Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

অজ্ঞানতার আঁধার পেরিয়ে আলোর উৎসব
সন্দীপন বিশ্বাস

সভ্যতার একেবারে আদিযুগ থেকে মানুষ ক্রমেই উত্তরণের পথে এগিয়ে যেতে চেয়েছে। এই উত্তরণ আসলে অন্ধকার থেকে আলোয় উৎসারণের প্রক্রিয়া। মানুষের কাছে আলো তাই একটা শক্তি, প্রতীক। জীবনে আলোর উদ্ভাস এনে সে অন্ধকারকে বা অশুভ শক্তিকে দূর করতে সচেষ্ট হয়েছে। হাজার হাজার বছর ধরে আমরা আলোর সাধনা করে চলেছি। কার্তিক মাস পড়লেই এখনও আমরা আকাশপ্রদীপ জ্বালি। দূরের তারার পানে চেয়ে সে সারারাত মিটমিট করে জ্বলে। বেদোত্তর যুগে এই আকাশপ্রদীপের উল্লেখ পাই। সেখানে বলা হয়েছে, আকাশপ্রদীপ জ্বালিয়ে আমরা পিতৃপুরুষদের উদ্দেশে শ্রদ্ধা নিবেদন করি। এই আলোক-তর্পণের মধ্য দিয়ে তাঁদের আবাহন করা হয়। তাঁরা ওই আলোর সরণি বেয়ে মর্ত্যে নেমে এসে আমাদের আশীর্বাদ করে যান। এছাড়া কার্তিক মাসের অমাবস্যায় আমরা দীপান্বিতা উৎসব পালন করি, কালীপুজো করি। 
আমরা আজ যে কালীমূর্তির পুজো করি, তা এসেছে অনেক পরে। তার আগে থেকে অবশ্য দেশের মানুষ দীপান্বিতা উৎসবই পালন করতেন। কোথাও একে বলে দীপাবলি, কোথাও দেওয়ালি, আবার কোথাও একে সুখরাত্রি বা যক্ষরাত্রি বলে। প্রথম শতাব্দীতে প্রাকৃত ভাষায় লেখা ‘গাথা সপ্তশতী’তে আমরা দীপান্বিতার উল্লেখ পাই। আসলে অমাবস্যার আগে ত্রয়োদশী থেকেই যেন শুরু হয়ে যায় আলোর উৎসব। এই ত্রয়োদশীকে বলা হয় ধনত্রয়োদশী বা ধনতেরস। এই দিনে মূলত দেবী লক্ষ্মীর পুজো হয়। দেবতা এবং অসুরদের মধ্যে যখন সমুদ্রমন্থন হয়েছিল, তখন ধনত্রয়োদশীর দিন দেবী লক্ষ্মী ক্ষীরসাগর থেকে উঠে এসেছিলেন। আমাদের হিন্দু শাস্ত্রে যে সাতটি মহাসাগরের উল্লেখ আছে, ক্ষীরসাগর তার মধ্যে একটি। চতুর্দশী দিনটি পালিত হয় ভূত 
চতুর্দশী হিসাবে। বলা হয় এই দিনে দৈত্যরাজ বলি ভূত, প্রেত, যোগিনী সহ পৃথিবীতে আসেন। পুরাণ কাহিনি বলছে, বিষ্ণু বামন অবতার হয়ে বলিরাজকে পায়ের চাপে পাতালে প্রবেশ করিয়েছিলেন। এই দিনে আরও একটি ঘটনার উল্লেখ পুরাণে পাই। প্রাগজ্যোতিষপুরের রাজা নরকাসুর ১৬ হাজার গোপিনীকে বন্দি করেছিলেন। তাঁদের