্যে পুনঃ ৪/৩২ গতে উদয়াবধি। বারবেলা ২/১৬ গতে অস্তাবধি। কালরাত্রি ১১/৩৮ গতে ১/১৮ মধ্যে।                                                               
১০ পৌষ, ১৪৩১, বৃহস্পতিবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪। একাদশী রাত্রি ১১/৪৯। স্বাতী নক্ষত্র রাত্রি ৬/৪। সূর্যোদয় ৬/২২, সূর্যাস্ত ৪/৫৫। অমৃতযোগ দিবা ৭/৫০ মধ্যে ও ১/৩১ গতে ২/৫৭ মধ্যে এবং রাত্রি ৫/৫৮ গতে ৯/৩১ মধ্যে ও ১২/১১ গতে ৩/৪৪ মধ্যে ও ৪/৩৮ গতে ৬/২২ মধ্যে। কালবেলা ২/১৭ গতে ৪/৫৫ মধ্যে। কালরাত্রি ১১/৩৮ গতে ১/১৯ মধ্যে। 
২৩ জমাদিয়স সানি।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
ক্রিসমাস উদযাপনের ছবি শেয়ার করলেন ক্যাটরিনা ও ভিকি কৌশল

03:25:00 PM

কোচবিহার পুরসভা এলাকায় প্রকাশ্যে জঞ্জাল ফেলার সময় এক ব্যক্তিকে হাতে নাতে ধরে ফেললেন চেয়ারম্যান রবীন্দ্রনাথ ঘোষ

03:16:00 PM

চতুর্থ টেস্ট: ম্যাচ ফি-এর ২০ শতাংশ জরিমানা কোহলির

03:12:37 PM

কর্ণাটকের বেলাগাভিতে শুরু হল কংগ্রেসের ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠক

03:03:00 PM

শেয়ার বাজারে জোয়ার, নভেম্বর মাসে স্টক মার্কেটে যুক্ত হয়েছেন ৩৫ লাখ নতুন বিনিয়োগকারী

02:57:56 PM

কেন্দ্রীয় ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠকে যোগ দিতে কর্ণাটকের বেলাগাভিতে এলেন রাহুল গান্ধী এবং মল্লিকার্জুন খাড়্গে

02:49:00 PM