Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

টালবাহানা! সেন্সাস কিন্তু ছেলেখেলা নয়
শান্তনু দত্তগুপ্ত

মাথা নাড়লেন জওহরলাল নেহরু। ‘কাজটা কঠিন। কারণ, আমাদের কাছে কোনও ডেটা নেই। যে ডেভেলপমেন্টই করতে যাই না কেন, সবটাই অন্ধকারে হাতড়ানো।’ তাহলে উপায় কী? সোভিয়েতের ধাঁচে পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা শুরু করতে চান প্রধানমন্ত্রী। লক্ষ্য একটাই, জন্মলগ্ন থেকে দেশের অর্থনীতি এবং আর্থ-সামাজিক পরিকাঠামোকে একটা বাঁধনে বেঁধে ফেলা। সদ্য স্বাধীনতা প্রাপ্তির পর সবটাই শূন্য থেকে শুরু। আর এমন মুহূর্তে পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনার থেকে ভালো কিছু হতে পারে না। দায়িত্ব দিলেন নেহরু প্রশান্ত মহালানবিশকে... ‘আপনি কিছু করুন’। এই ‘কিছু’ বলতে কী? আসরে নামলেন মহালানবিশ। ন্যাশনাল স্যাম্পল সার্ভে করবেন তিনি। অর্থাৎ, নমুনা সংগ্রহ। এতবড় দেশের প্রত্যেক ঘরে গিয়ে তথ্য সংগ্রহ বেশ কঠিন ব্যাপার। তাই জনপদ এবং পরিবার বেছে নিতে হবে নিপুণভাবে। সব ধরনের এলাকা এবং সমাজের প্রত্যেক শ্রেণির মানুষের নমুনা যাতে নথিভুক্ত হয়, সেটা নিশ্চিত করতে হবে। প্রথম দফায় ১৮৩৩ জনের স্যাম্পল সংগ্রহ হল। পুরোটাই প্রায় গ্রাম্য এলাকা থেকে। ১৯৫০ সালের অক্টোবর থেকে ১৯৫১ সালের মার্চ মাস পর্যন্ত বিপুল কর্মকাণ্ড। আর এত বড় স্যাম্পল সার্ভে সত্যিই তখন ছিল তাক লাগানোর মতো। পাশাপাশি ততদিনে শুরু হয়ে গিয়েছে জনগণনার কাজও। ’৫১ সালের ৯ থেকে ২৮ ফেব্রুয়ারি। বাড়িতে কতজন আছেন, কী কাজ করেন, পরিবারের আয় কত, জমিজমা কী আছে, বাড়িতে কতজন পুরুষ ও কতজন মহিলা, কী ভাষায় কথা বলেন... এক কথায় তথ্য ভাণ্ডার। এবং অবশ্যই অন্ধকার থেকে মুক্তি। কারণ সরকার দেখতে পেল, কোন শ্রেণির জন্য কতটা কাজ করতে হবে। কত কোটি মানুষকে বেঁচে থাকার জন্য সস্তায় দিতে হবে রেশন, কোন শ্রেণিকে আরও বেশি করে পড়াশোনার সুযোগ করে দিতে হবে, দেশের কোন প্রত্যন্ত এলাকায় আদিবাসীরা টাকার কথাই শোনেনি... তাদের নিয়ে আসতে হবে মূল স্রোতে। স্যাম্পল সার্ভে হল। জনগণনাও। আদমশুমারির ক্ষেত্রে ভারত অবশ্য আনকোরা ছিল না। লর্ড মেয়োর শুরু করা প্রক্রিয়া ১৯৪১ সালের পরাধীন ভারতেও সেরেছে ব্রিটিশ সরকার। নেহরু একটা কাজই করেছিলেন—সেটা বন্ধ হতে দেননি। এবং আক্ষরিক অর্থে গোটা দেশে জনগণনা কার্যকর করেছিলেন। 
জনগণনা। সেন্সাস। আদমশুমারি। যে নামেই ডাকুন না কেন, এর অর্থটা কী? ভারত কবে চীনকে জনসংখ্যার নিরিখে পেরিয়ে যাবে, তার উত্তর মেলে এতে? তেমনটা কিন্তু নয়। এ এমন এক প্রক্রিয়া, 
