Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার কমছে অথচ অপুষ্টি কমছে না
সমৃদ্ধ দত্ত

আন্তর্জাতিক টার্মের পরিভাষায় একে বলা হচ্ছে ডিঙ্ক। অর্থাৎ DINK। এর অর্থ কী? ডাবল ইনকাম নো কিডস। বলা হচ্ছে দুটি জেনারেশন সম্পর্কে। জেনারেশন জেড (z)। যারা জন্মগ্রহণ করেছে ১৯৯৫ থেকে ২০১০ সালের মধ্যে। এবং জেনারেশন আলফা। যাদের জন্ম হচ্ছে ২০১০ সালের পর থেকে ২০২৫ সাল পর্যন্ত সময়সীমায়। ‘ডাবল ইনকাম নো কিডস’ নীতি নিয়েছে গোটা বিশ্বের মতোই ভারতের এই জেনারেশনের শিক্ষিত নাগরিক যুবগোষ্ঠীর একাংশ। এবং এই সংখ্যা তথা প্রবণতা বাড়ছে।  অর্থাৎ তারা বিবাহ করতেও পারে, নাও পারে। স্বামী ও স্ত্রী দুজনেই অবশ্য আয় করবে এবং নীতিগতভাবে কোনও সন্তান গ্রহণ করবে না। অতএব নীতি হল ‘ডাবল ইনকাম নো কিডস’। তাই সংক্ষেপে এদের নীতিকে বলা হয়ে থাকে ডিঙ্ক। 
জেনারেশন আলফা আগামী দিনে বিশ্বের বৃহত্তম জনগোষ্ঠী হবে।  ২০০ কোটি ছাড়িয়ে যাবে। এই জেনারেশনের সঙ্গে তাবৎ পূর্বজদের প্রধান পার্থক্য হল, একমাত্র এই আলফা জেনারেশন সম্পূর্ণ ডিজিটাল যুগে জন্মগ্রহণ করেছে এবং সেই যুগেই বসবাস করবে আজীবন। অর্থাৎ মোবাইল, ইন্টারনেট, আর্টিফিশিয়াল ইনটেলিজেন্স—মানবসভ্যতার প্রধান তিন ডিজিটাল চালিকাশক্তির মধ্যেই আবর্তিত এদের জীবন। 
এই যে দুই জেনারেশনের সিংহভাগ নাগরিকের মধ্যে শিক্ষিত অংশের সন্তান গ্রহণ না করার এমন নীতি ভারত এবং বিশ্বের প্রায় সব রাষ্ট্রের সরকারগুলির কাছে এখন অন্যতম প্রধান সঙ্কট। এই জেনারেশনের একাংশ এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন? একাধিক কারণ। প্রধানত তারা সন্তান পালনের দায়িত্ব পূর্ণাঙ্গ পালন করতে পারবে না বলে নিজেরাই মনে করছে। অর্থাৎ সেই ক্ষমতা ও যোগ্যতা তাদের নেই। সেই সময় ও প্যাশনও নেই। নিজেদের আয় ও পেশাকে বিপদ অথবা অনিশ্চয়তায় ফেলতে চায় না তারা। দায়িত্ব পালন করতে না পারলে কেন একটি জীবনকে নষ্ট করবে? তাই এই সিদ্ধান্ত। কিন্তু অন্যতম একটি কারণ হল, চাকরি বা আয়ের অনিশ্চয়তা। আজকাল বেসরকারি সেক্টরে কতদিন কার চাকরি থাকবে এবং থাকবে না, সেটা কেউ জানে না। তাই ওই অনিশ্চয়তায় তারা সন্তানকে আনতে চায় না। 
বিশ্বের কাছে এই প্রবণতা অবশ্যই উদ্বেগজনক বার্তা। কারণ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বিপজ্জনকভাবে জনসংখ্যা কমে যাচ্ছে। জাপানের জনসংখ্যা বিগত ১৫ বছর ধরে নেগেটিভ গ্রোথ। অর্থাৎ কমে যাচ্ছে। ২০১৭ সালে তাদের জনসংখ্যা ছিল ১২ কোটি ৮০ লক্ষ। ২০২৩ সালে জাপানের জনসংখ্যা ১২ কোটি ৪৫ লক্ষ। মাত্র একটি বছরে, ২০২২ সালে জাপানের জনসংখ্যা ৫ লক্ষ কমে গিয়েছে।
