উচ্চবিদ্যার ক্ষেত্রে বাধার মধ্য দিয়ে অগ্রসর হতে হবে। কর্মপ্রার্থীদের ক্ষেত্রে শুভ যোগ। ব্যবসায় যুক্ত হলে ... বিশদ
পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, দিনহাটা শহরে ওই বেসরকারি ব্যাঙ্কটির শাখা অফিস রয়েছে। শহরের সাহেবগঞ্জ রোডের ব্যবসায়ী অনুপ সাহার ওই ব্যাঙ্কে কারেন্ট অ্যাকাউন্ট রয়েছে। তিনি ব্যাঙ্কে কখনও ক্রেডিট কার্ডের জন্য আবেদন করেননি। কিন্তু তিন সপ্তাহ আগে ফোন করে তাঁকে জানানো হয়, তিনি ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে চার লক্ষ টাকা তুলেছেন। সেটা ব্যাঙ্কে জমা দিতে বলা হয়। একথা শুনে কার্যত তাঁর মাথায় আকাশ ভেঙে পড়ে। এরপর তিনি ব্যাঙ্কে গিয়ে জানতে পারেন, তাঁর নামে ইস্যু হওয়া ক্রেডিট কার্ড থেকে ৫০ হাজার টাকা করে শহরের একটি এটিএম থেকে চার লক্ষ টাকা তুলে নেওয়া হয়েছে। এরপর অনুপবাবু ব্যাঙ্ক ও দিনহাটা থানায় লিখিত অভিযোগ করেন। ঘটনার তদন্তে নেমে গত সপ্তাহে ওই শাখার ক্রেডিট কার্ড করে দেওয়া এক এজেন্টের হদিশ পায় পুলিস। এরপর তাকে জিজ্ঞাসাবাদের পর ব্যাঙ্কের আধিকারিক এবং একাধিক কর্মীর হদিশ মেলে। এরপর ব্যাঙ্কের তিনকর্মীকে বুধবার পুলিস গ্রেপ্তার করে। ধৃতদের নিজেদের হেফাজতে নিয়ে আরও কেউ এই প্রতারণা চক্রে জড়িত কি না তা জানতে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিস।
প্রতারিত ব্যবসায়ী অনুপবাবু বলেন, আমি কোনওদিন ব্যাঙ্কে ক্রেডিট কার্ডের জন্য আবেদন করিনি। কিছু দিন আগে আমার কাছে ওই বিপুল পরিমাণ টাকা জমা দেওয়ার কথা জানিয়ে ফোন আসে। এরপর দ্রুত ব্যাঙ্কে গিয়ে জানতে পারি জানুয়ারির ৯ ও ১১ তারিখ ৫০ হাজার করে মোট ৪ লক্ষ টাকা তুলে নেওয়া হয়েছে। এরপর ব্যাঙ্ক ও থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করি।
এবিষয়ে সংশ্লিষ্ট ব্যাঙ্কের কর্পোরেট কমিউনিকেশনের ভাইস প্রেসিডেন্ট রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, এখন তদন্ত চলছে। তাই বেশিকিছু বলতে পারব না। পুলিসের তদন্তে আমরা সবরকম সহযোগিতা করছি। তবে আমাদের কর্মীদের এরকম ব্যবহার কখনও বরদাস্ত করা হবে না। পুলিসের পাশাপাশি ব্যাঙ্কের তরফেও ঘটনার তদন্ত হবে। কোচবিহারের অতিরক্ত পুলিস সুপার কুমার সানি রাজ বলেন, ক্রেডিট কার্ড নিয়ে প্রতারণা আমাদের প্রথম নজরে এসেছে। চার লক্ষ টাকার প্রতারণার অভিযোগ আসার পর তদন্তে নেমে ব্যাঙ্কের তিনকর্মী সহ চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ধৃতদের পুলিসি হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে।