Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

আধুনিক ভারতের স্থপতি, দূরদর্শী রাষ্ট্রনায়ক
নরেন্দ্র মোদি

আজ ২৫ ডিসেম্বর, আমাদের সকলের কাছে একটি অত্যন্ত বিশেষ দিন। আমাদের প্রিয় প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী অটলবিহারী বাজপেয়িজির ১০০তম জন্মজয়ন্তী। তিনি শুধু একজন রাষ্ট্রনায়ক নন, অগণিত মানুষকে প্রেরণা জুগিয়ে চলেছেন নিরন্তর। 
একুশ শতকে ভারতের উত্তরণের প্রধান স্থপতি ছিলেন অটলজি। সেই কারণে তাঁর প্রতি সদা কৃতজ্ঞ থাকবে আমাদের দেশ। ১৯৯৮ সালে তিনি যখন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন, তখন আমাদের দেশ রাজনৈতিকভাবে অস্থির এক পর্বের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছিল। প্রায় ন’বছরের মধ্যে আমরা চারটি লোকসভা নির্বাচনের সাক্ষী হয়েছিলাম। ভারতের জনগণ অধৈর্য এবং সরকারের প্রতি অবিশ্বাসী হয়ে পড়ছিলেন। এই পরিস্থিতিতে একটি স্থিতিশীল এবং কার্যকর প্রশাসন গড়ে তুলেছিলেন অটলজিই। তিনি ছিলেন নিরহঙ্কারী একজন মানুষ। সাধারণ নাগরিকদের জীবন সংগ্রামকে উপলব্ধি করতে তাঁর দেরি হয়নি। বুঝতে পেরেছিলেন সুশাসনের জন্য চাই ক্ষমতার আমূল সংস্কার।
বিভিন্ন ক্ষেত্রে অটলজির নেতৃত্বের দীর্ঘমেয়াদি প্রভাব আজও আমরা দেখতে পাই। তাঁর শাসনকালে তথ্য-প্রযুক্তি, টেলিকম এবং যোগাযোগের ক্ষেত্রে বড় অগ্রগতির পথে এগিয়েছে ভারত। আমাদের মতো প্রগতিশীল যুব শক্তির আশীর্বাদধন্য দেশের কাছে এটা বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ। প্রযুক্তিকে সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে প্রথম উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ নিয়েছিল অটলজির নেতৃত্বাধীন এনডিএ সরকারই। একইসঙ্গে ভারতের সব প্রান্তের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপনের দূরদর্শিতা দেখিয়েছিলেন তিনি। আজও অধিকাংশ মানুষ তাঁর সোনালী চতুর্ভুজ প্রকল্পের কথা সগর্বে উল্লেখ করে থাকেন। একইভাবে প্রধানমন্ত্রী গ্রাম সড়ক যোজনার মতো উদ্যোগের মাধ্যমে স্থানীয় স্তরে যোগাযোগের বিস্তারের উদ্যোগ নিয়েছিল বাজপেয়ি সরকার। মেট্রোরেলের নেটওয়ার্ক বৃদ্ধি করতে তাঁর সরকার ছিল বিশেষ উদ্যোগী। দিল্লি মেট্রো প্রকল্পের জন্য ব্যাপক কাজও করেছিল, যা আজ একটি বিশ্বমানের পরিকাঠামোয় পরিণত হয়েছে। এভাবে শুধুমাত্র দেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতিকেই ত্বরান্বিত করা হয়নি, দূরবর্তী অঞ্চলগুলির সঙ্গে সংযোগ স্থাপন করে দেশের ঐক্য ও সংহতিকেও মজবুত করেছে বাজপেয়ি সরকার। 