২০১৭ সালে ইতালির জনসংখ্যা ছিল সাড়ে ৬ কোটি। এই শতাব্দীর শেষে ইতালির জনসংখ্যা ২ কোটি ৮০ লক্ষ হয়ে যাবে। চীনের জনসংখ্যা আর পাঁচ বছর পর হবে ১৪০ কোটি। কিন্তু ২১০০ সালে চীনের জনসংখ্যা হবে ৭৩ কোটি। ল্যানসেট স্টাডি থেকে জনসংখ্যার বিশ্লেষণ ও পূর্বাভাস পাওয়া যায়। আর পাওয়া যায় রাষ্ট্রসঙ্ঘের জনসংখ্যা বিভাগ থেকে। 
ইরান থেকে ব্রাজিল। জার্মানি থেকে ব্রিটেন। এবং আমেরিকা। বিশ্বের সর্বত্র কমছে জনসংখ্যা। আমরা ভারতের বাসিন্দা। আমাদের উদ্বেগ তো হওয়ার কথা প্রবল জনসংখ্যা বৃদ্ধি নিয়েই। একেবারেই ঠিক। কিন্তু এখানেই সম্পূর্ণ বিপরীত পরিস্থিতির দিকে অগ্রসর হচ্ছে ভারতও। কারণ, ভারতের জনসংখ্যা বৃদ্ধির হারও নাটকীয়ভাবে কমতে শুরু করেছে। 
স্বাধীনতার পর প্রথম ৩০ বছরে ভারতের জনসংখ্যা বৃদ্ধির বিস্ফোরণ ঘটেছিল। দ্বিগুণ হয়ে গিয়েছিল জনসংখ্যা। কিন্তু ১৯৮০ সাল থেকে জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার কমতে থাকে। সেটাও মেনে নেওয়া যায়। কিন্তু ২০২০ সালের বিশ্লেষণে দেখা গিয়েছে ভারতের জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার সর্বকালীন রেকর্ড হারে কম। অর্থাৎ জনসংখ্যা বাড়ছে বটে, কিন্তু বেড়ে যাওয়ার যে হার, সেটা সর্বনিম্ন। এই নিম্নতম হওয়ার রেকর্ড ক্রমেই আগামী দিনে আরও ভেঙে যাবে। আর তার পরিণতি কী? রাষ্ট্রসঙ্ঘের পূর্বাভাসে বলা হচ্ছে, ২০৬০ সালে ভারতের জনসংখ্যা হবে ১৭৩ কোটি। এবং সেই দশক থেকে ভারতের জনসংখ্যা কমতে থাকবে। অর্থাৎ নেগেটিভ গ্রোথে ঢুকে পড়বে ভারতও।
কেন কমে যায় জনসংখ্যা? প্রধান কারণ টিএফআর কমে যাওয়া। অর্থাৎ টোটাল ফার্টিলিটি রেট ক্রমশই কম হওয়া। কাকে বলে টোটাল ফার্টিলিটি রেট? একজন মহিলার সারাজীবনে যতগুলি সন্তান হয় এবং জীবিত থাকে, সেটাই টিএফআর। এভাবেই তৈরি হয় দেশ অথবা রাজ্যের গড় টিএফআর। বিশ্বের সব দেশের মতোই ভারতের টিএফআর দ্রুত কমছে। সিকিম অথবা আন্দামানের মতো কিছু রাজ্য বা কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল বাদ দিলে বৃহৎ রাজ্যগুলির মধ্যে সবথেকে কম টিএফআর কোন রাজ্যের? অর্থাৎ কোন রাজ্যের জনসংখ্যা বৃদ্ধিহার সবথেকে কম? পশ্চিমবঙ্গ! মাত্র ১.৬০। 
জনসংখ্যার ভারসাম্য বজায় থাকে যদি টিএফআর ২.১ পয়েন্টের উপরে থাকে। একে বলা হয় রিপ্লেসমেন্ট ফার্টিলিটি। কিন্তু পশ্চিমবঙ্গ তো বটেই, দক্ষিণ ভারতের তাবৎ রাজ্য এবং পশ্চিম ভারতেও কিছু রাজ্যের টিএফআর ২ পয়েন্টের নীচে। গড়ে ভারতের জনসংখ্যা রিপ্লেসমেন্ট ফার্টিলিটির নীচে চলে গিয়েছে। অর্থাৎ প্রতি বছর যত সন্তান ভারতে জন্মগ্রহণ করছে সেই সংখ্যা ক্রমেই কমছে। ২১০০ সালেও ভারত থেকে যাবে বিশ্বের সর্ববৃহৎ জনসংখ্যার দেশ। কিন্তু ভারতের জনসংখ্যা সেই সময় হবে ১১০ কোটি। এরকমই পূর্বাভাস। 