ওপর তিনি নির্যাতন চালাতেন। কৃষ্ণ সত্যভামাকে নিয়ে সেখানে যান এবং নরকাসুরকে বধ করে সেই ১৬ হাজার গোপিনীকে উদ্ধার করেন। তাই এই দিনটিকে নরক চতুর্দশীও বলা হয়। এছাড়া বলা হয় ভূত চতুর্দশীর দিনে দেবী চামুণ্ডা তাঁর ১৪ জন প্রেতসঙ্গীকে সঙ্গে নিয়ে পৃথিবীতে আসেন। পৃথিবীর যাবতীয় অশুভ শক্তির বিনাশ করেন তিনি। কর্ণাটক, তামিলনাড়ু, গোয়া সহ বিভিন্ন রাজ্যে এই ভূতচতুর্দশীকে কেন্দ্র করে নানা রীতি প্রচলিত আছে। বাঙালিদের মধ্যেও এদিন ১৪ শাক খাওয়ার রীতি চালু আছে। অবশ্য পুরাণের পাশাপাশি অন্য ব্যাখ্যাও আছে। সেটা হল সিজন বদলের সময় আমাদের ওপর নানা ধরনের মরশুমি রোগের আক্রমণ ঘটতে পারে। তাকে ঠেকাতে এই ১৪ শাক খুবই উপকারী ভূমিকা পালন করে। আমরা এখন বাজার থেকে যে ১৪ শাক কিনে এনে খাই, তা কিন্তু শাস্ত্রে লেখা নেই।  এই ১৪ শাক হল ওল, কেঁউ, বেতো, কালকাসুন্দে, সরষে নিম, জয়ন্তী, শালিঞ্চে, গুলঞ্চ, পলতা, শেলুকা, হেলেঞ্চা, ঘেঁটু, শুষনি। স্মৃতিশাস্ত্র রচয়িতা রঘুনন্দন ভট্টাচার্যের ‘কৃত্যতত্ত্ব’ বইতে আমরা এর উল্লেখ পাই। তবে আয়ুর্বেদশাস্ত্রে অন্য কয়েকটি শাকের কথাও বলা হয়েছে।
তারপরই অমাবস্যায় হয় কালীপুজো। কালী আসলে আমাদের জীবনে এক প্রতীক দেবী। তাঁর মূর্তি কল্পনার মধ্যেই রয়েছে নানা ব্যঞ্জনা।  কালী সাধনার মধ্য দিয়ে আমরা যেন শক্তির সাধনাই করি। বাঙালি মূলত দক্ষিণা কালীর পুজো করে। এই কালীর রূপ ও সাধনার প্রবর্তন করেছিলেন নবদ্বীপের কৃষ্ণানন্দ আগমবাগীশ। ষোড়শ শতাব্দীতে তিনি ‘তন্ত্রসার’ গ্রন্থে কালীর রূপ বর্ণনা করলেন। কালী করাল বদনা, মুক্তকেশী, চতুর্ভুজা, মুণ্ডমালিনী এবং দিগম্বরী। তাঁর উপরের বামহস্তে আছে খড়্গ, নীচের বামহস্তে ছিন্ন নরমুণ্ড। দক্ষিণহস্তে তিনি বর এবং অভয় দান করছেন। তাঁর পদতলে শায়িত শিব। 
দেবীর এই কালীমূর্তি নিয়ে আমাদের অনেকেরই নানা প্রশ্ন দেখা দেয়। কেন মায়ের রং কালো, কেন তিনি জিভ বের করে আছেন, কেন তাঁর গলায় মুণ্ডমালা ইত্যাদি। আসলে এই রূপের মধ্য দিয়ে প্রকাশিত হয়েছে শক্তিতত্ত্বের এক ব্যঞ্জনা। যার সঙ্গে যোগ রয়েছে তন্ত্রের। 
