Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

বাংলাদেশ প্রমাণ, বিভাজন শুধু বিপর্যয়ই আনে
শান্তনু দত্তগুপ্ত

বাংলাদেশের একটি ভিডিও পোস্ট করেছেন তসলিমা নাসরিন। নাটকের দৃশ্য। তাতে যশোর জামিয়া ইসলামিয়ার তিন ছাত্র ইসলামিক জঙ্গিদের সাজে দাঁড়িয়ে আছে। হাতে বন্দুক। আপাতদৃষ্টিতে প্লাস্টিকের বলেই মনে হচ্ছে (দেশটা এখনও সিরিয়া হয়ে যায়নি। নাটকের জন্য সেখানে আজও প্লাস্টিকের বন্দুক ব্যবহার হয়)। জনসমক্ষে জেহাদের ডাক দিচ্ছে তারা। তসলিমা লিখেছেন, ‘কে জানে, অদূর ভবিষ্যতে এই খেলনা বন্দুকই আসল আগ্নেয়াস্ত্রে বদলে যাবে না!’
আতঙ্কে তসলিমা নাসরিন। মৌলবাদের হিংস্র রূপ কেমন হতে পারে, সেই অভিজ্ঞতা তাঁর রয়েছে। বাংলাদেশ থেকে ‘বিতাড়িত’ তিনি। কিন্তু তারপরও জন্মভূমির জন্য ভয় হয় তাঁর। শুধুই কি তসলিমা? যে কোনও শুভবুদ্ধিসম্পন্ন মানুষই কি বাংলাদেশের অধুনা পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বিগ্ন নন? একটা গোটা রাষ্ট্র যদি ধর্মের নামে নিজেদের চরিত্র বদলে ফেলে, তার থেকে বেশি আতঙ্কের অন্য কিছু হতে পারে না। কোনও দেশে, কোনও সমাজেই নয়। বিভাজনের রাজনীতি মানুষকে শুধু মানুষের থেকে বিচ্ছিন্ন করে। যে ঘরে যুগ যুগ ধরে ন’জনের বাস, হঠাৎ সেখানেই নিজেকে অবাঞ্ছিত বলে মনে করে কোনও না কোনও সুজন। ধর্মের নামে বিভাজনের রাজনীতির বিস্তার এমনই। মাত্র ১৭ কোটি জনসংখ্যার দেশে বিভাজনের ঝড় যে দ্রুত বিপর্যয় আনবে, তাতে সংশয় নেই। ভারতের মতো ১৪০ কোটির দেশ হলে, তাতে খানিক সময় লাগে। এ অনেকটা তাপ পরিবহণের থিওরির মতো। লোহার রড যদি ছোট হয়, এক মাথা থেকে অন্য মাথা পর্যন্ত তাপের পরিবহণ খুব তাড়াতাড়ি হয়ে থাকে। কিন্তু যদি সেই রডই ৫০০ মিটার লম্বা হয়, সামান্য তাপ তার এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্ত পর্যন্ত পৌঁছনোর আগেই ফুরিয়ে যায়। ভারতই তার জলজ্যান্ত উদাহরণ। চেষ্টা-চরিত্র এদেশেও কম কিছু হচ্ছে না! ইসলামি জঙ্গি সংগঠনগুলির হানাদারি বা কাশ্মীরের মতো প্রদেশে লাগাতার ভারত বিরোধী প্রচার তো ছিলই। কিন্তু মোদি জমানায় মাথাচাড়া দেওয়া হিন্দুত্ববাদী জিগির পুরো সমীকরণটাকেই উল্টো পথে কষতে শুরু করেছে। কারণ একটাই—ভোটব্যাঙ্ক। কোনও ফর্মুলা ক্লিক না করলে পরীক্ষিত অবস্থান নিতে হয়। সেটা মোদি সরকারের থেকে বেশি ভালো কেউ জানে না। আর সেই অঙ্ক হল হিন্দুত্ববাদের। তাই আশঙ্কায় থাকতে হবে আমাদেরও। বাংলাদেশে মৌলবাদ যেভাবে সমাজ এবং সরকারের দখল