ইংরাজিতে একটি টার্ম রয়েছে। শ্রিংকিং সিটিজ (shrinking cities)। অর্থাৎ যে সব শহরের জনসংখ্যা কমে যাচ্ছে। বিশ্বের বহু জনপদ আছে যেখানে সামান্য কিছু বাসিন্দা আছে। মাইগ্রেশন অন্যতম কারণ। অর্থাৎ অন্যত্র চলে যাওয়া এবং জন্মহার কমে যাওয়া। এই তালিকার প্রথম নামটি কী? নাগাসাকি। আমেরিকা বুদ্ধিমান ও দূরদর্শী। তার বহু আগেই এই শহরে আণবিক বোমা ফেলে বুঝিয়ে দিয়েছিল যে এই শহর থাকার দরকার নেই। নাগাসাকি সেই চরম দুঃসহ অবস্থা থেকে ঘুরে দাঁড়িয়েছিল। অথচ তাদের ভাগ্যেই রয়েছে শূন্য শহর হয়ে যাওয়া ক্রমে। ভারতে উল্লেখযোগ্য শ্রিংকিং সিটির তালিকায় অনেক পিছনে হলেও রয়েছে কলকাতা, মুম্বই, কোচি, বেঙ্গালুরু, দিল্লি, চেন্নাই। সবথেকে বেশি জনসংখ্যা কমছে মাদুরাইতে। 
আর ঠিক এই সময়কালে একটি তথ্য ও পরিসংখ্যান এসে সব হিসেব গুলিয়ে দিয়েছে। শিশুমৃত্যুর হিসেব। শিশুজন্মের হার যেখানে ক্রমশই কমছে, সেখানে ভারত নামক রাষ্ট্র এখনও অপুষ্টিতে শিশুমৃত্যুর রেকর্ড করছে বিশ্বে। ২০২১ সালে শুধু এক বছরে ভারতে ৭০ হাজার শিশুর প্রত্যক্ষ মৃত্যু হয়েছে অপুষ্টির কারণে। প্রত্যক্ষ মৃত্যু মানে কী? মানে হল, অপুষ্টিতেই মৃত্যু। ওজন কম, পর্যাপ্ত খাবার না পাওয়া, সব রকম ভিটামিন ও জিঙ্কের অভাব এবং মায়ের দুধ না পাওয়া ইত্যাদি। গোটা বিশ্বে ওই বছরে ২০ লক্ষ শিশুর মৃত্যু হয়েছিল অপুষ্টিতে। সেখানে ভারতে ৭০ হাজারের বেশি অপুষ্টিমৃত্যু চরম বিপদসংকেত! 
সবথেকে বেশি শিশুমৃত্যু কী কারণে হয়? আন্ডারওয়েট। অর্থাৎ কম ওজন। কেন? মায়ের শরীরে পুষ্টি না থাকা। মা পুষ্টিকর খাদ্য পায় না। তাই সন্তানের মৃত্যু হয়। এবং সংক্রমণ। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা জন্মের সময়ই কম থাকা। সেটাও মায়ের অপুষ্টির কারণে। 
আমরা যে যেখানেই থাকি, আমাদের আশপাশে শেষ কবে দেখেছি সম্পূর্ণ নতুন একটি সরকারি হাসপাতাল তৈরি হয়েছে? শিক্ষা ও স্বাস্থ্য তো কেন্দ্র ও রাজ্য যৌথ তালিকাভুক্ত। তাহলে যে কোনও রাজ্যে কেন্দ্রীয় হাসপাতাল কিংবা কেন্দ্রীয় স্কুল এত কম কেন? বাংলায় ক’টা কেন্দ্রীয় হাসপাতাল আছে? শিশুমৃত্যুর অন্যতম কারণ শ্বাসকষ্ট। করোনাকালে বলা হয়েছিল রাজ্যে রাজ্যে অক্সিজেন প্ল্যান্ট বসানো হচ্ছে। কতগুলো অক্সিজেন প্ল্যান্ট বসানো হয়েছে? 
ভারতে  ১ হাজার শিশুর জন্ম হলে ২৬ জনের গড়ে মৃত্যু হয়। সবথেকে বেশি শিশুমৃত্যুর হার গ্রামীণ ভারতে। জন্মহার কমছে। সরকার জনসংখ্যা নীতি নিয়ে চিন্তাভাবনা করছে। জনসংখ্যা বৃদ্ধি যাতে কমে যায় সেই কঠোর নীতি কি নেওয়া দরকার? নাকি জনসংখ্যা নীতির প্রয়োজন নেই? এই বিতর্ক ও জল্পনা এখন সরকারের অন্দরে অন্যতম প্রধান একটি বিতর্ক। সিদ্ধান্ত নেওয়া যাচ্ছে না। 
কিন্তু যে রাষ্ট্র আর কিছু বছরের মধ্যে নাকি তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতি হবে সেখানে এত শিশুমৃত্যু কেন? এত অপুষ্টি কেন?
20th  December, 2024
হলিউডে ড্রাগনের থাবা!
মৃণালকান্তি দাস