আবার সামাজিক ক্ষেত্রে সর্বশিক্ষা অভিযানের মতো উদ্যোগ নিয়েছিলেন অটলজি। এর মাধ্যমে তিনি এমন এক ভারতের স্বপ্ন দেখেছিলেন, যেখানে দেশের সব মানুষ, বিশেষত গরিব ও প্রান্তিক শ্রেণির কাছে পৌঁছে দেওয়া যাবে আধুনিক শিক্ষার আলো। একইসঙ্গে বহু আর্থিক সংস্কার করেছিল তাঁর নেতৃত্বাধীন এনডিএ সরকার। সেই পদক্ষেপগুলিই পরবর্তী কয়েক দশকে অচলাবস্থা কাটিয়ে ভারতের অর্থনৈতিক দর্শনের পথ প্রশস্ত করেছিল। 
অটলজির নেতৃত্ব এক উল্লেখযোগ্য দৃষ্টান্ত তৈরি করেছিল ১৯৯৮’এর গ্রীষ্মে। এনডিএ সরকার ক্ষমতায় আসার পরপরই, ১১ মে পরীক্ষামূলক পরমাণু বিস্ফোরণ ঘটানো হয়েছিল পোখরানে, যা ‘অপারেশন শক্তি’ নামে বিখ্যাত। এই পরীক্ষা ছিল ভারতের বিজ্ঞানীদের দক্ষতার আত্মপ্রকাশ, যা গোটা বিশ্বকে বিস্ময়ে হতবাক করে দেয়। বিষয়টি নিয়ে তারা ক্ষোভ পর্যন্ত প্রকাশ করেছিল। সাধারণ কোনও নেতা হলে এই পরিস্থিতিতে গুটিয়ে যেতেন, কিন্তু অটলজি ছিলেন অন্য ধাতুতে গড়া। তারপর কী ঘটে? ভারত একটি দৃঢ় অবস্থান নেয় এবং দু’দিনের মধ্যে, ১৩ মে আরও একটি পরীক্ষামূলক বিস্ফোরণ ঘটায়। প্রথমটি যদি বৈজ্ঞানিক দক্ষতার সাক্ষ্য হয়ে থাকে, তবে দ্বিতীয়টি ছিল তাঁর সাহসী নেতৃত্বের প্রদর্শন। গোটা বিশ্বের কাছে তিনি বার্তা দিয়েছিলেন যে, হুমকি বা চাপের কাছে ভারত নতিস্বীকার করবে, সেই দিন আর নেই। আন্তর্জাতিক অবরোধ সত্ত্বেও বাজপেয়িজির এনডিএ সরকার ছিল নিজেদের অবস্থানে অটল। সার্বভৌমত্ব রক্ষার পাশাপাশি ভারতকে বিশ্ব শান্তির এক শক্তিশালী প্রবক্তা হিসেবে তুলে ধরেছিলেন তিনি। 
ভারতের গণতন্ত্রকে তাঁর মতো ভালো কেউ বুঝতেন না। সেই গণতন্ত্রকে আরও মজবুত করার প্রয়োজনীয়তাও উপলব্ধি করেছিলেন অটলজি। তাঁর সভাপতিত্বে তৈরি হয়েছিল এনডিএ, যা ভারতের জোট রাজনীতিতে নতুন মাত্রা যোগ করে। সবাইকে এক ছাতার তলায় এনে দেশের উন্নয়ন, অগ্রগতি ও আঞ্চলিক আশা-আকাঙ্ক্ষার শক্তি হিসেবে তুলে ধরেছিলেন এনডিএ-কে। নিজের দীর্ঘ রাজনৈতিক যাত্রাপথে সংসদীয় দক্ষতার স্বাক্ষরও রেখে গিয়েছেন তিনি। অটলজি এমন এক দলের নেতা ছিলেন, যাদের সংসদে সদস্য সংখ্যা ছিল হাতেগোনা। তা সত্ত্বেও সেই সময় প্রবল শক্তিধর কংগ্রেসের মোকাবিলায় তাঁর কথাই ছিল যথেষ্ট। প্রধানমন্ত্রী হিসেবে বিরোধীদের সমস্ত সমালোচনা ভোঁতা করে দিতেন নিজস্ব কায়দায়। রাজনৈতিক জীবনের বেশিরভাগ সময় তিনি বিরোধী আসনে বসেছেন, কিন্তু কখনও কারও বিরুদ্ধে কোনও বিরূপ মন্তব্য করেননি। এমনকী কংগ্রেস তাঁকে বিশ্বাসঘাতক আখ্যা দিলেও, তিনি নিজে কখনও শালীনতার সীমারেখা অতিক্রম করেননি।
অটলজি কখনও সুবিধাবাদী পথে ক্ষমতা দখল করেননি। ১৯৯৬ সালে ঘোড়া কেনা-বেচার মতো নোংরা পথ অবলম্বন না করে ইস্তফা দেওয়াকেই শ্রেয় মনে করেছিলেন। ১৯৯৯ সালে মাত্র ১ ভোটে পরাস্ত হয়েছিল তাঁর সরকার। এই অনৈতিক রাজনীতিকে চ্যালেঞ্জ করার জন্য তাঁকে পরামর্শ দিয়েছিলেন অনেকে। কিন্তু, তিনি ছিলেন নিয়মের পথে অবিচল। ঘটনাচক্রে পরবর্তীতে আবার জনতার বিপুল রায় নিয়ে ফিরেছিলেন ক্ষমতায়।