যার উপর দাঁড়িয়ে থাকে দেশের এবং সমাজের বর্তমান। এমনকী ভবিষ্যৎও। সেন্সাসের তথ্যের উপর নির্ভর করেই সরকার তৈরি করে সামাজিক সুরক্ষার ব্লু-প্রিন্ট। এখন যেমন ২০১১ সালের হিসেবের ভিত্তিতেই দেশ চলছে। তখন ভারতের জনসংখ্যা কত ছিল? ১২০ কোটি। তারপর মধ্যবর্তী সমীক্ষা হয়েছে ঠিকই, কিন্তু দুধের স্বাদ কি আর ঘোলে মেটে? পরিপূর্ণ সেন্সাস যা তথ্য সরকারকে দেবে, তা কোনও ইন্টারিম সার্ভে দিতে পারে না। আর তাই ২০২১ সালে নির্ধারিত জনগণনার কাজ না হওয়ার বিস্তর 
প্রভাব কিন্তু পড়ছে আম জনতার মধ্যে। পুরো আফটার শকটাই অনুভূত হচ্ছে সমাজের মাইক্রো লেভেলে। তাহলে কেন হচ্ছে না সেন্সাস? ২০২০ সালে না হয় কোভিড-হানা ছিল। আপামর দেশবাসীর হাতে ভ্যাকসিনের ছুঁচ ফোটাতেই সময় কাবার হয়ে গিয়েছিল কেন্দ্রের। একুশেও না হয় যথারীতি করোনা এফেক্ট ছিল। তাই সেন্সাসের সময় পাওয়া যায়নি। কিন্তু তারপর? একের পর এক বিধানসভা নির্বাচন 
ও লোকসভা ভোট হয়েছে, প্রধানমন্ত্রী বিদেশ সফরে গিয়েছেন, রামমন্দিরের উদ্বোধন হয়েছে, নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন কার্যকর হয়েছে, শিল্পপতিরা তাঁদের ছেলেমেয়েদের রাজকীয়ভাবে বিয়েও দিয়েছেন। 
বাকি থেকে গিয়েছে শুধু সেন্সাস। কেন?
কারণ রাজনৈতিক হতেই পারে। এবং তা একটি নয়, একাধিক। যেমন, ১) দিল্লির দরবার থেকে যা খবর মিলছে, জনগণনার রিপোর্ট সামনে এলে সবার আগে নজর পড়বে মুসলিম জনসংখ্যায়। দেশ ১৪০ কোটি নাগরিকের মাইলস্টোন পার করলেও হিন্দু জনসংখ্যার তুলনায় মুসলিমদের অনুপাত কিন্তু কমবে। সেক্ষেত্রে সরাসরি ধাক্কা খাবে বিজেপির মেরুকরণের রাজনীতি। হিন্দুরা সংখ্যালঘু হয়ে পড়ছে—এমন একটা প্রচার আর ধোপে টিকবে না। তৃণমূল কংগ্রেসের মতো সীমান্তবর্তী রাজ্যগুলির শাসকদের বিরুদ্ধে লাগাতার নরেন্দ্র মোদি-অমিত শাহ তোপ দেগে থাকেন, তারা নাকি ভোটের স্বার্থে অনুপ্রবেশকারীদের আশ্রয় দেয়। সেই রাজনৈতিক প্রচারও হালে পানি পাবে না। ২) এবার আদমশুমারিতে জাতিগণনার দাবি প্রতিদিন প্রবল হয়ে উঠছে। কংগ্রেস, আরজেডি এমনকী শরিক জেডিইউয়ের মতো দলও এই একটি দাবি নিয়েই কোমর বেঁধে নেমেছে। যুক্তিটা পরিষ্কার, ১৯৫১ সালে স্বাধীন ভারতের প্রথম জনগণনার সময় তফসিলি জাতি ও উপজাতির কথা আলাদাভাবে উল্লেখ করা হয়েছিল। কারণ, তারা পিছড়ে বর্গ। বাড়তি সুযোগ-সুবিধা দিয়ে এই শ্রেণির মানুষকে সামনের সারিতে নিয়ে আসার চেষ্টা শুরু করেছিল নেহরু সরকার। এখন সেই একই ফর্মুলা ওবিসি বা অন্যান্য অনগ্রসর জাতির জন্য প্রযোজ্য হবে না কেন? ঠিক কতজন ভারতীয় নাগরিক ওবিসি ক্যাটিগরিতে পড়ছেন, সেন্সাস না হওয়া পর্যন্ত সেটা জানাটা অসম্ভব। সেই অঙ্ক সামনে চলে এলে তাঁদের জন্য বাড়তি সুবিধা নিশ্চিত করতে হবে সরকারকে। আর