পরিচালক স্টিভেন স্পিলবার্গ বেজিংয়ের তিয়েনআনমেন স্কোয়ারে পা রেখেছিলেন ২০০৪ সালের ২২ সেপ্টেম্বর। সেদিন তিয়েনআনমেন স্কোয়ারে একটি বিশাল ঘড়ি লাগানো হয়েছিল। ঘড়ির কাঁটা চালু হয়েছিল ১ হাজার ৪১৭ দিন গণনার জন্য। লক্ষ্য ২০০৮-এর গ্রীষ্মকালীন ওলিম্পিক্স। 
বিশদ

আধুনিক ভারতের স্থপতি, দূরদর্শী রাষ্ট্রনায়ক
নরেন্দ্র মোদি

আজ ২৫ ডিসেম্বর, আমাদের সকলের কাছে একটি অত্যন্ত বিশেষ দিন। আমাদের প্রিয় প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী অটলবিহারী বাজপেয়িজির ১০০তম জন্মজয়ন্তী। তিনি শুধু একজন রাষ্ট্রনায়ক নন, অগণিত মানুষকে প্রেরণা জুগিয়ে চলেছেন নিরন্তর।  বিশদ

25th  December, 2024
সাহেবি আমল থেকেই বড়দিন বাঙালির নিজস্ব পার্বণ
সন্দীপন বিশ্বাস

সাহেবি আমলের দেশি বাবুরা কেবল দুর্গাপুজো, বুলবুলির লড়াই আর বিড়ালের বিয়ে নিয়েই মেতে থাকতেন না, তাঁরা বড়দিন বা ইংরেজি নববর্ষের আনন্দের স্রোতেও ভেসে যেতেন। সে ছিল এক দেখার মতো ব্যাপার। বাবুদের কাপ্তেনির মেজাজে লাগত সুরা ও সুরের দোল। বিশদ

25th  December, 2024
বাংলাদেশ প্রমাণ, বিভাজন শুধু বিপর্যয়ই আনে
শান্তনু দত্তগুপ্ত