নিয়েছে, ভারতেও সেটা হতে পারে। এক দেশ এক ভোট, অভিন্ন দেওয়ানি বিধি, ধর্মস্থান নিয়ে মামলা-মোকদ্দমা... নতুন ভারত ইতিহাসও লিখতে চাইছে নতুনভাবে। কিন্তু ওই যে লোহার রডটা বড্ড লম্বা। তাই কিছুতেই সর্বত্র তাপটা পৌঁছতে পারছে না। সেরকমটা না হলে রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘের শতবর্ষে পৌঁছে হিন্দুরাষ্ট্রের স্বপ্নও হয়তো সফল হয়ে যেত।
তাই সময় এসেছে সতর্ক হওয়ার। মৌলবাদ কিংবা ধর্মীয় বিভাজন, নাম যাই হোক না কেন, তার মারের ওজন ভয়াবহ। হাসিনা সরকারের পতন সত্যিই হয়তো চেয়েছিল বাংলাদেশ। শিকেয় তুলে রাখা নির্বাচন, কিংবা বঙ্গবন্ধুর নাম ব্যবহার করে সর্বত্র দুর্নীতি। উন্নয়নের যাবতীয় ছবি মানুষের মন থেকে মুছে দেওয়ার জন্য যথেষ্ট। সেটা কিন্তু এক-দু’দিনে হয়নি। বছরের পর বছর এই ধারাতেই বয়েছে বাংলাদেশের রাজনীতি। আর সেই সুযোগটাই পুরোদমে নিয়েছে সমাজের কট্টরপন্থী অংশ। এখন দেখলে মনে হয়, পুরো দেশটাকেই যেন মগজধোলাই মেশিনের ভিতরে ভরে ‘সাইজ’ করা হয়ে গিয়েছে। যে নতুন প্রজন্ম জাতপাতের ঊর্ধ্বে উঠে বিশ্বভ্রাতৃত্বের কথা বলে, তাদের মুখেই এখন মৌলবাদের স্টিকার মারা। যে বঙ্গবন্ধু তাদের স্বাধীনতার কারিগর, বাংলাদেশ থেকে মুছে যেতে বসেছেন তিনিই। যতক্ষণ এই কাজটি কমপ্লিট হচ্ছে, বাংলাদেশের এই প্রজন্মের যেন স্বস্তি নেই! যে ভারত নিত্য গণহত্যা, কট্টরপন্থা, প্রতিদিন খুন হতে থাকা মানবিকতা থেকে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানকে মুক্তি দিয়েছিল, তারাই এখন শত্রু! কারণ কী? ইন্ডিয়া বড্ড বেশি নাক গলায় তাদের দেশে? সাম্প্রতিক একটি সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, বাংলাদেশের ৫৯ শতাংশ মানুষ নাকি পাকিস্তানকে পছন্দ করেন। সত্যিই... ইন্দিরা গান্ধীর খেয়েদেয়ে কাজ ছিল না। বাংলাদেশকে স্বাধীন করতে গিয়েছিলেন। চেয়েছিলেন নিজের পায়ে দাঁড় 
করাতে। তারাই এখন ভারতের ‘অঙ্গহানি’ করতে উঠেপড়ে লেগেছে। কখনও টার্গেট করছে শিলিগুড়ি করিডর, কখনও উত্তর-পূর্ব ভারত, আবার কখনও নিশানায় সরাসরি কলকাতা। মুক্তি পাচ্ছে ফাঁসির সাজা পাওয়া দাগি জঙ্গিরা। ধুঁকতে থাকা জঙ্গি সংগঠনগুলো আবার উঠে দাঁড়াচ্ছে। আর সেইসঙ্গে জঙ্গি অনুপ্রবেশ বাড়ছে ভারতে। 
