কাজকর্মের ক্ষেত্রে দিনটি বিশেষ শুভ। নতুন যোগাযোগ ও উপার্জন বৃদ্ধির ক্ষেত্র প্রস্তুত হতে পারে। বিদ্যায় ... বিশদ
মালদহের জেলাশাসক নীতিন সিঙ্ঘানিয়া বলেন, বিভিন্ন জায়গায় ত্রাণ বিলি হচ্ছে। মহানন্দার জল বিদপসীমার কাছে চলে এসেছে। এদিকে, বুধবার উত্তর চণ্ডীপুরে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যু হয় মমতা বেগম নামে এক মহিলার (৫৪)। বিদ্যুত্ বন্টন সংস্থার মালদহের রিজিওনাল ম্যানেজার সৌমেন দাস জানিয়েছেন, বাড়ির ভেতরে জলের মোটরে সমস্যা হয়েছিল। সেখান থেকেই ওই মহিলা বিদ্যুত্স্পৃষ্ট হন। এখানে বিদ্যুত্ বন্টন সংস্থার কোনও গাফিলতি নেই।
বৃহস্পতিবার দুপুর পর্যন্ত ইংলিশবাজারে মহানন্দার জলস্তর ছিল ২০.৮৪ মিটার। মহানন্দার বিপদসীমা ২১ মিটার। নদীর দুই কূল ছাপিয়ে দুই শহরের অনেক ওয়ার্ড জলমগ্ন। পরিস্থিতির ওপর নজর রাখতে এদিন সকাল থেকে স্পিড বোট নিয়ে মহানন্দা পরিদর্শন করেন জেলাশাসক, মহকুমা শাসক এবং ইংলিশবাজার পুরসভার চেয়ারম্যান। সঙ্গে ছিলেন এনডিআরএফের সদস্যরাও।
ডিএম বলেন, মহানন্দার জল বেড়ে যাওয়ায় ইংলিশবাজার পুরসভার চারটি ওয়ার্ড মিলিয়ে এক হাজারের বেশি পরিবার জলমগ্ন। তাদের ত্রিপল, জামাকাপড় এবং শুকনো খাবার দেওয়া হচ্ছে। দুর্গতদের জন্য শহরে রান্না করা খাবারের ব্যবস্থা চালু করা হয়েছে।
মহানন্দা নদী সংলগ্ন পুরাতন মালদহের ৮, ৯ এবং ২০ নম্বর ওয়ার্ড জলমগ্ন হওয়ায় পুজোর আনন্দ কার্যত ম্লান। মহানন্দায় জল বেড়ে যাওয়ায় বহু পরিবার ঘরবাড়ি ছাড়তে শুরু করেছে। আতঙ্কিত বাসিন্দারা বাড়ির জিনিসপত্র ভ্যানে করে শহরের বিভিন্ন স্কুলে রেখে আসছেন। তাঁরা বাচামারি ম্যানেজড প্রাথমিক বিদ্যালয়, স্থানীয় হাইমাদ্রাসা এবং এসএসকেগুলির ক্লাসরুমে আশ্রয় নিয়েছেন। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলিতে বাসিন্দারা আশ্রয় নিতে শুরু করায় পঠনপাঠন ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কা করছেন অনেকে।
ইংলিশবাজার পুরসভার চেয়ারম্যান কৃষ্ণেন্দু নারায়ণ চৌধুরী বলেন, আমাদের পুরসভার চারটি ওয়ার্ড ৮, ৯, ১২ ও ১৩ নম্বর আংশিকভাবে ডুবেছে। হাজার দুয়েকের মতো পরিবার ক্ষতিগ্রস্ত। বুধবার ক্ষতিগ্রস্ত জায়গা ঘুরে দেখেছি। বিকেলেই জেলাশাসককে বিষয়টি জানাই। আপাতত আমাদের নতুন ফ্লাড শেল্টারকে কাজে লাগানো হচ্ছে।
ইংলিশবাজার শহরের ৮ নম্বর ওয়ার্ডে একটি ফ্লাড শেল্টার আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন না হলেও এদিন তা খোলা হয়। বৃহস্পতিবার এখান থেকেই ৮ এবং ৯ নম্বর ওয়ার্ডের দুর্গতদের জন্য ‘দুয়ারে ত্রাণ’ কর্মসূচি করে পুরসভা ও জেলা প্রশাসন কয়েকশো মানুষকে ত্রিপল, শুকনো খাবার ও বস্ত্র দেয়।
এদিকে পুরাতন মালদহে স্কুলগুলিতে মানুষ আশ্রয় নেওয়ায় শিক্ষক এবং অভিভাবকদের একাংশ শহরের মাঝামাঝি স্থানে ফ্লাড শেল্টার গড়ার দাবি তুলেছেন। প্রতিবছর এই সমস্যা থেকে মহানন্দা পাড়ের বাসিন্দারা যাতে রেহাই পান, সেজন্যই এই পরামর্শ দিয়েছেন তাঁরা। পুরসভা কর্তৃপক্ষ বিষয়টি খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছে।
পুরাতন মালদহের ৮ নম্বর ওয়ার্ড ঘুরে দেখেন স্থানীয় কাউন্সিলার শ্যাম মণ্ডল। তিনি বলেন, মহানন্দার জল বাড়ছে। রাস্তায় এক জায়গায় ফাটল ধরেছে। অনেকে বাধ্য হয়ে ঘর ছেড়ে দিয়েছেন। গবাদি পশু রাস্তায় রাখছেন মানুষ। পুরসভার চেয়ারম্যান কার্তিক ঘোষ বলেন, সব ওয়ার্ডে নজর রাখা হচ্ছে। স্কুল খুলে দেওয়া হয়েছে। আমরা চিঠি দিয়েছি। নিজস্ব চিত্র।