বলা হয় ‘কালং কলয়তি ইতি কালী’। অর্থাৎ যিনি এই বিশ্বের অনন্ত কালকে কলন করেন বা গ্রাস করেন, তিনিই কালী। মহাকালকে তিনি জয় করে কালী হয়ে উঠেছেন। তাই তিনি নিজেই শক্তির এক আধার। তিনি নিজে কালো হলেও তাঁর পায়ের নীচে অলৌকিক আলোর উদ্ভাস। 
কালীর চার হাতের ব্যাখ্যা করতে গিয়ে বলা হয়েছে, এই চার হাত হল চারটি বেদের প্রতীক। কেউ বলেছেন এই চার হাত হল, জীবনের চারটি পর্যায়। ধর্ম, অর্থ, কাম এবং মোক্ষ। কালী উপরের ডানহস্ত ধর্মের প্রতীক, নীচের ডানহাতটি অর্থের প্রতীক। তাঁর বামদিকের নীচের হস্তটি কামের প্রতীক এবং উপরের বামহাতটি মোক্ষের প্রতীক। অনেকের মনে প্রশ্ন জাগে, কালীর পদতলে শিব কেন? তিনি তো তাঁর স্বামী! আসলে জীব যখন তাঁর অহংকে বিসর্জন দিয়ে মায়ের পদতলে আশ্রয় গ্রহণ করেন, তখন তিনি আর জীব থাকেন না, তিনি শিবে রূপান্তরিত হয়ে যান। এ এক সাধনার মধ্য দিয়ে উত্তরণ। সাধক রামপ্রসাদের গানে পাই, ‘শিব নয় মায়ের পদতলে / ওটা মিথ্যে লোকে বলে। / দৈত্য বেটা ভূমে পড়ে / মা দাঁড়িয়ে তার উপরে। / মায়ের স্পর্শে দানব দেহ / শিবরূপ হয় রণস্থলে।’ অর্থাৎ মায়ের চরণস্পর্শে আমাদের দানব সত্তা বা আমাদের সব কামনা, বাসনা, ঈর্ষা, জিঘাংসাবৃত্তি লুপ্ত হয়ে তা শিবে রূপান্তরিত হয়। শিব অর্থাৎ শান্ত। দেখা যায় শিবের গাত্রবর্ণ সাদা। এর তাৎপর্য হল, সমস্ত অন্ধকার দূর হয়েছে, অজ্ঞানতাও দূর হয়েছে। সেই ব্যক্তি তখন জ্ঞানমার্গে উন্নীত। সেই জ্ঞানের প্রতীকই হলেন শ্বেতশুভ্র শিব। 
মানুষ আসলে অজ্ঞানতার পঙ্কে ডুবে আছে। তার জীবনযাপনে জড়িয়ে আছে নানা লোভ 
হিংসা, কামনা, প্রবঞ্চনা, স্বার্থপরতার বিষাক্ত শ্বাস। সেই অজ্ঞানতার মধ্যে, মোহের আবরণে সে কীট হয়ে বাস করে। সেখান থেকে তাঁকে খুঁজে নিতে হবে জ্ঞানের আলো। তাই সাধক কবি মায়ের পায়ের জবা হয়ে ফুটে উঠতে বলেছেন। তার মধ্যেই আনন্দ এবং মুক্তিকে অনুভব করা যায়। কালী সাধকরাও সেই মায়ের পায়ের নীচের আলোটুকু হৃদয় দিয়ে 
প্রত্যক্ষ করার জন্য সারাজীবন তাঁরই অনুধ্যানে ডুবে থাকেন। কমলাকান্ত বললেন, ‘কালোরূপে দিগম্বরী হৃদিপদ্ম করে আলো’। 