স্বাধীনতার আগে, অর্থাৎ অবিভক্ত বাংলার হিসেব ধরলে তখন ওই বাংলাদেশ অঞ্চলে হিন্দু জনসংখ্যা ছিল ২৮ শতাংশ। এখন সেটাই নেমে গিয়েছে ৮ শতাংশে। আর আজ এই সংখ্যাটা প্রতিদিন কমছে। অনুপ্রবেশ ঘটছে ভারতে। কেউ কেউ আবার নানাবিধ উপায়ে পালিয়ে যাচ্ছে পশ্চিম এশিয়ার দেশগুলিতে। ইসলামিক রাষ্ট্র হলেও সেখানে কাজ করতে অসুবিধা হয় না। নিয়মের বেড়াজাল থাকে, তবে তা ধর্মের নামে প্রাণঘাতী নয়। একটা বিষয়ই শুধু দেখার, কোনও অবস্থাতেই যেন পাকিস্তানে যেতে না হয়। ওই একটি দেশ, যেখানে সংখ্যালঘু অধিকার বাংলাদেশের থেকেও অনেক বেশি অবহেলিত। গোটা দেশে মাত্র দুই শতাংশ হিন্দু। কিন্তু তাদের প্রতিদিন লড়তে হয় বেঁচে থাকার জন্য। অস্তিত্ব বাঁচিয়ে রাখার জন্য। কট্টরপন্থা এবং মৌলবাদের ঝাঁঝ এমনই। একটি মাত্র নোয়াখালির দাঙ্গা অধুনা বাংলাদেশের হিন্দু জনসংখ্যা ২০ শতাংশ ছেঁটে দিয়েছে। কলেজ বিল্ডিংয়ে লুকিয়ে থাকা ১২ বছরের মেয়েটি দেখেছে, কীভাবে ইসলামের নামে পথেঘাটে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে অমানুষরা। খুন হচ্ছে অসহায় বৃদ্ধ, রাস্তায় পড়ে কাতরাচ্ছে ধর্ষিতা নারী। কৈশরের গণ্ডিতেও প্রবেশ না করা মেয়েটির ওইসব দেখার কথা নয়। তাও সে দেখেছে। সাত মাসের ছোট্ট বোনটি কেঁদে উঠলে বাবাকে সে বলতে শুনেছে, ওকে মেরে ফেলব। তাহলে আমাদের এতগুলো প্রাণ বাঁচবে। কয়েকটা দিন, একটা ঘটনাক্রম এক ঝটকায় ওই নাবালিকাকে বুড়িয়ে দিয়েছিল। মনে তার প্রশ্ন ছিল একটাই—এই কি ধর্ম? তাহলে এমন ধর্মের প্রয়োজন নেই। ৭৫ বছর পর... ২০২১ সালে আবার ফিরেছিল সেই স্মৃতি। কুমিল্লার নানুয়া দিঘির পাড় পুজো প্যান্ডেলে রেখে যাওয়া কোরাণ শরিফ উস্কে দিয়েছিল সংঘর্ষের আগুন। মন্দির-প্রতিমা ভাঙচুর, হিন্দুদের বাড়িতে হামলা, আগুন... কারণ ছিল একটাই—ধর্মীয় বিভাজন। এরপরও কি আমাদের চোখ খুলবে না? এরপরও স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী জনসভায় দাঁড়িয়ে মঙ্গলসূত্র বিকিয়ে যাওয়ার ভয় দেখান। সংখ্যালঘুদের হাতে সব সম্পত্তি চলে যাবে বলে হুঁশিয়ার করেন। কীসের লক্ষ্যে? ভোট ছাড়া অন্য কিছু তো নয়! হিন্দুত্ববাদী নেতা হওয়ার জন্য কি সংখ্যালঘু সম্প্রদায়কে প্রতিপক্ষ হিসেবে খাড়া করতে হয়? হয়তো তাই। নরেন্দ্র মোদি অন্তত সেরকমই মনে করেন। আর তাই সরসঙ্ঘ প্রধান মোহন ভাগবতকে পর্যন্ত বলতে হয়, যেখানে সেখানে মসজিদ দেখলেই মন্দির ইস্যু তোলাটা সাম্প্রদায়িক শত্রুতার প্রকাশ। ভাগবতের নিশানা যে নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বাধীন বিজেপি এবং যোগী আদিত্যনাথ, সে ব্যাপারে সংশয় নেই। কেন এই ড্যামেজ কন্ট্রোল? মোদি-যোগী যা বুঝতে পারছেন না, সেটাই কি উপলব্ধি হচ্ছে সঙ্ঘের? তিনি কি আশঙ্কা করছেন যে, উগ্র বিভাজনের রাজনীতি দলের পায়ের তলা থেকে মাটি আলগা করে দিচ্ছে? নাকি বাংলাদেশ তাঁকে ভাবিয়েছে?