আমাদের সংবিধানের অঙ্গীকার রক্ষার কথা যখন আসে, তখনও অটলজির অবস্থান ছিল সুদৃঢ়। ডঃ শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের শহিদ হওয়ার ঘটনা তাঁকে ব্যাপকভাবে প্রভাবিত করেছিল। কয়েক বছর পরে জরুরি অবস্থার বিরুদ্ধে আন্দোলনে মূল স্তম্ভ হয়ে উঠেন তিনি। জরুরি অবস্থা শেষে, ১৯৭৭ সালের নির্বাচনে জনতা পার্টির সঙ্গে নিজের দলকে (জনসঙ্ঘ) মিশিয়ে দিতেও সম্মত হন। এই সিদ্ধান্ত তাঁকে এবং অন্যদের যে ব্যথিত করেছিল, সেব্যাপারে আমি নিশ্চিত। কিন্তু, তাঁর কাছে সংবিধানকে সুরক্ষিত রাখাই ছিল সবথেকে বেশি গুরুত্বপূর্ণ।
ভারতীয় সংস্কৃতির সঙ্গেও ছিল অটলজির নিবিড় যোগ। কতটা? সেটা এখানে উল্লেখ করা বিশেষ প্রয়োজন। বিদেশমন্ত্রী হওয়ার পর ভারতের প্রথম নেতা হিসেবে রাষ্ট্রসঙ্ঘে হিন্দিতে ভাষণ দেন তিনি। এতেই স্পষ্ট যে, ভারতের ঐতিহ্য ও সত্তা সম্পর্কে তিনি কতটা গর্বিত ছিলেন! বিশ্বমঞ্চে তার ছাপও রেখে গিয়েছেন।
অটলজির ব্যক্তিত্ব ছিল চুম্বকের মতো আকর্ষণীয়। সাহিত্যের প্রতি ছিল তাঁর প্রভূত ভালোবাসা। একজন সুলেখক ও কবি হিসেবে প্রেরণা ও ভাবনা-চিন্তার খোরাক জোগাতেন তিনি। তাঁর কবিতার মধ্যে সন্নিহিত ছিল নিজের অন্তরের লড়াইয়ের প্রতিফলন এবং দেশের জন্য আশার বার্তা।
অটলজির মতো ব্যক্তিত্বের সঙ্গে আলাপচারিতা এবং তাঁর থেকে শেখার সুযোগ পেয়েছি—আমার মতো ভারতীয় জনতা পার্টির অনেক কার্যকর্তার কাছেই এটা পরম সৌভাগ্যের। বিজেপির প্রতিষ্ঠাতা হিসেবে তাঁর ভূমিকা অপরিসীম। সেই সময় প্রবল প্রভাবশালী কংগ্রেসের বিকল্প শক্তি হিসেবে প্রতিষ্ঠা পাওয়া বুঝিয়ে দেয় যে অটলজির মহত্ব! এল কে আদবানিজি, ডঃ মুরলী মনোহর যোশিজির মতো নেতাদের সঙ্গে তিনিও গোড়া থেকে দলকে লালনপালন করেছিলেন। বিভিন্ন চ্যালেঞ্জ, উত্থান-পতনের সময় পথ দেখিয়েছিলেন। যখনই আদর্শ এবং ক্ষমতার মধ্যে দ্বন্দ্ব দেখা দিয়েছে, তিনি বরাবর প্রথমটিকেই বেছে নিয়েছেন। কংগ্রেসের বিকল্প যে সম্ভব, দেশবাসীকে সেকথা বোঝাতেও পেরেছিলেন। 
আসুন, এই ১০০তম জয়ন্তীতে আমরা অটলজির আদর্শে অনুপ্রাণিত হই। ভারতের প্রতি তাঁর ভাবনা-চিন্তার বাস্তবায়নে নিজেদের উৎসর্গ করি। সেই 
ভারত গড়ার চেষ্টা করি, যেখানে সুশাসন, ঐক্য ও অগ্রগতির নীতি প্রাধান্য পাবে। আমাদের দেশের প্রভূত সম্ভাবনা নিয়ে অটলজির অবিচল বিশ্বাস আমাদের আরও উচ্চতায় পৌঁছতে এবং কঠোর পরিশ্রম করতে প্রেরণা জোগাবে।
25th  December, 2024
হলিউডে ড্রাগনের থাবা!
মৃণালকান্তি দাস