এভাবেই শ্যামাসঙ্গীতের মধ্য দিয়ে সাধক যেমন মায়ের সন্ধান করেন, তেমনই গৃহী বাঙালি শ্যামাসঙ্গীতের সুধারসে নিজেকে ডুবিয়ে মাতৃনামের আনন্দ অনুভব করেন। রামপ্রসাদ, কমলাকান্ত থেকে শুরু করে ঈশ্বর গুপ্ত, গিরিশ ঘোষ, রবীন্দ্রনাথ সকলেই শ্যামাসঙ্গীত লিখেছেন। পাশাপাশি বহু মুসলিম কবিও শ্যামার নামে গান বেঁধে অমর হয়ে আছেন শাক্ত পদাবলীর ইতিহাসে। নজরুল ইসলাম সাধকের মতোই কালীর নামে অসংখ্য গান বেঁধেছেন। এছাড়া গান লিখেছেন আকবর আলি, মির্জা হুসেন আলি, নওয়াজিস খান, হাসন রাজা সহ আরও অনেকে। ‘কালিকমঙ্গল’ লিখেছিলেন শাহ বারিদ খাঁ। মুনসি বেলায়েত হোসেন উৎকৃষ্ট শ্যামাসঙ্গীত রচনার জন্য ‘কালীপ্রসন্ন’ উপাধি পান।  ধর্মের সংকীর্ণ বেড়াজাল ভেঙে তাঁরাও কালীর বন্দনা করেছেন।  
বাংলা শাক্ত পদাবলীর গানে পান্নালাল ভট্টাচার্যের মতো এত জনপ্রিয়তা আর কেউ পাননি। ‘মা আমার সাধ না মিটিল আশা না পুরিল সকলি পুরায়ে যায় মা।’ মানব জীবনের কী করুণ আর্তনাদ এই সঙ্গীতের মধ্য দিয়ে ধ্বনিত হয়েছে। এই যে আমাদের এত লোভ, এত তৃষ্ণা, তা কি সত্যিই কোনওদিন নিবারিত হতে পারে? আকণ্ঠ তৃষ্ণা নিয়ে মানুষ ক্রমেই মৃত্যুর দিকে এগিয়ে চলেছে। আর যখন একটু একটু করে আলো নিভে আসে, যখন জীবনের সব সঞ্চয় একটু একটু করে ক্ষয়ে যায়, তখন জীবন প্রদীপের সেই ম্রিয়মান আলোয় আমাদের ক্রন্দনধ্বনি বোধ হয় এভাবেই প্রকাশিত হয়ে ওঠে। মাগো, বাসনার পিছনে ছুটতে ছুটতে সময় তো অতিক্রান্ত, তোমাকে ডাকার সময় পেলাম কই! শ্যামাসঙ্গীত যেন মায়ের সঙ্গে সন্তানের সেই কথোপকথন। সেই কথার মধ্যে সন্তানের অনুযোগই বেশি। ‘মা আমায় ঘুরাবি কত, কলুর বলদের মতো’। ‘যে ভালো করেছো কালী আর ভালোতে কাজ নাই, / ভালোয় ভালোয় বিদায় দে মা আলোয় আলোয় চলে যাই।’ ‘কোন অবিচারে আমার পরে / করলে দুঃখের ডিক্রিজারি?’
তাই এখানে ভগবানের সঙ্গে ভক্তের সম্পর্ক হল আসলে মা ও ছেলের। সব কিছু সাঙ্গ হলে পড়ে থাকে মায়ের চরণ। ভক্ত তখন আকুল স্বরে বলে ওঠেন, ‘আমি কর্মদোষে রইনু বসে পাপের বোঝা শিরে ধরি… /  নে মা কোলে তুলে অভাগারে, দে মা তোর ঐ চরণতরী।’  
30th  October, 2024
দ্রুত মুখোশ খসে পড়ছে ইউনুস সরকারের
মৃণালকান্তি দাস 