বাংলাদেশ আজ জ্বলন্ত উদাহরণ হয়ে আমাদের সামনে দাঁড়িয়ে রয়েছে। আমাদের বহু বাঙালির ভিত ওই দেশে। নাড়ির টান ছেঁড়েনি এখনও। তাই বাংলাদেশে বিপর্যয় হলে তা আমাদের মন ছুঁয়ে যায়। প্রতিনিয়ত। তারপরও আমরা শিখি না। ধর্মের নামে বিভাজনের আগুনে হাওয়া দিতে থাকি। যে আধার হওয়া উচিত ছিল আমাদের শক্তি, সেটাই হয়ে দাঁড়ায় দুর্বলতা। সেই সুযোগই নেয় রাজনীতির কারবারিরা। তাই এই দেশে বাবরি সৌধ ধ্বংস হয়। সবরমতী-গোধরা হয়ে ওঠে ভোটের অস্ত্র। রামমন্দিরের নামে রাজনীতি করে ক্ষমতার অলিন্দে প্রবেশ ঘটে। জ্ঞানবাপী, সম্ভল, আজমির... ধর্ম পালনের অধিকার বারবার ধাক্কা খায়। সেই ফর্মুলাতেই জ্বলে ওঠে ইভিএমের আলো। তারপরও আমরা শিখি না। বাংলাদেশকে দেখেও না। 
উস্তাদ জাকির হুসেন তবলাতেই শিব ঠাকুরের ডমরুর বোল তুলতেন। বলতেন, ওই ডমরু থেকেই তো তালবাদ্যের আবিষ্কার। আর সেই আবিষ্কার কে করেছিলেন? গণেশ ঠাকুর। তাই জাকির হুসেনের তবলায় শোনা যেত মহাদেবের ডমরুর সঙ্গে শঙ্খধ্বনির এক মোহময়ী ফিউশন। উস্তাদ বিসমিল্লা খাঁ সাহেব মঞ্চে বসে বলতেন, ‘মৌলবী সাহেব কোরাণ পড়েন। পণ্ডিতজি গীতা। যাজক যিশু বন্দনা করেন। প্রত্যেকে ওই এক উপরওয়ালার ইবাদত করছেন। ধরন আলাদা। কিন্তু সঙ্গীত? দুনিয়ার কেউ দেখাতে পারবে, সা রে গা মা পা ধা নি সা’র বাইরে আর একটাও সুর আছে? তাই তো এখানে কোনও জাতপাত নেই। ধর্ম নেই। সব ধর্মই এখানে এসে শেষ হয়। আর সঙ্গীতের থেকে বেশি পবিত্র প্রার্থনার উপায় কীই বা আছে?’ ভারত আর বাংলাদেশকেও তো সঙ্গীতই বেঁধে রেখেছে। বেঁধে রেখেছেন রবি ঠাকুর। তাঁরই লেখনি বেয়ে নেমে আসা সুর ও স্বর জাতীয় সঙ্গীত হয়ে ভেসে চলেছে এই দুই দেশের আকাশে। কাজী নজরুল ইসলামকে নিয়ে যে চর্চা বাংলাদেশে হয়েছে, তা এপার বাংলাতেও যে হয়নি। সেই বাংলাদেশই আজ ধুলোয় মিশিয়ে দিচ্ছে সংস্কারকে। সংস্কৃতিকে। ভেঙে পড়ছে একের পর এক সৌধ। আর তার সঙ্গে জড়িয়ে থাকা ইতিহাস, আত্মীয়তা, সুর। ধর্মের রাজনীতিতে অন্ধ হয়ে বাংলাদেশ আজ মারতে শুরু করেছে। কিন্তু এ তো সূচনা মাত্র! এই মোহের বশে যে মারে, তাকে তো মরতেও হয়। আজ না হোক কাল। এটাই যে জগতের ব্যালান্স। যে বুঝবে, সে বাঁচবে। আর যে বুঝেও বুঝবে না? সতর্ক হবে না? বাংলাদেশ কিন্তু খুব দূর নয়!
24th  December, 2024
হলিউডে ড্রাগনের থাবা!
মৃণালকান্তি দাস