পরিচালক স্টিভেন স্পিলবার্গ বেজিংয়ের তিয়েনআনমেন স্কোয়ারে পা রেখেছিলেন ২০০৪ সালের ২২ সেপ্টেম্বর। সেদিন তিয়েনআনমেন স্কোয়ারে একটি বিশাল ঘড়ি লাগানো হয়েছিল। ঘড়ির কাঁটা চালু হয়েছিল ১ হাজার ৪১৭ দিন গণনার জন্য। লক্ষ্য ২০০৮-এর গ্রীষ্মকালীন ওলিম্পিক্স। 
বিশদ

সাহেবি আমল থেকেই বড়দিন বাঙালির নিজস্ব পার্বণ
সন্দীপন বিশ্বাস

সাহেবি আমলের দেশি বাবুরা কেবল দুর্গাপুজো, বুলবুলির লড়াই আর বিড়ালের বিয়ে নিয়েই মেতে থাকতেন না, তাঁরা বড়দিন বা ইংরেজি নববর্ষের আনন্দের স্রোতেও ভেসে যেতেন। সে ছিল এক দেখার মতো ব্যাপার। বাবুদের কাপ্তেনির মেজাজে লাগত সুরা ও সুরের দোল। বিশদ

25th  December, 2024
বাংলাদেশ প্রমাণ, বিভাজন শুধু বিপর্যয়ই আনে
শান্তনু দত্তগুপ্ত

বাংলাদেশের একটি ভিডিও পোস্ট করেছেন তসলিমা নাসরিন। নাটকের দৃশ্য। তাতে যশোর জামিয়া ইসলামিয়ার তিন ছাত্র ইসলামিক জঙ্গিদের সাজে দাঁড়িয়ে আছে। হাতে বন্দুক। আপাতদৃষ্টিতে প্লাস্টিকের বলেই মনে হচ্ছে (দেশটা এখনও সিরিয়া হয়ে যায়নি। নাটকের জন্য সেখানে আজও প্লাস্টিকের বন্দুক ব্যবহার হয়)। বিশদ

24th  December, 2024
সংবিধানের উপর বিরাট আঘাত
পি চিদম্বরম

ভারতের সংবিধান গ্রহণের ৭৫তম বার্ষিকী আমরা উদযাপন করেছি ২০২৪ সালের ২৬ নভেম্বর। সংবিধানের ৭৫ বছরের যাত্রাকে স্মরণ করার জন্য সংসদের দুটি কক্ষই তাদের নিয়মিত কার্যাবলির বাইরে দুটি দিন আন্তরিকতার সঙ্গেই উৎসর্গ করেছিল।
বিশদ