তার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে মুখ থুবড়ে পড়বে বিজেপির এলিট হিন্দু ক্লাসের রাজনীতি। ৩) খাও এবং খানে দো... তলে তলে গেরুয়া বাহিনীর এই আপ্তবাক্য এখন চর্চার কেন্দ্রে চলে এসেছে। নরেন্দ্র মোদি মুখে যতই বলুন, তাঁর সরকার দুর্নীতির ব্যাপারে জিরো টলারেন্স, ক্যাগ রিপোর্টেও কিন্তু উল্টো সুর শোনা যাচ্ছে। সবচেয়ে বড় কথা, আর্থ-সামাজিক দিক থেকে পিছিয়ে পড়া তকমা গায়ে সেঁটে ডাবল ইঞ্জিন রাজ্যগুলিতে যত মানুষ সুবিধা ভোগ করে আসছে, তাদের পায়ের তলার মাটি সরবে। সেইসঙ্গে ‘সোর্স’ কাটছাঁট হয়ে যাবে নেতাদেরও। হিসেব বলছে, দেশের প্রায় ১০ কোটি মানুষ সরাসরি বাদ হয়ে যাবে ‘ফ্রি রেশন প্রাপ্তির’ তালিকা থেকে। সবচেয়ে বেশি ‘ক্ষতিগ্রস্ত’ হবে ডাবল ইঞ্জিন উত্তরপ্রদেশ। সে আবার স্বয়ং প্রধানমন্ত্রীর রাজনৈতিক ক্ষেত্রও বটে। আর শুধু রেশন নয়, সব সামাজিক প্রকল্পেই এর প্রভাব পড়বে। তাই যতদিন ২০১১ সালের হিসেবে প্রকল্প বা উন্নয়নের ঝান্ডা তুলে রাখা যায়, ততই ভালো। ৪) ডিলিমিটেশন বা আসন পুনর্বিন্যাস আর একটা বড় কারণ। এই আর একটি ক্ষেত্র, যেখানে ভোটব্যাঙ্ক নিয়ে সমস্যা বাড়তে পারে বিজেপির। প্রশ্ন হল, কেন? ২০০১ সালে সংশোধনী এনে ২৫ বছরের জন্য স্থগিত রাখা হয়েছিল আসন পুনর্বিন্যাস। অর্থাৎ, কোন রাজ্যে কতগুলি লোকসভা, বিধানসভা, পুরসভা বা পঞ্চায়েত আসন থাকবে, তার সিদ্ধান্ত হয়েছিল ২০০১ সালে। তখন ভারতের জনসংখ্যা ছিল ১০২ কোটির সামান্য বেশি। ভারতীয় নাগরিকের সংখ্যা ৪০ কোটি বেড়েছে মানে সেই অনুপাতে ভোটারও বেড়েছে। লক্ষ করার মতো বিষয় হল, জনসংখ্যা বৃদ্ধির এই হার কিন্তু বেশিরভাগটাই উত্তর ভারতে। অর্থাৎ, গেরুয়া শিবিরের গড় বলে পরিচিত এমন রাজ্যগুলিতে। দক্ষিণের রাজ্যগুলিতে জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার কমেছে, স্বাক্ষরতার হার বেড়েছে, মাথা পিছু আয়ও আগের থেকে অনেক বেশি। সোজা কথায়, আর্থ-সামাজিক দিক থেকে উন্নতি করেছে দক্ষিণ ভারতের রাজ্যগুলি। বিজেপির উৎফুল্ল হওয়ারই কথা। কারণ, ডিলিমিটেশন হলে দক্ষিণে আসন সংখ্যা কমবে, উত্তরে বাড়বে। গত লোকসভা ভোট পর্যন্তও অঙ্কটা এমন ছিল। তৃতীয় ইনিংস শুরু করার পর নরেন্দ্র মোদি আবিষ্কার করেছেন, সমীকরণটা এখন আর অতটা সহজ নয়। উত্তরে রীতিমতো ভাগ বসিয়েছে বিরোধীরা। বাকি থাকল পূর্ব এবং পশ্চিম। বহু চেষ্টার পরও বাংলা বা পাঞ্জাবের মতো রাজ্যের গেরুয়াকরণ করা যাচ্ছে না। অথচ আসন পুনর্বিন্যাস হলে পশ্চিমবঙ্গের আসন বাড়বে। সেটা আরও মাথাব্যথার বিষয়। উপায় একটাই, রাজ্য ভাগ। একমাত্র উত্তরবঙ্গ এবং বিহারের কিছু অংশ জুড়ে (সীমাঞ্চল) আলাদা রাজ্য তৈরি করতে পারলে এই ট্রেন্ড বিগড়ে দেওয়া সম্ভব। সেটাও