চোখে সোনালি সানগ্লাস। পরনে সাদা পাঞ্জাবি। হাতে রকেট লঞ্চার। সংবাদপত্রে প্রকাশিত সেই ছবি দেখে আঁতকে উঠেছিল গোটা ভারত উপমহাসাগর। আঁতকে ওঠার যথেষ্ট কারণও ছিল। বিশদ

জুতো উপহার এবং বাংলাদেশের পাকিস্তান প্রেম
হারাধন চৌধুরী

‘তখন ধীরে চামার-কুলপতি/ কহিল এসে ঈষৎ হেসে বৃদ্ধ,/ ‘বলিতে পারি করিলে অনুমতি/ সহজে যাহে মানস হবে সিদ্ধ।/ নিজের দুটি চরণ ঢাকো, তবে/ ধরণী আর ঢাকিতে নাহি হবে।’ 
—জুতা-আবিষ্কার, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
বিশদ

04th  December, 2024
এবার আজমির! ফল কিন্তু ভয়াবহ
শান্তনু দত্তগুপ্ত

ওটিটি প্ল্যাটফর্মে ইদানীংকালের সবচেয়ে জনপ্রিয় সিরিজ কী? মির্জাপুর? নাকি পঞ্চায়েত? এই সিজন ব্যাপারটা বেশ আকর্ষণীয়। আট-দশটা এপিসোড, টানটান উত্তেজনা, দর্শকের অ্যাড্রেনালিন ক্ষরণের উপাদান ছুঁয়ে খিদেটাকে জিইয়ে রাখা। প্রোডিউসার-ডিরেক্টররা জানেন, অপেক্ষা চলবে। পরের সিজনের জন্য।
বিশদ

03rd  December, 2024
মহাযুতির প্রচার: স্রেফ কৌশল, প্রাপ্তি শূন্য
পি চিদম্বরম

১৬ নভেম্বর, ২০২৪ তারিখ ‘ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস’-এ প্রকাশিত আমার নিবন্ধের শিরোনাম ছিল ‘মহারাষ্ট্র ইজ দ্য প্রাইজ’। বিজেপি, শিবসেনা এবং এনসিপির জোট মহাযুতি নিশ্চিতভাবেই সেই পুরস্কার জিতে নিয়েছে। এই কথা স্বীকার করতে আমার কোনও দ্বিধা নেই। ২৮৮টি আসনের মধ্যে মহাযুতি ২৩০টিতে জয়ী হয়েছে।
বিশদ

02nd  December, 2024
মোদি কি ৫৩ বছর আগের ইন্দিরা হতে পারবেন?
হিমাংশু সিংহ

লৌহমানবী ইন্দিরা গান্ধী কড়া হাতে মোকাবিলা না করলে অর্ধশতাব্দী আগে বাংলাদেশ নামক রাষ্ট্রটির জন্ম হতো কি না তার উত্তর আমাদের অজানা। সেই প্রশ্নের জবাব অধুনা কোনও ৫৬ ইঞ্চি ছাতির লোকদেখানো বীরপুঙ্গবও দিতে পারেন কি না, আপাতত তারই পরীক্ষা। বিশদ

01st  December, 2024
নেগেটিভ ভোটে কিস্তিমাতের দিন শেষ!
তন্ময় মল্লিক

যদি প্রশ্ন করা হয়, এ রাজ্যের সদ্য সমাপ্ত উপ নির্বাচনের ফল কী প্রমাণ করল? প্রায় সকলের বক্তব্য মোটামুটি এরকম হবে, আর জি কর কাণ্ড সাধারণ মানুষের মধ্যে কোনও প্রভাবই ফেলেনি। বাংলাদেশের ধার করা ‘দফা এক দাবি এক’ স্লোগানে তেমন কেউ সাড়া দেননি। বিশদ

30th  November, 2024
মমতার স্ট্র্যাটেজির কাছে হেরে যাচ্ছে বিরোধীরা
সমৃদ্ধ দত্ত

৭৭ বছরের ইতিহাসে পশ্চিমবঙ্গে এখনও পর্যন্ত দুবার দুটি আন্দোলনের সঙ্গে সরকার বদলে যাওয়ার সম্পর্ক স্থাপিত হয়েছে। ১৯৫৯ সালে শুরু হয়েছিল খাদ্য আন্দোলন। কিন্তু তার প্রভাব পরবর্তী নির্বাচনে বিশেষ পড়েনি। সেই খাদ্য আন্দোলনেরই দ্বিতীয় পর্ব আছড়ে পড়েছিল ১৯৬৬ সালে। বিশদ