23rd  December, 2024
এক দেশ এক নির্বাচন কার স্বার্থে?
হিমাংশু সিংহ

কেন ইস্তফা দেবেন না অমিত শাহ? দেশের দণ্ডমুণ্ডের কর্তাই যদি মুখ ফস্কে দেশের সংবিধান প্রণেতা সম্পর্কে এমন বালখিল্য মন্তব্য করেন তাহলে সরকারের অভিসন্ধি বুঝতে ভুল হওয়ার কথা নয়। সম্মান জানানো দূরস্থান, বি আর আম্বেদকরের ভূমিকাকে লঘু করার চেষ্টা করেন, তাহলে তাঁর ও তাঁর কট্টর মনুবাদী দলের আসল উদ্দেশ্য বুঝতে অসুবিধা হয় না। ‘আলটপকা’ এই মন্তব্যটা স্রেফ অজুহাত।
বিশদ

22nd  December, 2024
এরপরেও বিজেপি গরিবের ভোট চাইবে?
তন্ময় মল্লিক

বাংলার বাড়ি প্রকল্পের টাকা দেওয়ামাত্র বিরোধীরা একযোগে সমালোচনা শুরু করে দিয়েছেন। তাঁদের দাবি, ‘ছাব্বিশের ভোটের জন্য এসব করা হচ্ছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মাছের তেলে মাছ ভাজছেন। কারণ এটা সাধারণ মানুষের করের টাকা।’ বিরোধীরা একেবারে হক কথা বলছেন। বিশদ

21st  December, 2024
জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার কমছে অথচ অপুষ্টি কমছে না
সমৃদ্ধ দত্ত

সরকার জনসংখ্যা নীতি নিয়ে চিন্তাভাবনা করছে। জনসংখ্যা বৃদ্ধি যাতে কমে যায় সেই কঠোর নীতি কি নেওয়া দরকার? নাকি জনসংখ্যা নীতির প্রয়োজন নেই? এই জল্পনা এখন সরকারের অন্দরে অন্যতম প্রধান একটি বিতর্ক। সিদ্ধান্ত নেওয়া যাচ্ছে না। কিন্তু যে রাষ্ট্র আর কিছু বছরের মধ্যে নাকি তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতি হবে সেখানে এত শিশুমৃত্যু কেন? এত অপুষ্টি কেন?
বিশদ

20th  December, 2024
আল-কায়েদা জঙ্গি জোলানি এখন হিরো
মৃণালকান্তি দাস

প্রচণ্ড গরমের এক দুপুর। ইরাক আর সিরিয়ার সীমান্তের কাছাকাছি একটি জায়গায় দাঁড়িয়ে দু’টি পিকআপ ভ্যান। স্থানীয়রা জানত, এসব গাড়ি কাদের এবং কী উদ্দেশ্যে এখানে চলাচল করে। সিরিয়ার বাজার থেকে অস্ত্র কিনে এই রুট দিয়ে সেগুলি ইরাকে নিয়ে যায় আল-কায়েদা। বিশদ

19th  December, 2024
পাকিস্তান নয়, ভারতই পাশে থাকবে
হারাধন চৌধুরী

অনেক সংশয় কাটিয়ে সোমবার ঢাকাতেও পালিত হল ‘বিজয় দিবস’। এমনকী, কলকাতায় ফোর্ট উইলিয়ামের বিজয় দিবসের অনুষ্ঠানেও যোগ দিল বাংলাদেশের প্রতিনিধি দল। ‌গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে হাসিনা সরকারের পতন হয় এবং ৮ আগস্ট বাংলাদেশের দায়িত্ব নেয় মহম্মদ ইউনুসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকার।
বিশদ

18th  December, 2024
সিবিআইকে নিয়ে গদগদ হওয়ার কিছু আছে কি?
শান্তনু দত্তগুপ্ত

১) ময়নাতদন্ত নিয়ে প্রশ্ন। কল্যাণী এইমস এবং দিল্লির গঙ্গারামপুর হাসপাতালে পাঠানোর পরও কিন্তু খুঁত মিলল না। বিশদ