হয়ে উঠছে না। কারণ, বাংলার মানুষই সেটা চায় না। রাজ্য ভাগ হলে বিজেপির ভোটই উল্টে কমে যাবে। তাই আগে রাজনৈতিক জমি শক্ত করে সেন্সাসে যাওয়া ভালো। মোদিজি হয়তো ভাবছেন, এক দেশ এক ভোট কার্যকর করে ফেলতে পারলে ওই ভিতের উপর ভালোভাবে সিমেন্ট মারা হয়ে যাবে। সত্যিই কি তাই? এটারও কিন্তু পরীক্ষা প্রার্থনীয়। তবে একটা ব্যাপার নিশ্চিত—চলতি বছরও ওসব জনসংখ্যা গোনাগুনতি হওয়ার সম্ভাবনা নেই বললেই চলে। তাহলে মোদি সরকারের হাতে টালবাহানার জন্য কতদিন থাকল? মাত্র একটা বছর—২০২৫। কারণ, জনগণনা পিছনো গেলেও ডিলিমিটেশন নিয়ে এপাশ ওপাশ করা চলবে না। ২০২৫ সালে জনগণনা শুরু হলে রিপোর্ট পেতে পেতে ’২৬। ওই বছরই ডিলিমিটেশনের কাজ শুরু হবে। সেটা শেষ হতে আরও তিন বছর। অর্থাৎ ২০২৮। অর্থাৎ, এই ফর্মুলা বাস্তবায়িত হলে পরের লোকসভা ভোট নতুন আসন বিন্যাসেই যাবেন মোদিজি।
১৮৮১ সালে লর্ড মেয়োর হাত ধরে সেন্সাস শুরুর পর ১৪০ বছর কেটে গিয়েছে। এই প্রথম অতি প্রয়োজনীয় এই কর্মকাণ্ড হয়নি সঠিক সময়ে। হচ্ছেও না। এতে রাজনৈতিক দলগুলির হয়তো খুব বেশি কিছু আসে যায় না। কিন্তু ঘুম উড়ে যায় আমলা মহলের, নীতি নির্ধারকদের। কারণ, ওই ডেটার উপর নির্ভর করেই তাঁরা প্রশাসন চালান, নীতি ঠিক করেন। জনসংখ্যার উপর ভিত্তি করেই তৈরি হয় নতুন আইন। বদলেও যায়। প্রশাসন বুঝতে পারে, কোন সামাজিক সুরক্ষা প্রকল্প বন্ধ করার সময় এসেছে বা কোন ধরনের প্রকল্প নতুন করে শুরু করতে হবে। ব্যবসায়ীরা বুঝে নেন বাজার। সাধারণ মানুষের উপার্জন বাড়ল কি না, তারা কোন ক্যাটিগরিতে পড়ল, সেই মতো উৎপাদন বাড়ানো হবে কি না... এই সবই নির্ভর করে সেন্সাসের রিপোর্টের উপর। রোজকার জীবন যাপনে আপনি-আমি হয়তো এর প্রয়োজনীয়তা খুব একটা টের পাই না। আমরা শুধু মূল্যবৃদ্ধির আঁচে সেদ্ধ হই। আর সেন্সাসে ঢিলেমির সঙ্গে সঙ্গে মাটিতে সেঁধিয়ে যায় সমাজের মাইক্রো লেভেল। নিম্ন মধ্যবিত্ত। গরিব মানুষ। তারপরও আমাদের শ্রদ্ধেয় প্রধানমন্ত্রী ডিজিটাল সেন্সাসের স্বপ্ন দেখেন। সেখানে একটি অ্যাপ লঞ্চ হবে। আমরা সবাই সেটা ডাউনলোড করব। তারপর ফর্ম ফিল আপ ও আপলোড। সে সব দেখে সমীক্ষকরা আমাদের বাড়িতে আসবেন এবং ফর্ম মিলিয়ে নেবেন। মোদিজি হয়তো ভুলে গিয়েছেন, আমাদের দেশে এখন ৭০ কোটির কাছাকাছি মোবাইল ফোন চলে। অনেকেরই আবার তার মধ্যে একাধিক হ্যান্ডসেট ও নম্বর রয়েছে। ৭০ কোটি একক ব্যবহারকারী ধরলেও কিন্তু আরও ৭০ কোটি মানুষ এখনও স্মার্টফোন ব্যবহার করে না। তাদের সেই ক্ষমতা নেই। কেনারও না, ব্যবহারেরও না। তাহলে ডিজিটাল সেন্সাস হবে কীভাবে? আর কবে?
বোধহয় আচ্ছে দিন এলে। 
29th  October, 2024
আজ গঙ্গাজলে গঙ্গাপুজোর দিন
তন্ময় মল্লিক