29th  November, 2024
কানাডা এখন আর এক পাকিস্তান!
মৃণালকান্তি দাস

কানাডার ব্রাম্পটন শহরের হিন্দু সভা মন্দিরটি রয়েছে এক ব্যস্ত সড়কের পাশে। এখানকার বহু বাড়ি এখনও দীপাবলির আলোকসজ্জায় সজ্জিত। মন্দিরের পার্কিং লটের উপর দাঁড়িয়ে ৫৫ ফুট উচ্চতার হনুমান মূর্তিটি সর্বক্ষণ পুণ্যার্থীদের দিকে তাকিয়ে। বিশদ

28th  November, 2024
গতির উদ্দামতায় বাজে ধ্বংসের গান
সন্দীপন বিশ্বাস

বদলে গিয়েছে তরুণের স্বপ্ন। বহু তরুণের দু’চোখজুড়ে এখন শুধুই উদ্দাম গতির স্বপ্নরেখা। সেই গতির মধ্যে এখন তাঁরা অনুভব করেন, স্পর্ধায় মাথা তোলার ঝুঁকি। একটা বাইক কোম্পানির ট্যাগলাইন ছিল, ‘হাম মে হ্যায় হিরো’। এই হিরো হওয়ার জন্য এখনকার যুবকরা মনে করেন, একটা বাইকই যথেষ্ট। বিশদ

27th  November, 2024
মোদিবিহীন জয়! স্ট্র্যাটেজি বদলাচ্ছে সঙ্ঘ
শান্তনু দত্তগুপ্ত

‘রাজীব গান্ধী যখন প্রধানমন্ত্রী হয়েছিলেন, রাজনীতির কোন অভিজ্ঞতাটা তাঁর ছিল? আমার ছেলে বা ভাইপো যদি রাজনীতিতে আসে, আমি আটকানোর কে? আর আটকাবই বা কেন? কিন্তু এখানে আমার একটাই শর্ত থাকবে—আমার সেনাপতিদের অসম্মান তারা করতে পারবে না।’ বিশদ

26th  November, 2024
আমেরিকায় ট্রাম্পের উত্থানের প্রভাব ভারতে কেমন হবে?
পি চিদম্বরম

 

ডোনাল্ড ট্রাম্প এখনও পোটাস  (প্রেসিডেন্ট অফ দি ইউনাইটেড স্টেটস) নন। আনুষ্ঠানিকভাবে তাঁর দায়িত্বগ্রহণের প্রতীক্ষিত দিনটি এখনও সাত সপ্তাহ দূরে। তার মধ্যেই বিশ্বজুড়ে ‘টক অফ দ্য টাউন’ হল: ট্রাম্পের নয়া জমানার কোন প্রভাব পড়বে—বিশ্বে, আপনার দেশে, আপনার শহরে, আপনার চাকরিতে বা প্রায় সবকিছুতে।
বিশদ

25th  November, 2024
সমবায় আন্দোলনের বিশ্ব নেতৃত্বে ভারত
অমিত শাহ

শুধুমাত্র আর্থিকভাবে উচ্চাকাঙ্ক্ষীদের নয়, সেইসঙ্গে তাঁদের সুসংহত করে অর্থনীতির মূল স্রোতে ফিরিয়ে আনার ব্যাপারেও সমবায় ক্ষেত্রের ভূমিকা রয়েছে। 
বিশদ

25th  November, 2024
একনজরে
বিদেশে মারাত্মক পর্যায়ে পৌঁছে গিয়েছে সাইবার প্রতারণা। কম্পিউটার হ্যাক করে বদলে দেওয়া হচ্ছে ই-প্রেসক্রিপশনের ওষুধ। এর জেরে রোগীর মৃত্যু পর্যন্ত হয়েছে। সুতরাং হাসপাতালের নিরাপত্তা নিয়ে ...