বাংলাদেশের একটি ভিডিও পোস্ট করেছেন তসলিমা নাসরিন। নাটকের দৃশ্য। তাতে যশোর জামিয়া ইসলামিয়ার তিন ছাত্র ইসলামিক জঙ্গিদের সাজে দাঁড়িয়ে আছে। হাতে বন্দুক। আপাতদৃষ্টিতে প্লাস্টিকের বলেই মনে হচ্ছে (দেশটা এখনও সিরিয়া হয়ে যায়নি। নাটকের জন্য সেখানে আজও প্লাস্টিকের বন্দুক ব্যবহার হয়)। বিশদ

24th  December, 2024
সংবিধানের উপর বিরাট আঘাত
পি চিদম্বরম

ভারতের সংবিধান গ্রহণের ৭৫তম বার্ষিকী আমরা উদযাপন করেছি ২০২৪ সালের ২৬ নভেম্বর। সংবিধানের ৭৫ বছরের যাত্রাকে স্মরণ করার জন্য সংসদের দুটি কক্ষই তাদের নিয়মিত কার্যাবলির বাইরে দুটি দিন আন্তরিকতার সঙ্গেই উৎসর্গ করেছিল।
বিশদ

23rd  December, 2024
এক দেশ এক নির্বাচন কার স্বার্থে?
হিমাংশু সিংহ

কেন ইস্তফা দেবেন না অমিত শাহ? দেশের দণ্ডমুণ্ডের কর্তাই যদি মুখ ফস্কে দেশের সংবিধান প্রণেতা সম্পর্কে এমন বালখিল্য মন্তব্য করেন তাহলে সরকারের অভিসন্ধি বুঝতে ভুল হওয়ার কথা নয়। সম্মান জানানো দূরস্থান, বি আর আম্বেদকরের ভূমিকাকে লঘু করার চেষ্টা করেন, তাহলে তাঁর ও তাঁর কট্টর মনুবাদী দলের আসল উদ্দেশ্য বুঝতে অসুবিধা হয় না। ‘আলটপকা’ এই মন্তব্যটা স্রেফ অজুহাত।
বিশদ

22nd  December, 2024
এরপরেও বিজেপি গরিবের ভোট চাইবে?
তন্ময় মল্লিক

বাংলার বাড়ি প্রকল্পের টাকা দেওয়ামাত্র বিরোধীরা একযোগে সমালোচনা শুরু করে দিয়েছেন। তাঁদের দাবি, ‘ছাব্বিশের ভোটের জন্য এসব করা হচ্ছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মাছের তেলে মাছ ভাজছেন। কারণ এটা সাধারণ মানুষের করের টাকা।’ বিরোধীরা একেবারে হক কথা বলছেন। বিশদ

21st  December, 2024
আল-কায়েদা জঙ্গি জোলানি এখন হিরো
মৃণালকান্তি দাস

প্রচণ্ড গরমের এক দুপুর। ইরাক আর সিরিয়ার সীমান্তের কাছাকাছি একটি জায়গায় দাঁড়িয়ে দু’টি পিকআপ ভ্যান। স্থানীয়রা জানত, এসব গাড়ি কাদের এবং কী উদ্দেশ্যে এখানে চলাচল করে। সিরিয়ার বাজার থেকে অস্ত্র কিনে এই রুট দিয়ে সেগুলি ইরাকে নিয়ে যায় আল-কায়েদা। বিশদ

19th  December, 2024
পাকিস্তান নয়, ভারতই পাশে থাকবে
হারাধন চৌধুরী

অনেক সংশয় কাটিয়ে সোমবার ঢাকাতেও পালিত হল ‘বিজয় দিবস’। এমনকী, কলকাতায় ফোর্ট উইলিয়ামের বিজয় দিবসের অনুষ্ঠানেও যোগ দিল বাংলাদেশের প্রতিনিধি দল। ‌গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে হাসিনা সরকারের পতন হয় এবং ৮ আগস্ট বাংলাদেশের দায়িত্ব নেয় মহম্মদ ইউনুসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকার।
বিশদ