আজ ৭ ডিসেম্বর। ‘বর্তমান’-এর  জন্মদিন। আজ গঙ্গাজলে গঙ্গাপুজোর দিন। প্রয়াত সম্পাদক বরুণ সেনগুপ্তর হাত ধরে যে ‘বর্তমান’ পথচলা শুরু করেছিল, তার বয়স চল্লিশ পূর্ণ হল। এখনও আমরা শুধু ঘটনার কথাই বলি না, খবরের ভিতরের খবরকেও মানুষের সামনে নিয়ে আসি। বিশদ

ভারত ক্রমেই পিছিয়ে পড়ছে কেন?
সমৃদ্ধ দত্ত

ভারত নামক একটি রাষ্ট্র যার স্বাধীনতার বয়স ৭৭ বছর হয়ে গিয়েছে এবং সভ্যতার বয়স ৫ হাজার বছর। সে এখন কী নিয়ে চর্চা করছে? উত্তরপ্রদেশের সম্ভাল নামক একটি জনপদে জামা মসজিদের নীচে আসলে মন্দির ছিল কি না সেই সমীক্ষা করার উদ্যোগ নিয়েছে, সংঘর্ষ হয়েছে। বিশদ

06th  December, 2024
দ্রুত মুখোশ খসে পড়ছে ইউনুস সরকারের
মৃণালকান্তি দাস 

চোখে সোনালি সানগ্লাস। পরনে সাদা পাঞ্জাবি। হাতে রকেট লঞ্চার। সংবাদপত্রে প্রকাশিত সেই ছবি দেখে আঁতকে উঠেছিল গোটা ভারত উপমহাসাগর। আঁতকে ওঠার যথেষ্ট কারণও ছিল। বিশদ

05th  December, 2024
জুতো উপহার এবং বাংলাদেশের পাকিস্তান প্রেম
হারাধন চৌধুরী

‘তখন ধীরে চামার-কুলপতি/ কহিল এসে ঈষৎ হেসে বৃদ্ধ,/ ‘বলিতে পারি করিলে অনুমতি/ সহজে যাহে মানস হবে সিদ্ধ।/ নিজের দুটি চরণ ঢাকো, তবে/ ধরণী আর ঢাকিতে নাহি হবে।’ 
—জুতা-আবিষ্কার, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
বিশদ

04th  December, 2024
এবার আজমির! ফল কিন্তু ভয়াবহ
শান্তনু দত্তগুপ্ত

ওটিটি প্ল্যাটফর্মে ইদানীংকালের সবচেয়ে জনপ্রিয় সিরিজ কী? মির্জাপুর? নাকি পঞ্চায়েত? এই সিজন ব্যাপারটা বেশ আকর্ষণীয়। আট-দশটা এপিসোড, টানটান উত্তেজনা, দর্শকের অ্যাড্রেনালিন ক্ষরণের উপাদান ছুঁয়ে খিদেটাকে জিইয়ে রাখা। প্রোডিউসার-ডিরেক্টররা জানেন, অপেক্ষা চলবে। পরের সিজনের জন্য।
বিশদ