পরিচালক স্টিভেন স্পিলবার্গ বেজিংয়ের তিয়েনআনমেন স্কোয়ারে পা রেখেছিলেন ২০০৪ সালের ২২ সেপ্টেম্বর। সেদিন তিয়েনআনমেন স্কোয়ারে একটি বিশাল ঘড়ি লাগানো হয়েছিল। ঘড়ির কাঁটা চালু হয়েছিল ১ হাজার ৪১৭ দিন গণনার জন্য। লক্ষ্য ২০০৮-এর গ্রীষ্মকালীন ওলিম্পিক্স। 
বিশদ

আধুনিক ভারতের স্থপতি, দূরদর্শী রাষ্ট্রনায়ক
নরেন্দ্র মোদি

আজ ২৫ ডিসেম্বর, আমাদের সকলের কাছে একটি অত্যন্ত বিশেষ দিন। আমাদের প্রিয় প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী অটলবিহারী বাজপেয়িজির ১০০তম জন্মজয়ন্তী। তিনি শুধু একজন রাষ্ট্রনায়ক নন, অগণিত মানুষকে প্রেরণা জুগিয়ে চলেছেন নিরন্তর।  বিশদ

25th  December, 2024
সাহেবি আমল থেকেই বড়দিন বাঙালির নিজস্ব পার্বণ
সন্দীপন বিশ্বাস

সাহেবি আমলের দেশি বাবুরা কেবল দুর্গাপুজো, বুলবুলির লড়াই আর বিড়ালের বিয়ে নিয়েই মেতে থাকতেন না, তাঁরা বড়দিন বা ইংরেজি নববর্ষের আনন্দের স্রোতেও ভেসে যেতেন। সে ছিল এক দেখার মতো ব্যাপার। বাবুদের কাপ্তেনির মেজাজে লাগত সুরা ও সুরের দোল। বিশদ

25th  December, 2024
সংবিধানের উপর বিরাট আঘাত
পি চিদম্বরম

ভারতের সংবিধান গ্রহণের ৭৫তম বার্ষিকী আমরা উদযাপন করেছি ২০২৪ সালের ২৬ নভেম্বর। সংবিধানের ৭৫ বছরের যাত্রাকে স্মরণ করার জন্য সংসদের দুটি কক্ষই তাদের নিয়মিত কার্যাবলির বাইরে দুটি দিন আন্তরিকতার সঙ্গেই উৎসর্গ করেছিল।
বিশদ