18th  December, 2024
সিবিআইকে নিয়ে গদগদ হওয়ার কিছু আছে কি?
শান্তনু দত্তগুপ্ত

১) ময়নাতদন্ত নিয়ে প্রশ্ন। কল্যাণী এইমস এবং দিল্লির গঙ্গারামপুর হাসপাতালে পাঠানোর পরও কিন্তু খুঁত মিলল না। বিশদ

17th  December, 2024
প্রত্যাশিত ভারত মোদির ‘বিকশিত’ ভারত নয়
পি চিদম্বরম

বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর এবং ইলেকট্রনিক্স ও তথ্য-প্রযুক্তি মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব—দু’জনেই শহুরে, সুশিক্ষিত ও মৃদুভাষী মানুষ। এস জয়শঙ্কর ফরেন সার্ভিসে একটি উল্লেখযোগ্য কর্মজীবন কাটিয়েছেন। সেখানে তাঁকে একজন উদারপন্থী ব্যক্তি হিসেবেই বিবেচনা করা হতো।
বিশদ

16th  December, 2024
এক দেশ এক নির্বাচন ও মমতার চ্যালেঞ্জ
হিমাংশু সিংহ

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের রাজনৈতিক জীবনের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ ছাব্বিশে, না তারও আড়াই বছর বাদে উনত্রিশের সম্মিলিত নির্বাচনে, তা ভবিষ্যৎ বলবে। কিন্তু ইতিমধ্যেই রাজ্যের সীমানা ছাড়িয়ে জাতীয় ক্ষেত্রেও তাঁকে প্রধান মুখ করে লড়ার প্রস্তুতি শুরু হয়ে গিয়েছে পাটনা থেকে মুম্বই, লখনউ থেকে দিল্লির প্রধান বিরোধী দলগুলির মধ্যে। বিশদ

15th  December, 2024
একনজরে
বর্ধমান ও বীরভূমের একশ্রেণির অ্যাম্বুলেন্স চালকের জন্যই বর্ধমানের ভুয়ো ডাক্তারদের রমরমা বেড়েছে। এছাড়া এই দুই জেলায় কিছু দালাল ছড়িয়ে রয়েছে। তারাই রোগীদের নকল নার্সিংহোমে নিয়ে আসত বলে তদন্তে নেমে জানতে পেরেছে প্রশাসন। ...

নতুন বছরে মারুতি সুজুকি কোম্পানির গাড়ির দাম বাড়ছে। শুক্রবার সংস্থা ঘোষণা করেছে, আগামী ১ জানুয়ারি থেকে চার শতাংশ পর্যন্ত হারে দাম বাড়ছে সব মডেলের গাড়ির। ...

গত ১৩ বছরে রাজ্যের বিদ্যুৎ বণ্টন পরিকাঠামো উন্নয়নে একাধিক পদক্ষেপ করেছে রাজ্য সরকার। তার ফলে রাজ্যে লোডশেডিং এখন অতীত। ...

শীতের আমেজ গায়ে মেখে বড়দিনে মাতল গৌড়বঙ্গ। চার্চ থেকে বিনোদন পার্ক, রেস্তরাঁ, সিনেমা হল- ভিড় সর্বত্র। দিকে দিকে বসল পিকনিকের আসরও। ছুটির দিনে চলল হই ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

পড়ে গিয়ে বা পথ দুর্ঘটনায় আঘাতপ্রাপ্তির যোগ থাকায় সতর্ক হন। কর্মে  উন্নতি ও সাফল্যের যোগ। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৭৯১- কম্পিউটারের জনক চার্লস ব্যাবেজের জন্ম
১৮০১- বাংলা ও মাদ্রাজের জন্য ব্রিটিশদের প্রথম সুপ্রিম কোর্ট গঠন
১৮৩১- হেনরি লুই ভিভিয়ান ডিরোজিওর মৃত্যু
১৮৫০- ভারতের চিকিৎসাশাস্ত্রে সবচেয়ে সম্মানিত ও প্রথম স্যার উপাধিপ্রাপ্ত চিকিৎসক  স্যার কৈলাসচন্দ্র বসুর জন্ম
১৮৯৩- চীনা কমিউনিস্ট পার্টির নেতা মাও সে তুংয়ের জন্ম
১৮৯৯- বিপ্লবী উধম সিংয়ের জন্ম
১৯০৬- অস্ট্রেলিয়ার মেলবোর্নে বিশ্বের প্রথম পূর্ণদৈর্ঘ্য ছায়াছবি ‘দি স্টোরি অব দ্য কেলি গ্যাং’ প্রথম প্রদর্শিত হয়
১৯১৩- কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে ডি লিট উপাধি দেয়
১৯১৯- লীগ অব নেশনস প্রতিষ্ঠিত হয়
১৯৪৯- মধ্যাকর্ষণের নতুন সাধারণকৃত তত্ত্ব উদ্ভাবন করেন বিজ্ঞানী আলবার্ট আইস্টাইন
২০০৪- ভয়াবহ সুনামির আঘাত ভারত-সহ ছয়টি দেশে, নিহত আড়াই লক্ষেরও বেশি মানুষ