03rd  December, 2024
মহাযুতির প্রচার: স্রেফ কৌশল, প্রাপ্তি শূন্য
পি চিদম্বরম

১৬ নভেম্বর, ২০২৪ তারিখ ‘ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস’-এ প্রকাশিত আমার নিবন্ধের শিরোনাম ছিল ‘মহারাষ্ট্র ইজ দ্য প্রাইজ’। বিজেপি, শিবসেনা এবং এনসিপির জোট মহাযুতি নিশ্চিতভাবেই সেই পুরস্কার জিতে নিয়েছে। এই কথা স্বীকার করতে আমার কোনও দ্বিধা নেই। ২৮৮টি আসনের মধ্যে মহাযুতি ২৩০টিতে জয়ী হয়েছে।
বিশদ

02nd  December, 2024
মোদি কি ৫৩ বছর আগের ইন্দিরা হতে পারবেন?
হিমাংশু সিংহ

লৌহমানবী ইন্দিরা গান্ধী কড়া হাতে মোকাবিলা না করলে অর্ধশতাব্দী আগে বাংলাদেশ নামক রাষ্ট্রটির জন্ম হতো কি না তার উত্তর আমাদের অজানা। সেই প্রশ্নের জবাব অধুনা কোনও ৫৬ ইঞ্চি ছাতির লোকদেখানো বীরপুঙ্গবও দিতে পারেন কি না, আপাতত তারই পরীক্ষা। বিশদ

01st  December, 2024
নেগেটিভ ভোটে কিস্তিমাতের দিন শেষ!
তন্ময় মল্লিক

যদি প্রশ্ন করা হয়, এ রাজ্যের সদ্য সমাপ্ত উপ নির্বাচনের ফল কী প্রমাণ করল? প্রায় সকলের বক্তব্য মোটামুটি এরকম হবে, আর জি কর কাণ্ড সাধারণ মানুষের মধ্যে কোনও প্রভাবই ফেলেনি। বাংলাদেশের ধার করা ‘দফা এক দাবি এক’ স্লোগানে তেমন কেউ সাড়া দেননি। বিশদ

30th  November, 2024
মমতার স্ট্র্যাটেজির কাছে হেরে যাচ্ছে বিরোধীরা
সমৃদ্ধ দত্ত

৭৭ বছরের ইতিহাসে পশ্চিমবঙ্গে এখনও পর্যন্ত দুবার দুটি আন্দোলনের সঙ্গে সরকার বদলে যাওয়ার সম্পর্ক স্থাপিত হয়েছে। ১৯৫৯ সালে শুরু হয়েছিল খাদ্য আন্দোলন। কিন্তু তার প্রভাব পরবর্তী নির্বাচনে বিশেষ পড়েনি। সেই খাদ্য আন্দোলনেরই দ্বিতীয় পর্ব আছড়ে পড়েছিল ১৯৬৬ সালে। বিশদ

29th  November, 2024
কানাডা এখন আর এক পাকিস্তান!
মৃণালকান্তি দাস

কানাডার ব্রাম্পটন শহরের হিন্দু সভা মন্দিরটি রয়েছে এক ব্যস্ত সড়কের পাশে। এখানকার বহু বাড়ি এখনও দীপাবলির আলোকসজ্জায় সজ্জিত। মন্দিরের পার্কিং লটের উপর দাঁড়িয়ে ৫৫ ফুট উচ্চতার হনুমান মূর্তিটি সর্বক্ষণ পুণ্যার্থীদের দিকে তাকিয়ে। বিশদ

28th  November, 2024
গতির উদ্দামতায় বাজে ধ্বংসের গান
সন্দীপন বিশ্বাস

বদলে গিয়েছে তরুণের স্বপ্ন। বহু তরুণের দু’চোখজুড়ে এখন শুধুই উদ্দাম গতির স্বপ্নরেখা। সেই গতির মধ্যে এখন তাঁরা অনুভব করেন, স্পর্ধায় মাথা তোলার ঝুঁকি। একটা বাইক কোম্পানির ট্যাগলাইন ছিল, ‘হাম মে হ্যায় হিরো’। এই হিরো হওয়ার জন্য এখনকার যুবকরা মনে করেন, একটা বাইকই যথেষ্ট। বিশদ