অশান্তি কমার নাম নেই। যদিও বাংলাদেশের তত্ত্বাবধায়ক সরকার বারবার দাবি করছে যে, দেশে সংখ্যালঘু সম্প্রদায় নিরাপদেই রয়েছে। তবে তাতে চিঁড়ে ভিজছে না। এবার পদ্মপারে বসবাসকারী ব্রিটেনের নাগরিক ও পর্যটকদের জন্য নয়া নির্দেশিকা জারি করল সেদেশের ফরেন কমনওয়েলথ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট অফিস। ...

এক সপ্তাহ ধরে মিলছে না জলাতঙ্কের প্রতিষেধক (অ্যান্টি র‌্যাবিস ভ্যাকসিন)। সরকারি হাসপাতাল ও পুরসভার ক্লিনিকে গিয়ে ফিরে আসতে বাধ্য হচ্ছেন অনেকে। তাঁরা বাধ্য হচ্ছেন বাজার ...

ভারতীয় দলে তারকার ছড়াছড়ি। আর সেই কারণেই বিশেষ কোনও একজনকে নিয়ে ভাবছে না অস্ট্রেলিয়া। বরং দুর্দান্ত প্রতিভাবান একটা দলকে হারানোর জন্যই রণকৌশল তৈরি করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন অজি অফ স্পিনার নাথান লিয়ঁ। গোলাপি বলের টেস্ট শুরুর আগে তিনি বলেছেন, ‘ওদের ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

পুরনো সঞ্চয় ও শেয়ার প্রভৃতি ক্ষেত্র থেকে অর্থ লাভের যোগ প্রবল। মানসিক অস্থিরতা থাকবে। সন্তানের ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

আন্তর্জাতিক স্বেচ্ছাসেবক দিবস
বিশ্ব মাটি দিবস
১৩৬০: ফ্রান্সের মুদ্রা ফ্রাঁ চালু হয়
১৭৬৬: লন্ডনে প্রথম নিলাম ডাক শুরু হয়
১৮৫৪: রিভলবিং থিয়েটার চেয়ারের পেটেন্ট করেন অ্যারোন অ্যালেন
১৮৭৯: স্বয়ংক্রিয় টেলিফোন সুইচিং সিস্টেম প্রথম পেটেন্ট হয়
১৯০১: মার্কিন চলচ্চিত্র প্রযোজক, নির্দেশক ও কাহিনীকার ওয়াল্ট ডিজনির জন্ম
১৯১১: প্রবাদপ্রতিম গীতিকার ও কবি প্রণব রায়ের জন্ম
১৯১৩: বাঙালি চিত্রশিল্পী গোপাল ঘোষের জন্ম
১৯২৪: গীতিকার গৌরীপ্রসন্ন মজুমদার জন্ম
১৯৩২: অভিনেত্রী নাদিরার জন্ম
১৯৩৫: কলকাতায় মেট্রো সিনেমা হল প্রতিষ্ঠা হয়
১৯৩৯: অভিনেত্রী বাসবী নন্দীর জন্ম
১৯৪০: সঙ্গীত শিল্পী গুলাম আলির জন্ম
১৯৪৩: জাপানী বোমারু বিমান কলকাতায় বোমা বর্ষণ করে
১৯৫০: বিপ্লবী, দার্শনিক ও আধ্যাত্মসাধক ঋষি অরবিন্দের প্রয়াণ
১৯৫১: শিল্পী ও লেখক অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুরের মৃত্যু
১৯৬৯: বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান পূর্ব-পাকিস্তানের নামকরণ করেন ‘‘বাংলাদেশ ”
১৯৮৫: ক্রিকেটার শিখর ধাওয়ানের জন্ম
১৯৮৬:  ভারতের ভৌত রসায়ন বিজ্ঞানের পথিকৃৎ ড. নীলরতন ধরের মৃত্যু
১৯৯৩: বিশিষ্ট বাঙালি সঙ্গীতশিল্পী ও সুরকার  সত্য চৌধুরীর মৃত্যু
১৯৯৯: যানজট এড়াতে ব্যাংককে আকাশ ট্রেন সার্ভিস চালু
১৯৯৯: মিস ওয়ার্ল্ড হলেন যুক্তামুখী
২০১৩: দক্ষিণ আফ্রিকার বর্ণবাদবিরোধী আন্দোলনের অবিসংবাদিত নেতা নেলসন ম্যান্ডেলার মৃত্যু



