গৃহে শুভকর্মের আয়োজনে ব্যস্ততা। বন্ধুসঙ্গ ও সাহিত্যচর্চায় মানসিক প্রফুল্লতা। উপার্জন বাড়বে। ... বিশদ
চারদিন আগে শনিবার গভীর রাতে রামকৃষ্ণ মিশনের ওই ভবনে হামলা চালায় সশস্ত্র দুষ্কৃতীরা। ওই রাত থেকেই মিশন কর্তৃপক্ষ ভবন ছাড়া। তদন্তের স্বার্থে সেই ভবনের গেটে তালা ঝোলায় পুলিস। এদিন সংশ্লিষ্ট ভবনে প্রবেশ করেন জলপাইগুড়ি রামকৃষ্ণ মিশন আশ্রমের সম্পাদক স্বামী শিবপ্রেমানন্দ মহারাজ। তিনি বলেন, পুলিস বাড়িটি হস্তান্তর করেছে। বাড়ির সব জিনিস ঠিক আছে কি না তা মিলিয়ে দেখব। আবার সেখান থেকে মানুষের মধ্যে পরিষেবা প্রদান সহ মিশনের কাজকর্ম শুরু হবে। হামলার ঘটনা নিয়ে আইন অনুসারে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি পুলিসের কাছে জানিয়েছি। আমরা আশাবাদী ওরা ব্যবস্থা নেবে। আমরা অপেক্ষা করব।
ওই ভবন মিশন কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করা হলেও সেখানে এখনও মোতায়েন রয়েছে সশস্ত্র পুলিস। তবে হামলার ঘটনায় মূল অভিযুক্ত প্রদীপ রায় এখনও অধরা। শিলিগুড়ির ডেপুটি পুলিস কমিশনার (পূর্ব) দীপক সরকার বলেন, ঘটনার তদন্তের জন্য ওই ভবনের গেট বন্ধ করা হয়েছিল। তা খুলে দেওয়া হয়েছে। মিশন কর্তৃপক্ষ ভবনে ঢুকেছে। নিরাপত্তার জন্য সেখানে পুলিস মোতায়েন রাখা হয়েছে। ঘটনার মূল অভিযুক্ত সহ আরও কয়েকজনের খোঁজ চলছে। শীঘ্রই বাকিরা ধরা পড়বে বলে আশাবাদী।
ঘটনায় ভক্তিনগর থানার ভূমিকা নিয়ে বিস্তর প্রশ্ন উঠেছে। পুলিস সূত্রে খবর, বিষয়টি নিয়ে অভ্যন্তরীণ তদন্ত করছেন এক সহকারী পুলিস কমিশনার। এদিন দুপুরে ওই অফিসার সংশ্লিষ্ট থানায় গিয়ে আইসি সহ থানার অফিসারদের সঙ্গে ঘটনার ব্যাপারে কথা বলেন। হামলার ঘটনার তদন্তের অগ্রগতি পর্যালোচনার পাশাপাশি থানার অফিসারদের ভূমিকা নিয়ে খোঁজ নেন। ডেপুটি পুলিস কমিশনার (পূর্ব) বলেন, গোটা ঘটনা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।