ব্যবসায় বেচাকেনা বেশ ভালো হবে। কাজকর্মে কোনও প্রভাবশালী ব্যক্তির আনুকূল্য লাভ ও ভাগ্যোন্নতি। ... বিশদ
ইংলিশবাজার থানার এক আধিকারিক বলেন, ঘটনায় স্থানীয় দুষ্কৃতীরা জড়িত বলে প্রাথমিকভাবে আমাদের মনে হচ্ছে। দ্রুত দুষ্কৃতীদের গ্রেপ্তার করা সম্ভব হবে বলে আমরা আশাবাদী। চুরি যাওয়া সামগ্রীর তালিকা তৈরি হচ্ছে। তারপর এব্যাপারে নির্দিষ্ট করে কিছু বলা সম্ভব হবে।
দোকান মালিক তাপস সাহার কথায়, শনিবার সন্ধ্যার পর দোকান বন্ধ করে বাড়ি গিয়েছিলাম। রাবিবার সকালে পাশের দোকানদার আমাকে চুরির বিষয়টি জানান। সোনার গয়না ও রুপো মিলিয়ে দু’লক্ষ টাকারও বেশি সামগ্রী চুরি গিয়েছে। পালানোর সময় দুষ্কৃতীরা দোকানের সিসি ক্যামেরার হার্ডডিস্ক নিয়ে গিয়েছে। ফলে ফুটেজ পাওয়া যায়নি। যত দ্রুত সম্ভব খোয়া যাওয়া সামগ্রী উদ্ধার করার জন্য পুলিসকে অনুরোধ করেছি। চুরির ঘটনার জেরে আশাপাশের ব্যবসায়ী এবং স্থানীয় বাসিন্দারা আতঙ্কিত হয়েছেন। মালদহের পুলিস সুপার প্রদীপকুমার যাদব বলেন, ইংলিশবাজারে সোনার দোকানে চুরির ঘটনায় রবিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত কাউকে গ্রেপ্তার করা যায়নি। তদন্ত চলছে।
ইংলিশবাজার সহ মালদহের বিভিন্ন থানা এলাকায় সোনার দোকান ও অলঙ্কার ব্যবসায়ীদের দুষ্কৃতীরা নিশানা করেছে। জেলায় পরপর সোনার দোকানে চুরি, ডাকাতির ঘটনা ঘটেই চলেছে। পাশাপাশি দোকান ফেরৎ ব্যবসায়ীদের কাছ থেকেও সোনাদানা, নগদ ছিনতাইয়ের ঘটনা কম নয়। ফলে ব্যবসায়ীদের মধ্যে চরম আতঙ্ক ছড়িয়েছে। আগাম পদক্ষেপ নিতে সম্প্রতি ইংলিশবাজার শহরের অলঙ্কার ব্যবসায়ীদের নিয়ে থানায় বৈঠক হয়। সেখানে বেশকিছু নির্দেশিকা দিয়েছিল পুলিস। তবে শহরের ব্যবসায়ীদের জন্য পুলিস ব্যবস্থা নিলেও জেলার গ্রামাঞ্চলে ব্যবসা করা গয়না বিক্রেতারা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। চণ্ডীপুরের ঘটনার পর তাঁদের চিন্তা কয়েকগুণ বেড়ে যাবে বলে ওয়াকিবহাল মহলের অভিমত। এক পুলিস আধিকারিক বলেন, প্রতিটি দোকানের জন্য আলাদা করে নিরাপত্তা দেওয়া সম্ভব নয়। তবে গ্রামীণ এলাকার বাজারগুলিতে রাতে সিভিক ভলান্টিয়ার মোতায়েন থাকে। ঘটনার রাতে কাজিগ্রাম পঞ্চায়েত অফিস সংলগ্ন এলাকায় ছিল কিনা, আমরা খোঁজ নিচ্ছি। নিজস্ব চিত্র