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮৩.৮৮ টাকা ৮৫.৬২ টাকা
পাউন্ড ১০৫.৩৯ টাকা ১০৯.১২ টাকা
ইউরো ৮৭.২৫ টাকা ৯০.৬০ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭৬,৪০০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭৬,৮০০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৭৩,০০০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৯০,৩৫০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৯০,৪৫০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

১৯ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১, বৃহস্পতিবার, ৫ ডিসেম্বর ২০২৪। চতুর্থী ১৭/৪৮ দিবা ১২/৫০। উত্তরাষাঢ়া নক্ষত্র ২৮/২০ সন্ধ্যা ৫/২৭। সূর্যোদয় ৬/৬/৪৩, সূর্যাস্ত ৪/৪৭/৪৯। অমৃতযোগ দিবা ৭/৩২ মধ্যে পুনঃ ১/১৪ গতে ২/৩৯ মধ্যে। রাত্রি ৫/৪১ গতে ৯/১৪ মধ্যে পুনঃ ১১/৫৪ গতে ৩/২৭ মধ্যে পুনঃ ৪/২০ গতে উদয়াবধি। বারবেলা ২/৮ গতে অস্তাবধি। কালরাত্রি ১১/২৭ গতে ১/৭ মধ্যে। 
১৯ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১, বৃহস্পতিবার, ৫ ডিসেম্বর ২০২৪। চতুর্থী দিবা ১১/৫১। উত্তরাষাঢ়া নক্ষত্র সন্ধ্যা ৫/১৩। সূর্যোদয় ৬/৮, সূর্যাস্ত ৪/৪৮। অমৃতযোগ দিবা ৭/৪৭ মধ্যে ও ১/২৩ গতে ২/৪৮ মধ্যে এবং রাত্রি ৫/৪৮ গতে ৯/২৩ মধ্যে ও ১২/৪ গতে ৩/৩৯ মধ্যে ও ৪/৩৩ গতে ৬/৯ মধ্যে। কালবেলা ২/৮ গতে ৪/৪৮ মধ্যে। কালরাত্রি ১১/২৮ গতে ১/৮ মধ্যে। 
২ জমাদিয়স সানি।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
থানের আনন্দ দিঘে মঠ দর্শন করলেন মহারাষ্ট্রের নতুন উপ মুখ্যমন্ত্রী একনাথ সিন্ধে

10:34:00 PM

শান্তিপুরে ফেরিঘাটে দুর্ঘটনা: ডুবুরি নামিয়ে তল্লাশির সময় নৃসিংহপুর ঘাটের পাশে ডুবন্ত লরির নীচ থেকে উদ্ধার নিখোঁজ ব্যক্তির মৃতদেহ

10:19:00 PM

ভুবনেশ্বরে জুডিশিয়াল কোর্ট কমপ্লেক্সের উদ্বোধন করলেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু

10:10:00 PM

হায়দরাবাদে আটক হওয়া বিআরএস নেতা হরিশ রাওকে মুক্তি দিল গাচিবোলি থানার পুলিস

10:04:00 PM

আটক বিধায়ক কৌশিক রেড্ডি, তেলেঙ্গানার বাঞ্জারা হিলস পুলিস স্টেশনে গেলেন বিআরএস নেত্রী কে কবিতা

09:53:00 PM

আইএসএল: ম্যাচ ড্র, ৯০ মিনিট শেষে ওড়িশা ০-মুম্বই সিটি ০

09:36:00 PM