কাজকর্মের ক্ষেত্রে দিনটি বিশেষ শুভ। নতুন যোগাযোগ ও উপার্জন বৃদ্ধির ক্ষেত্র প্রস্তুত হতে পারে। বিদ্যায় ... বিশদ
জলপাইগুড়ির পবিত্রপাড়ার বাসিন্দা তপনকুমার পণ্ডিত পরিবার নিয়ে এদিন নিগমের প্যাকেজ ট্যুরে গিয়েছিলেন। তাঁদের মতো বেলাকোবা, দশদরগার অনেকে ছিলেন। কয়েকজন ছিলেন বাইরের। এনবিএসটিসি’র ব্যবস্থাপনায় দারুণ খুশি তপনবাবু বললেন, কম খরচে নিগম প্যাকেজ ট্যুর করাচ্ছে বলে খোঁজ পাই। তারপরই জলপাইগুড়ি ডিপোতে যোগাযোগ করি। সেইমতো আমাদের তারিখ দেওয়া হয়। ৯৫০ টাকায় টিফিন, দুপুরের খাবার সহ পাহাড় ও জঙ্গল ভ্রমণ সত্যিই দারুণ। আগামী দিনে আরও অন্য জায়গায় যাওয়ার ইচ্ছে রইল।
নিগমের জলপাইগুড়ি ডিপো ইনচার্জ দীপককুমার রাহা বলেন, সবুজের পথে হাতছানি’র বাসে ২৭টি আসন। কিন্তু ২০ জনের বুকিং হলেই আমরা প্যাকেজ ট্যুরের বাস চালাব। যদি একসঙ্গে বুকিং হয়, তাহলে পর্যটকরা যেদিন চাইবেন, সেদিনই ঘুরতে যেতে পারবেন। আলাদা আলাদা বুকিং হলে আমরা দিন ধার্য করব। সেইমতো ট্যুর হবে। তাঁর দাবি, লাভের জন্য নয়, আমরা চাই প্যাকেজ ট্যুরের মাধ্যমে উন্নত পরিষেবা যাত্রী-পর্যটকরা যাতে পান। গোটা ডুয়ার্সের পাশাপাশি পাহাড়ে আমাদের একাধিক প্যাকেজ রয়েছে। সেইমতো পর্যটকরা বুকিং করতে পারেন।
এরআগে সেপ্টেম্বরের তৃতীয় সপ্তাহে ২০ জনের টিম নিগমের বাসে প্যাকেজ ট্যুরে শামিল হন। পাহাড়ে হোটেলে রাত্রিবাস, খাওয়াদাওয়া সহ দু’দিনের ওই প্যাকেজে মাথাপিছু ধার্য ছিল ২৫০০ টাকা। সেক্ষেত্রে জলপাইগুড়ি থেকে পর্যটকদের নিয়ে যাওয়া হয়েছিল বোদাগঞ্জ, গজলডোবা, ওদলাবাড়ি, ডামডিম, মিনগ্লাস চা বাগান, গোরুবাথান হয়ে লাভা। সেখান থেকে কালিম্পংয়ের ডেলো হয়ে লাভাতে রাত্রিবাস। পরদিন ঋষভ, সাঙ্গেখোলা ঘুরিয়ে ফের জলপাইগুড়ি।
গত মার্চের পর জলপাইগুড়ি ডিপো থেকে এনবিএসটিসি’র প্যাকেজ ট্যুর কার্যত মুখ থুবড়ে পড়েছিল। আবার চাঙ্গা করতে উঠেপড়ে লাগে কর্তৃপক্ষ। পাহাড়-ডুয়ার্সের ট্যুর অপারেটরদের অবশ্য বক্তব্য, এ ব্যাপারে এনবিএসটিসি’কে প্রচারে জোর দিতে হবে। নিউ জলপাইগুড়ি, শিলিগুড়ি, চালসা, আলিপুরদুয়ার, মাদারিহাট যেসব স্টেশনে মূলত পর্যটকরা নামেন, সেখানে হেল্পডেস্ক করা যেতে পারে। তাছাড়া মাইকিং, লিফলেট বিলির মধ্যে দিয়েও নজর কাড়া যেতে পারে পর্যটকদের।