27th  November, 2024
মোদিবিহীন জয়! স্ট্র্যাটেজি বদলাচ্ছে সঙ্ঘ
শান্তনু দত্তগুপ্ত

‘রাজীব গান্ধী যখন প্রধানমন্ত্রী হয়েছিলেন, রাজনীতির কোন অভিজ্ঞতাটা তাঁর ছিল? আমার ছেলে বা ভাইপো যদি রাজনীতিতে আসে, আমি আটকানোর কে? আর আটকাবই বা কেন? কিন্তু এখানে আমার একটাই শর্ত থাকবে—আমার সেনাপতিদের অসম্মান তারা করতে পারবে না।’ বিশদ

26th  November, 2024
একনজরে
ফুড সেফটি লাইসেন্স ছাড়াই চলছে একাধিক খাবারের দোকান। খাবার তৈরি থেকে খাবার রাখা— ন্যূনতম স্বাস্থ্যবিধি মানছে না কেউই। আসানসোল বাস স্ট্যান্ডের হোটেলগুলির নেই প্রয়োজনীয় লা‌ই঩সেন্স। ...

গোলাপি বলের টেস্টের পয়লা দিনেই চাপে ভারত। পারথে ২৯৫ রানে পরাজয়ের ধাক্কা সামলে চেনা আগ্রাসী মেজাজে অস্ট্রেলিয়া। মিচেল স্টার্কের টেস্ট কেরিয়ারের সেরা বোলিং ১৮০ রানে ...

রাজ্যসভায় প্রশ্নোত্তর পর্বে কংগ্রেস সাংসদ জয়রাম রমেশ এদিন কৃষক আন্দোলনের প্রসই তোলেন। উল্লেখ করেন এমএসপি আইনের কথাও। যদিও কংগ্রেসের অভিযোগ, পুরোটা বলতে না দিয়ে এমপির মাইক বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। ...

ইন্দিরা গান্ধী শান্তি পুরস্কার পেতে চলেছেন চিলির প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট মিশেল বাচেলেট। শুক্রবার আন্তর্জাতিক জুরির প্রধান তথা নিরাপত্তা কাউন্সিলের প্রাক্তন উপদেষ্টা শিবশঙ্কর মেনন শুক্রবার এই পুরস্কার প্রাপকের নাম ঘোষণা করেন। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

মরশুমি রোগের ভোগান্তিতে স্বাস্থ্যহানির যোগ প্রবল। কাজকর্মে কিছুটা আলস্য ভাব আসতে পারে। বিদ্যায় উন্নতির যোগ। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

আন্তর্জাতিক অসামরিক বিমান পরিবহণ দিবস
ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনীর পতাকা দিবস
১৭৮২: মহীশূরের রাজা হিসেবে ক্ষমতা গ্রহণ করেন টিপু সুলতান
১৭৮২: মহীশুরের বীর যোদ্ধা হায়দার আলীর মৃত্যু
১৮৫৬: ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর-এর উপস্থিতিতে রাজকৃষ্ণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়িতে প্রথম বিধবা বিবাহের অনুষ্ঠান হয়
১৮৭২: বাংলায় প্রথম নাট্যশালা ন্যাশনাল থিয়েটার প্রতিষ্ঠিত হয় এবং দীনবন্ধু মিত্রের নীল দর্পণ নাটক মঞ্চস্থ হয়
১৮৭৯: বিপ্লবী যতীন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায় ওরফে বাঘা যতীনের জন্ম
১৮৮৯: পৃথিবীর প্রথম অটোমোবাইল তৈরি হয়
১৯১৫: ভারতে প্রথম মানব হৃদয় ট্রান্সপ্লান্টের শল্যচিকিৎসক  প্রফুল্লকুমার সেনের জন্ম
১৯৩৩: সাহিত্যিক মণিশঙ্কর মুখোপাধ্যায় ওরফে শঙ্করের জন্ম
১৯৪১: দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধকালীন জাপান কর্তৃক পার্ল হারবার আক্রমণ   ১৯৫৪: বিজেপি সাংসদ অর্জুন রাম মেঘওয়ালের জন্ম     
১৯৭০: অভিনেতা-কমেডিয়ান আলি আজগারের জন্ম
১৯৭১: ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধের সময় করাচি বন্দরে হানা দিল ভারতীয় নৌবাহিনী
১৯৮৪: বিশিষ্ট সাংবাদিক বরুণ সেনগুপ্তর সম্পাদনায় বর্তমান পত্রিকার প্রকাশনা শুরু
১৯৯১: রাশিয়া, বেলারুশ এবং ইউক্রেনের রাষ্ট্রনেতারা সোভিয়েত ইউনিয়ন ভেঙে দেওয়ার জন্য চুক্তিবদ্ধ হলেন এবং স্বাধীন রাষ্ট্রগুলিকে নিয়ে কমনওয়েলথ গঠন করলেন
২০০৯: বাগদাদে বোমা হামলায় নিহত ১২৭ এবং আহত ৪৪৮ জন