17th  December, 2024
প্রত্যাশিত ভারত মোদির ‘বিকশিত’ ভারত নয়
পি চিদম্বরম

বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর এবং ইলেকট্রনিক্স ও তথ্য-প্রযুক্তি মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব—দু’জনেই শহুরে, সুশিক্ষিত ও মৃদুভাষী মানুষ। এস জয়শঙ্কর ফরেন সার্ভিসে একটি উল্লেখযোগ্য কর্মজীবন কাটিয়েছেন। সেখানে তাঁকে একজন উদারপন্থী ব্যক্তি হিসেবেই বিবেচনা করা হতো।
বিশদ

16th  December, 2024
এক দেশ এক নির্বাচন ও মমতার চ্যালেঞ্জ
হিমাংশু সিংহ

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের রাজনৈতিক জীবনের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ ছাব্বিশে, না তারও আড়াই বছর বাদে উনত্রিশের সম্মিলিত নির্বাচনে, তা ভবিষ্যৎ বলবে। কিন্তু ইতিমধ্যেই রাজ্যের সীমানা ছাড়িয়ে জাতীয় ক্ষেত্রেও তাঁকে প্রধান মুখ করে লড়ার প্রস্তুতি শুরু হয়ে গিয়েছে পাটনা থেকে মুম্বই, লখনউ থেকে দিল্লির প্রধান বিরোধী দলগুলির মধ্যে। বিশদ

15th  December, 2024
একনজরে
পাকিস্তানের বিমান হামলা। আফগানিস্তানে ৪৬ জন নিহত। তাঁদের মধ্যে মহিলা ও শিশুর সংখ্যাই বেশি। তালিবান সরকারের মুখপাত্র জাবিউল্লা মুজাহিদ জানান, মঙ্গলবার রাতে পাকিতিকা প্রদেশের বারমাল জেলার চারটি এলাকায় হামলা চালায় পাকিস্তান। ...

শীতের আমেজ গায়ে মেখে বড়দিনে মাতল গৌড়বঙ্গ। চার্চ থেকে বিনোদন পার্ক, রেস্তরাঁ, সিনেমা হল- ভিড় সর্বত্র। দিকে দিকে বসল পিকনিকের আসরও। ছুটির দিনে চলল হই ...

গত ১৩ বছরে রাজ্যের বিদ্যুৎ বণ্টন পরিকাঠামো উন্নয়নে একাধিক পদক্ষেপ করেছে রাজ্য সরকার। তার ফলে রাজ্যে লোডশেডিং এখন অতীত। ...

বাংলা হল মিলনক্ষেত্র। সব ধর্ম, বর্ণ, সম্প্রদায়ের মানুষের সহাবস্থান। সমস্ত উৎসবে একসঙ্গে মাতোয়ারা, আবার সুখ-দুঃখ একসঙ্গে ভাগ করে নেওয়া—ক্রিসমাসের শুভেচ্ছা জানাতে গিয়ে সম্প্রীতির চিরন্তন মেলবন্ধনকেই তুলে ধরলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

পড়ে গিয়ে বা পথ দুর্ঘটনায় আঘাতপ্রাপ্তির যোগ থাকায় সতর্ক হন। কর্মে  উন্নতি ও সাফল্যের যোগ। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৭৯১- কম্পিউটারের জনক চার্লস ব্যাবেজের জন্ম
১৮০১- বাংলা ও মাদ্রাজের জন্য ব্রিটিশদের প্রথম সুপ্রিম কোর্ট গঠন
১৮৩১- হেনরি লুই ভিভিয়ান ডিরোজিওর মৃত্যু
১৮৫০- ভারতের চিকিৎসাশাস্ত্রে সবচেয়ে সম্মানিত ও প্রথম স্যার উপাধিপ্রাপ্ত চিকিৎসক  স্যার কৈলাসচন্দ্র বসুর জন্ম
১৮৯৩- চীনা কমিউনিস্ট পার্টির নেতা মাও সে তুংয়ের জন্ম
১৮৯৯- বিপ্লবী উধম সিংয়ের জন্ম
১৯০৬- অস্ট্রেলিয়ার মেলবোর্নে বিশ্বের প্রথম পূর্ণদৈর্ঘ্য ছায়াছবি ‘দি স্টোরি অব দ্য কেলি গ্যাং’ প্রথম প্রদর্শিত হয়
১৯১৩- কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে ডি লিট উপাধি দেয়
১৯১৯- লীগ অব নেশনস প্রতিষ্ঠিত হয়
১৯৪৯- মধ্যাকর্ষণের নতুন সাধারণকৃত তত্ত্ব উদ্ভাবন করেন বিজ্ঞানী আলবার্ট আইস্টাইন
২০০৪- ভয়াবহ সুনামির আঘাত ভারত-সহ ছয়টি দেশে, নিহত আড়াই লক্ষেরও বেশি মানুষ