23rd  December, 2024
এক দেশ এক নির্বাচন কার স্বার্থে?
হিমাংশু সিংহ

কেন ইস্তফা দেবেন না অমিত শাহ? দেশের দণ্ডমুণ্ডের কর্তাই যদি মুখ ফস্কে দেশের সংবিধান প্রণেতা সম্পর্কে এমন বালখিল্য মন্তব্য করেন তাহলে সরকারের অভিসন্ধি বুঝতে ভুল হওয়ার কথা নয়। সম্মান জানানো দূরস্থান, বি আর আম্বেদকরের ভূমিকাকে লঘু করার চেষ্টা করেন, তাহলে তাঁর ও তাঁর কট্টর মনুবাদী দলের আসল উদ্দেশ্য বুঝতে অসুবিধা হয় না। ‘আলটপকা’ এই মন্তব্যটা স্রেফ অজুহাত।
বিশদ

22nd  December, 2024
এরপরেও বিজেপি গরিবের ভোট চাইবে?
তন্ময় মল্লিক

বাংলার বাড়ি প্রকল্পের টাকা দেওয়ামাত্র বিরোধীরা একযোগে সমালোচনা শুরু করে দিয়েছেন। তাঁদের দাবি, ‘ছাব্বিশের ভোটের জন্য এসব করা হচ্ছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মাছের তেলে মাছ ভাজছেন। কারণ এটা সাধারণ মানুষের করের টাকা।’ বিরোধীরা একেবারে হক কথা বলছেন। বিশদ

21st  December, 2024
জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার কমছে অথচ অপুষ্টি কমছে না
সমৃদ্ধ দত্ত

সরকার জনসংখ্যা নীতি নিয়ে চিন্তাভাবনা করছে। জনসংখ্যা বৃদ্ধি যাতে কমে যায় সেই কঠোর নীতি কি নেওয়া দরকার? নাকি জনসংখ্যা নীতির প্রয়োজন নেই? এই জল্পনা এখন সরকারের অন্দরে অন্যতম প্রধান একটি বিতর্ক। সিদ্ধান্ত নেওয়া যাচ্ছে না। কিন্তু যে রাষ্ট্র আর কিছু বছরের মধ্যে নাকি তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতি হবে সেখানে এত শিশুমৃত্যু কেন? এত অপুষ্টি কেন?
বিশদ

20th  December, 2024
আল-কায়েদা জঙ্গি জোলানি এখন হিরো
মৃণালকান্তি দাস

প্রচণ্ড গরমের এক দুপুর। ইরাক আর সিরিয়ার সীমান্তের কাছাকাছি একটি জায়গায় দাঁড়িয়ে দু’টি পিকআপ ভ্যান। স্থানীয়রা জানত, এসব গাড়ি কাদের এবং কী উদ্দেশ্যে এখানে চলাচল করে। সিরিয়ার বাজার থেকে অস্ত্র কিনে এই রুট দিয়ে সেগুলি ইরাকে নিয়ে যায় আল-কায়েদা। বিশদ

19th  December, 2024
পাকিস্তান নয়, ভারতই পাশে থাকবে
হারাধন চৌধুরী

অনেক সংশয় কাটিয়ে সোমবার ঢাকাতেও পালিত হল ‘বিজয় দিবস’। এমনকী, কলকাতায় ফোর্ট উইলিয়ামের বিজয় দিবসের অনুষ্ঠানেও যোগ দিল বাংলাদেশের প্রতিনিধি দল। ‌গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে হাসিনা সরকারের পতন হয় এবং ৮ আগস্ট বাংলাদেশের দায়িত্ব নেয় মহম্মদ ইউনুসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকার।
বিশদ

18th  December, 2024
সিবিআইকে নিয়ে গদগদ হওয়ার কিছু আছে কি?
শান্তনু দত্তগুপ্ত

১) ময়নাতদন্ত নিয়ে প্রশ্ন। কল্যাণী এইমস এবং দিল্লির গঙ্গারামপুর হাসপাতালে পাঠানোর পরও কিন্তু খুঁত মিলল না। বিশদ

