কাজকর্মের ক্ষেত্রে দিনটি বিশেষ শুভ। নতুন যোগাযোগ ও উপার্জন বৃদ্ধির ক্ষেত্র প্রস্তুত হতে পারে। বিদ্যায় ... বিশদ
এদিকে,ওই কিশোরের বিরুদ্ধে ধর্ষণের মামলা রুজু হয় দিনহাটা মহিলা থানায়। অভিযুক্ত কিশোরকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিস। তদন্ত করা হচ্ছে বলে পুলিস জানিয়েছে। ওই কিশোর প্রেমিককে মঙ্গলবার কোচবিহার জুভেনাইল কোর্টে তোলা হয়। আদালত তাকে জলপাইগুড়ির একটি হোমে রাখার নির্দেশ দিয়েছে।
দিনহাটা মহকুমা পুলিস আধিকারিক ধীমান মিত্র বলেন, দু’টি পৃথক মামলা রুজু হয়েছে। গোটা ঘটনার তদন্ত চলছে। একজন অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
দিনহাটা শহরেই বাড়ি ওই কিশোরের। কলেজের প্রথম বর্ষের পড়ুয়া। তার প্রেমিকা উচ্চ মাধ্যমিক পাশ করতে পারেনি। তারপরেই পড়াশোনা বন্ধ করে দেয়। শহরের কাছেই বাড়িতে থাকে। অবাধ যাতায়াত ছিল তাদের। দশমীর রাতে প্রেমিকার বাড়ি ফাঁকা ছিল। প্রেমিকার বাবা-মা বাড়িতে না থাকার সুযোগ নেয় ওই কিশোর প্রেমিক। একটু অন্ধকার নামতেই প্রেমিকার বাড়িতে গিয়ে হাজির হয় সে। প্রতিবেশীরা বিষয়টি টের পায়। খবর দেওয়া হয় কিশোরটির বাড়িতে। তার বাবা ছেলের বিয়েতে রাজি হয়নি। পরবর্তীতে একাধিকবার আলোচনা হয় দু’পক্ষের মধ্যে। কোনও সমাধান সূত্র বের হয়নি।
পরে মেয়ের পরিবার মামলা করে। নাবালকের বিরুদ্ধে ধর্ষণের মামলা করা হয়। সোমবার ওই কিশোরকে গ্রেপ্তার করে পুলিস। ১৮ বছর বয়স হতে এখনও বাকি রয়েছে। সেই কারণেই তাকে জুভেনাইল কোর্টে পাঠানো হয়। বর্তমানে ওই কিশোর হোমে রয়েছে। প্রেমিকাকে মেডিক্যাল টেস্টের জন্য দিনহাটা মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
ছেলের বয়স ১৮ না হওয়ায় ও বিয়ের অনুপযুক্ত। জোর করে বিয়ে দেওয়ার চেষ্টা হওয়ায় ছেলের পরিবারও মামলা করেছে। চাইল্ড ম্যারেজ আইনে প্রেমিকা সহ তার পরিবারের নামে মামলা করেছে ছেলের পরিবার। পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, ঘটনার খবর পেয়ে হাজির হয় পুলিস। কিশোর প্রেমিককে আটক করা হয়। মহিলার পরিবারের পক্ষে দিনহাটা মহিলা থানায় ধর্ষণের মামলা করা হলে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।