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮৩.৮৩ টাকা ৮৫.৫৭ টাকা
পাউন্ড ১০৬.১২ টাকা ১০৯.৮৭ টাকা
ইউরো ৮৭.৯০ টাকা ৯১.২৭ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭৬,৩৫০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭৬,৭৫০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৭২,৯৫০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৯১,২৫০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৯১,৩৫০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

২১ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১, শনিবার, ৭ ডিসেম্বর ২০২৪। ষষ্ঠী ১২/২৮ দিবা ১১/৭। ধনিষ্ঠা নক্ষত্র ২৬/৪৮ সন্ধ্যা ৪/৫১। সূর্যোদয় ৬/৮/৩, সূর্যাস্ত ৪/৪৮/৯। অমৃতযোগ প্রাতঃ ৬/৫১ মধ্যে পুনঃ ৭/৩৩ গতে ৯/৪১ মধ্যে পুনঃ ১১/৪৯ গতে ২/৪০ মধ্যে পুনঃ 
৩/২৩ গতে অস্তাবধি। রাত্রি ১২/৪৮ গতে ২/৩৫ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ রাত্রি ২/৩৫ গতে ৩/২৯ মধ্যে। বারবেলা ৭/২৮ মধ্যে পুনঃ ১২/৪৮ গতে ২/৮ মধ্যে পুনঃ ৩/২৮ গতে অস্তাবধি। কালরাত্রি ৬/২৮ মধ্যে পুনঃ ৪/২৮ গতে উদয়াবধি। 
২১ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১, শনিবার, ৭ ডিসেম্বর ২০২৪। ষষ্ঠী দিবা ৯/২০। ধনিষ্ঠা নক্ষত্র দিবা ৩/৫১। সূর্যোদয় ৬/৯, সূর্যাস্ত ৪/৪৯। অমৃতযোগ দিবা ৭/৩ মধ্যে ও ৭/৪৫ গতে ৯/৫২ মধ্যে ও ১২/২ গতে ২/৪৯ মধ্যে ও ৩/৩১ গতে ৪/৪৯ মধ্যে এবং রাত্রি ১২/৫৯ গতে ২/৪৬ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ রাত্রি ২/৪৬ গতে ৩/৪০ মধ্যে। কালবেলা ৭/২৯ মধ্যে ও ১২/৪৯ গতে ২/৯ মধ্যে ও ৩/২৯ গতে ৪/৪৯ মধ্যে। কালরাত্রি ৬/২৯ মধ্যে ও ৪/২৯ গতে ৬/১০ মধ্যে।
৪ জমাদিয়স সানি।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
ঝাঁসি স্টেশনে ট্রেনের ইঞ্জিনের উপর মরণঝাঁপ
ট্রেনের ইঞ্জিনের উপর ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা করলেন এক যুবক। গতকাল, ...বিশদ

11:10:00 AM

অজিত পাওয়ারের বাজেয়াপ্ত করা ১০০০ কোটির সম্পত্তি মুক্ত করল আয়কর বিভাগ

10:58:00 AM

পিঙ্ক বল টেস্ট (২য় দিন, প্রথম ইনিংস): হাফ সেঞ্চুরি করলেন লাবুস্যানে, অস্ট্রেলিয়া ১৫৬/৩, (ভারত-১৮০)

10:57:00 AM

বনগাঁয় প্রাথমিকে চাকরি করে দেওয়ার নাম করে প্রতারণার অভিযোগ, ধৃত ১

10:49:00 AM

বনগাঁ স্টেশনে লাইনে ফাটল, প্রায় এক ঘন্টা পর গড়াল ট্রেনের চাকা

10:45:00 AM

আপনার আজকের দিনটি
মেষ: বিদ্যায় উন্নতির যোগ। বৃষ: কাজকর্মে সাফল্য ও খ্যাতির সম্ভাবনা। মিথুন: পারিপার্শ্বিক জটিলতার কারণে মানসিক ...বিশদ

10:35:47 AM