প্রায় সম্পূর্ণ কাজে আকস্মিক বিঘ্ন আসতে পারে। কর্মে অধিক পরিশ্রমে স্বাস্থ্যহানির আশঙ্কা। ... বিশদ
বৃহস্পতিবার বিকেলের পর থেকেই হুগলির বিভিন্ন মন্দিরে মানুষ ভিড় জমাতে শুরু করে। চুঁচুড়ার বুনোকালী, দয়াময়ী মন্দির থেকে শ্রীরামপুরের শ্মশানকালী, সিঙ্গুর বলাগড়, ত্রিবেণীর ডাকাতকালী থেকে চণ্ডীতলার সাবেক পুজো মণ্ডপে পুজো দিতে উপচে পড়ে ভিড়। সন্ধ্যার আঁধার ঘন হতেই আলোকময় হয়ে ওঠে গঙ্গাপাড়ের জনপদ। পথেঘাটে, প্রান্তরে নেমে পড়ে পুজোমণ্ডপ ঘুরে দেখার উৎসাহী ভিড়।
হুগলিতে থিমের পুজো মূলত পাণ্ডুয়া ও চণ্ডীতলার বেগমপুরে হয়। ফলে, সেদিকে মানুষের ঢল দেখা গিয়েছে। বিশেষত, পাণ্ডুয়া যাওয়া তুলনায় সহজ হওয়ায় চুঁচুড়া, চন্দননগর, বাঁশবেড়িয়ার রেলপথে ছিল সুবেশ জনতার বিপুল ভিড়। রাতে এদিন জনপ্লাবন দেখা গিয়েছে পাণ্ডুয়ার পথেঘাটে। পুজোর রাতেও অনেক থিমের মণ্ডপে শিল্পীরা কাজ করেছেন। দুর্যোগের কারণে বিগ বাজেটের অনেক মণ্ডপসজ্জা বৃহস্পতিবার রাত পর্যন্ত শেষ হয়নি। কিন্তু তাতে জনপ্লাবন থামেনি। সে সব অসম্পূর্ণতাকে থোড়াই কেয়ার করে ঠাকুর দেখার ভিড় জমেছিল কালনা রোড থেকে হাসপাতাল মোড়, বৈঁচিতে।
পাণ্ডুয়ার প্রগতি সঙ্ঘের এক পুজোকর্তা সঞ্জয় ঘোষ বলেন, বিকেল থেকে জনজোয়ার শুরু হয়েছিল। গভীর রাত পর্যন্ত মানুষ ঘুরে ঘুরে প্রতিমা দর্শন করেছে। শুধু পাণ্ডুয়া ব্লক নয়, বাইরের ব্লক ও শহর থেকেও কাতারে কাতারে মানুষ এসেছে। পাণ্ডুয়ার কেন্দ্রীয় পুজো কমিটির অন্যতম কর্তা মাধব ঘোষ বলেন, অনেক পুজো মণ্ডপের কাজ এদিনও শেষ হয়নি। তারপরেও মানুষের আগ্রহ ছিল দেখার মতো। হুগলির বেগমপুরেও বিকেল থেকেই উৎসাহী জনতা নেমে পড়েছিলেন পুজো মণ্ডপ সফরে। পাশাপাশি, ডানকুনি, চণ্ডীতলা থেকেও মানুষ ভিড় জমিয়েছে থিম পুজোর আস্বাদ নিতে। বেগমপুরের এক পুজো উদ্যোক্তা কাঞ্চন রিট বলেন, আমরা আপ্লুত। বিশেষ করে বাইরে থেকে প্রচুর মানুষ এদিন এসেছিল।
পুজো মরশুমের শেষ লগ্নে কালীপুজো। কোথাও শনিবার তো কোথাও রবিবার ভাসান। ফলে, হুড়মুড়িয়ে দীপাবলির আলোকময় রাস্তায় নেমেছিল ভিড়। তার কোলাহলে ভোর পর্যন্ত সরগরম ছিল অমাবস্যার রাত।