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮৪.২৮ টাকা ৮৬.০২ টাকা
পাউন্ড ১০৪.৮৬ টাকা ১০৮.৫৭ টাকা
ইউরো ৮৬.৮৬ টাকা ৯০.২০ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
25th  December, 2024
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭৬,২০০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭৬,৬০০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৭২,৮০০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৮৮,৪০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৮৮,৫০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

১১ পৌষ, ১৪৩১, বৃহস্পতিবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪। একাদশী ৪৬/৩ রাত্রি ১২/৪৪। স্বাতী নক্ষত্র ২৯/৩৮ সন্ধ্যা ৬/১০। সূর্যোদয় ৬/১৮/৩৯, সূর্যাস্ত ৪/৫৫/৪৯। অমৃতযোগ দিবা ৭/৪৩ মধ্যে পুনঃ ১/২৩ গতে ২/৪৮ মধ্যে। রাত্রি ৫/৪৯ গতে ৯/২৩ মধ্যে পুনঃ ১২/৪ গতে ৩/৩৮ মধ্যে পুনঃ ৪/৩২ গতে উদয়াবধি। বারবেলা ২/১৬ গতে অস্তাবধি। কালরাত্রি ১১/৩৮ গতে ১/১৮ মধ্যে।                                                               
১০ পৌষ, ১৪৩১, বৃহস্পতিবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪। একাদশী রাত্রি ১১/৪৯। স্বাতী নক্ষত্র রাত্রি ৬/৪। সূর্যোদয় ৬/২২, সূর্যাস্ত ৪/৫৫। অমৃতযোগ দিবা ৭/৫০ মধ্যে ও ১/৩১ গতে ২/৫৭ মধ্যে এবং রাত্রি ৫/৫৮ গতে ৯/৩১ মধ্যে ও ১২/১১ গতে ৩/৪৪ মধ্যে ও ৪/৩৮ গতে ৬/২২ মধ্যে। কালবেলা ২/১৭ গতে ৪/৫৫ মধ্যে। কালরাত্রি ১১/৩৮ গতে ১/১৯ মধ্যে। 
২৩ জমাদিয়স সানি।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী তথা প্রাক্তন আচার্য মনমোহন সিংয়ের প্রয়াণে শোকের ছায়া বিশ্বভারতীতে
প্রয়াত দেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী তথা বিশ্বভারতীর প্রাক্তন আচার্য মনমোহন সিং। ...বিশদ

01:49:46 AM

প্রয়াত মনমোহন সিং
প্রয়াত ভারতের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং। আজ, বৃহস্পতিবার রাতেই দিল্লি ...বিশদ

12:04:38 AM

প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংয়ের প্রয়াণে আগামী কাল, শুক্রবার সরকারি ছুটির ঘোষণা কর্ণাটক সরকারের

11:55:00 PM

প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংয়ের প্রয়াণে শোকপ্রকাশ রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর

11:54:00 PM

প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংয়ের প্রয়াণে শোকপ্রকাশ বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারের

11:53:00 PM

প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংয়ের প্রয়াণে সাত দিনের রাষ্ট্রীয় শোকের ঘোষণা কেন্দ্রের

11:52:00 PM