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮৪.২৮ টাকা ৮৬.০২ টাকা
পাউন্ড ১০৪.৮৬ টাকা ১০৮.৫৭ টাকা
ইউরো ৮৬.৮৬ টাকা ৯০.২০ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
25th  December, 2024
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭৬,২০০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭৬,৬০০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৭২,৮০০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৮৮,৪০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৮৮,৫০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

১১ পৌষ, ১৪৩১, বৃহস্পতিবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪। একাদশী ৪৬/৩ রাত্রি ১২/৪৪। স্বাতী নক্ষত্র ২৯/৩৮ সন্ধ্যা ৬/১০। সূর্যোদয় ৬/১৮/৩৯, সূর্যাস্ত ৪/৫৫/৪৯। অমৃতযোগ দিবা ৭/৪৩ মধ্যে পুনঃ ১/২৩ গতে ২/৪৮ মধ্যে। রাত্রি ৫/৪৯ গতে ৯/২৩ মধ্যে পুনঃ ১২/৪ গতে ৩/৩৮ মধ্যে পুনঃ ৪/৩২ গতে উদয়াবধি। বারবেলা ২/১৬ গতে অস্তাবধি। কালরাত্রি ১১/৩৮ গতে ১/১৮ মধ্যে।                                                               
১০ পৌষ, ১৪৩১, বৃহস্পতিবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪। একাদশী রাত্রি ১১/৪৯। স্বাতী নক্ষত্র রাত্রি ৬/৪। সূর্যোদয় ৬/২২, সূর্যাস্ত ৪/৫৫। অমৃতযোগ দিবা ৭/৫০ মধ্যে ও ১/৩১ গতে ২/৫৭ মধ্যে এবং রাত্রি ৫/৫৮ গতে ৯/৩১ মধ্যে ও ১২/১১ গতে ৩/৪৪ মধ্যে ও ৪/৩৮ গতে ৬/২২ মধ্যে। কালবেলা ২/১৭ গতে ৪/৫৫ মধ্যে। কালরাত্রি ১১/৩৮ গতে ১/১৯ মধ্যে। 
২৩ জমাদিয়স সানি।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী তথা প্রাক্তন আচার্য মনমোহন সিংয়ের প্রয়াণে শোকের ছায়া বিশ্বভারতীতে
প্রয়াত দেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী তথা বিশ্বভারতীর প্রাক্তন আচার্য মনমোহন সিং। ...বিশদ

01:49:46 AM

প্রয়াত মনমোহন সিং
প্রয়াত ভারতের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং। আজ, বৃহস্পতিবার রাতেই দিল্লি ...বিশদ

12:04:38 AM

প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংয়ের প্রয়াণে আগামী কাল, শুক্রবার সরকারি ছুটির ঘোষণা কর্ণাটক সরকারের

11:55:00 PM

প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংয়ের প্রয়াণে শোকপ্রকাশ রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর

11:54:00 PM

প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংয়ের প্রয়াণে শোকপ্রকাশ বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারের

11:53:00 PM

প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংয়ের প্রয়াণে সাত দিনের রাষ্ট্রীয় শোকের ঘোষণা কেন্দ্রের

11:52:00 PM