কাজকর্মের ক্ষেত্রে দিনটি বিশেষ শুভ। নতুন যোগাযোগ ও উপার্জন বৃদ্ধির ক্ষেত্র প্রস্তুত হতে পারে। বিদ্যায় ... বিশদ
লক্ষ্মীপুজো উপলক্ষ্যে ইতিমধ্যে জমে উঠেছে পুজোর সামগ্রীর বাজার। দশকর্মা দোকানের পুজোর উপাচারের সামগ্রী, ফল, সব্জির পাশাপাশি দেদার বিক্রি হচ্ছে প্যাকেটবন্দি নাড়ু-মোয়া। যা মুখে হাসি ফুটিয়েছে বিক্রেতাদের। মোহনবাটি বাজারের ব্যবসায়ী সুকুমার সাহার দাবি, যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে এখন বেশিরভাগ গৃহস্থই নিউক্লিয়ার পরিবারে পরিণত হয়েছে। তার উপর সময়ের অভাবে বাড়িতে নাড়ু, মুড়কি, মোয়া বানাতে চান না অনেকে। কেউ আবার বানাতে জানেন না। তার ফলেই রেডিমেডেই ভরসা বেড়েছে গৃহস্থের। আগে দুর্গাপুজোর সময় থেকেই ঘরে ঘরে নাড়ু তেরি শুরু হয়ে যেত। নারকেল নাড়ু, মুড়ির মোয়া, তিলের নাড়ু আরও কত কী! কিন্তু বর্তমান সময়ে মানুষের ব্যস্ততা বেড়েছে। ঘুম ভাঙলেই ছেলেমেয়ে নাকেমুখে গুঁজে কাজে বেরোচ্ছে। ফলে নারকেল কুড়ে তারপর গুড় দিয়ে দীর্ঘ সময় ব্যয় করে নাড়ু তৈরির মতো সময় আর হাতে নেই। আবার ধৈর্যও নেই।
রায়গঞ্জে বাজার করতে আসা শহরের উকিলপাড়ার বাসিন্দা গৃহবধূ নমিতা শীল বলেন, আমাদের মা ঠাকুমার সময়ে ঘরে ঘরে নারকেল নাড়ু থেকে চিঁড়ে-মুড়ির মোয়া বানানো হতো। তখন বাড়িতে মা , কাকিমা, জেঠিমারা একসঙ্গে থাকতেন। পুজোর কাজ করার লোক বেশি ছিল। কিন্তু এখন হাতে সময় কমে গিয়েছে। পুজোর মিষ্টি বানানোর লোক নেই। যেমন আমি নিজেই মেয়েদের পোশাক তৈরির কাজ করি। ফলে সময় পাওয়া যায় না। নাড়ু, মোয়া বাজার থেকে কিনেই কাজ চালাই।
রায়গঞ্জের ব্যবসায়ী সূর্য দত্ত বলেন, এদিন রায়গঞ্জ শহরের মোহনবাটি, দেবীনগর, বন্দর সহ ইসলামপুর, রামগঞ্জ, পাঞ্জিপাড়া, চাকুলিয়া বাজারে প্যাকেটবন্দি নারকেল-তিলের নাড়ু, চিঁড়ে, খই ও মুড়ির মোয়া প্রতি প্যাকেট বিক্রি হয়েছে ১০ টাকায়। সবেতেই ছ’টি করে নাড়ু বা মোয়া থাকছে। যার যেমন প্রয়োজন সংগ্রহ করছেন। আবার খই, চিঁড়ে, আখের গুড় কেনার খদ্দের কমেছে।
অন্যদিকে, লক্ষ্মীপুজোর আগে দাম বাড়ছে ফল সহ পুজোর উপকরণের। এদিন মোহনবাটি বাজারে শিষ ডাবের দাম প্রতি পিস ৮০ টাকা ছুঁয়ে গিয়েছে। এক পিস পদ্ম ফুল ২৫ টাকা থেকে ৪০ টাকায় বিক্রি হয়েছে।