17th  December, 2024
প্রত্যাশিত ভারত মোদির ‘বিকশিত’ ভারত নয়
পি চিদম্বরম

বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর এবং ইলেকট্রনিক্স ও তথ্য-প্রযুক্তি মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব—দু’জনেই শহুরে, সুশিক্ষিত ও মৃদুভাষী মানুষ। এস জয়শঙ্কর ফরেন সার্ভিসে একটি উল্লেখযোগ্য কর্মজীবন কাটিয়েছেন। সেখানে তাঁকে একজন উদারপন্থী ব্যক্তি হিসেবেই বিবেচনা করা হতো।
বিশদ

16th  December, 2024
এক দেশ এক নির্বাচন ও মমতার চ্যালেঞ্জ
হিমাংশু সিংহ

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের রাজনৈতিক জীবনের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ ছাব্বিশে, না তারও আড়াই বছর বাদে উনত্রিশের সম্মিলিত নির্বাচনে, তা ভবিষ্যৎ বলবে। কিন্তু ইতিমধ্যেই রাজ্যের সীমানা ছাড়িয়ে জাতীয় ক্ষেত্রেও তাঁকে প্রধান মুখ করে লড়ার প্রস্তুতি শুরু হয়ে গিয়েছে পাটনা থেকে মুম্বই, লখনউ থেকে দিল্লির প্রধান বিরোধী দলগুলির মধ্যে। বিশদ

15th  December, 2024
একনজরে
গত ১৩ বছরে রাজ্যের বিদ্যুৎ বণ্টন পরিকাঠামো উন্নয়নে একাধিক পদক্ষেপ করেছে রাজ্য সরকার। তার ফলে রাজ্যে লোডশেডিং এখন অতীত। ...

মাদক বিরোধী অভিযানে সাফল্য অসম পুলিসের। শ্রীভূমি জেলার পুলিস হাতিখিরা এলাকায় অভিযান চালিয়ে একটি ট্রাক থেকে দেড় লক্ষ ইয়াবা ট্যাবলেট বাজেয়াপ্ত করেছে। ...

পাকিস্তানের বিমান হামলা। আফগানিস্তানে ৪৬ জন নিহত। তাঁদের মধ্যে মহিলা ও শিশুর সংখ্যাই বেশি। তালিবান সরকারের মুখপাত্র জাবিউল্লা মুজাহিদ জানান, মঙ্গলবার রাতে পাকিতিকা প্রদেশের বারমাল জেলার চারটি এলাকায় হামলা চালায় পাকিস্তান। ...

বর্ধমান ও বীরভূমের একশ্রেণির অ্যাম্বুলেন্স চালকের জন্যই বর্ধমানের ভুয়ো ডাক্তারদের রমরমা বেড়েছে। এছাড়া এই দুই জেলায় কিছু দালাল ছড়িয়ে রয়েছে। তারাই রোগীদের নকল নার্সিংহোমে নিয়ে আসত বলে তদন্তে নেমে জানতে পেরেছে প্রশাসন। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

পড়ে গিয়ে বা পথ দুর্ঘটনায় আঘাতপ্রাপ্তির যোগ থাকায় সতর্ক হন। কর্মে  উন্নতি ও সাফল্যের যোগ। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৭৯১- কম্পিউটারের জনক চার্লস ব্যাবেজের জন্ম
১৮০১- বাংলা ও মাদ্রাজের জন্য ব্রিটিশদের প্রথম সুপ্রিম কোর্ট গঠন
১৮৩১- হেনরি লুই ভিভিয়ান ডিরোজিওর মৃত্যু
১৮৫০- ভারতের চিকিৎসাশাস্ত্রে সবচেয়ে সম্মানিত ও প্রথম স্যার উপাধিপ্রাপ্ত চিকিৎসক  স্যার কৈলাসচন্দ্র বসুর জন্ম
১৮৯৩- চীনা কমিউনিস্ট পার্টির নেতা মাও সে তুংয়ের জন্ম
১৮৯৯- বিপ্লবী উধম সিংয়ের জন্ম
১৯০৬- অস্ট্রেলিয়ার মেলবোর্নে বিশ্বের প্রথম পূর্ণদৈর্ঘ্য ছায়াছবি ‘দি স্টোরি অব দ্য কেলি গ্যাং’ প্রথম প্রদর্শিত হয়
১৯১৩- কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে ডি লিট উপাধি দেয়
১৯১৯- লীগ অব নেশনস প্রতিষ্ঠিত হয়
১৯৪৯- মধ্যাকর্ষণের নতুন সাধারণকৃত তত্ত্ব উদ্ভাবন করেন বিজ্ঞানী আলবার্ট আইস্টাইন
২০০৪- ভয়াবহ সুনামির আঘাত ভারত-সহ ছয়টি দেশে, নিহত আড়াই লক্ষেরও বেশি মানুষ



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮৪.২৮ টাকা ৮৬.০২ টাকা
পাউন্ড ১০৪.৮৬ টাকা ১০৮.৫৭ টাকা
ইউরো ৮৬.৮৬ টাকা ৯০.২০ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
25th  December, 2024
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭৬,২০০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭৬,৬০০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৭২,৮০০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৮৮,৪০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৮৮,৫০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

১১ পৌষ, ১৪৩১, বৃহস্পতিবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪। একাদশী ৪৬/৩ রাত্রি ১২/৪৪। স্বাতী নক্ষত্র ২৯/৩৮ সন্ধ্যা ৬/১০। সূর্যোদয় ৬/১৮/৩৯, সূর্যাস্ত ৪/৫৫/৪৯। অমৃতযোগ দিবা ৭/৪৩ মধ্যে পুনঃ ১/২৩ গতে ২/৪৮ মধ্যে। রাত্রি ৫/৪৯ গতে ৯/২৩ মধ্যে পুনঃ ১২/৪ গতে ৩/৩৮ মধ্যে পুনঃ ৪/৩২ গতে উদয়াবধি। বারবেলা ২/১৬ গতে অস্তাবধি। কালরাত্রি ১১/৩৮ গতে ১/১৮ মধ্যে।                                                               
১০ পৌষ, ১৪৩১, বৃহস্পতিবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪। একাদশী রাত্রি ১১/৪৯। স্বাতী নক্ষত্র রাত্রি ৬/৪। সূর্যোদয় ৬/২২, সূর্যাস্ত ৪/৫৫। অমৃতযোগ দিবা ৭/৫০ মধ্যে ও ১/৩১ গতে ২/৫৭ মধ্যে এবং রাত্রি ৫/৫৮ গতে ৯/৩১ মধ্যে ও ১২/১১ গতে ৩/৪৪ মধ্যে ও ৪/৩৮ গতে ৬/২২ মধ্যে। কালবেলা ২/১৭ গতে ৪/৫৫ মধ্যে। কালরাত্রি ১১/৩৮ গতে ১/১৯ মধ্যে। 
২৩ জমাদিয়স সানি।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী তথা প্রাক্তন আচার্য মনমোহন সিংয়ের প্রয়াণে শোকের ছায়া বিশ্বভারতীতে
প্রয়াত দেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী তথা বিশ্বভারতীর প্রাক্তন আচার্য মনমোহন সিং। ...বিশদ

01:49:46 AM

প্রয়াত মনমোহন সিং
প্রয়াত ভারতের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং। আজ, বৃহস্পতিবার রাতেই দিল্লি ...বিশদ

12:04:38 AM

প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংয়ের প্রয়াণে আগামী কাল, শুক্রবার সরকারি ছুটির ঘোষণা কর্ণাটক সরকারের

11:55:00 PM

প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংয়ের প্রয়াণে শোকপ্রকাশ রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর

11:54:00 PM

প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংয়ের প্রয়াণে শোকপ্রকাশ বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারের

11:53:00 PM

প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংয়ের প্রয়াণে সাত দিনের রাষ্ট্রীয় শোকের ঘোষণা কেন্দ্রের

11:52:00 PM