শরীর নিয়ে চিন্তায় থাকতে হবে। মাথা ও কোমরে সমস্যা হতে পারে। উপার্জন ভাগ্য শুভ নয়। ... বিশদ
রাজ্য সরকার এখনও স্কুলগুলিকে ক্লাস চালু করার ছাড়পত্র দেয়নি। বুধবার স্কুলের অষ্টম শ্রেণীর এক ছাত্র বলে, এদিন ইতিহাস পরীক্ষা দিয়েছি। ক্লাসে আমরা সাতজন ছাত্র ছিলাম। একজন শিক্ষক ছিলেন। স্কুলের এক শিক্ষিকা সুমিত্রা বিশ্বকর্মা বলেন, আমরা সব ছাত্রছাত্রীকে ডেকে পরীক্ষা নিচ্ছি না। ধাপে ধাপে ১০-১৫ জন করে পরীক্ষা নেওয়া হচ্ছে। তবে স্কুলে পঠনপাঠন বন্ধ আছে।
স্কুলের প্রশাসনিক প্রধান মিনু রসাইলি বলেন, আমাদের অনলাইন ক্লাস নেওয়া শেষ হয়ে গিয়েছে। এখন ছাত্রছাত্রীদের আইকিউ টেস্ট নেওয়া হচ্ছে। অভিভাবকদের অনুমতি নিয়েই পরীক্ষা নিচ্ছি। একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণীর পরীক্ষা অনলাইনে নিয়েছি। আসলে অভিভাবকরা অনলাইন টেস্টে সন্তুষ্ট নন। এই পরীক্ষার জন্য অভিভাবকদের অনুমতিপত্র জমা নেওয়া হয়েছে।
স্কুলের ডিরেক্টর দ্বারিকাপ্রসাদ আগরওয়ালকে টেলিফোন করা হলে তিনি এ নিয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাননি। মিরিককের বিডিও অমিতাভ ভট্টাচার্য বলেন, রাজ্য সরকারের নির্দেশ অনুযায়ী এখনও কোনও ছাত্রছাত্রী স্কুলে যেতে পরবে না। ওই বেসরকারি স্কুল ছাত্রছাত্রীদের ডেকে পরীক্ষা নিয়ে থাকলে ঠিক করছে না। দার্জিলিংয়ের জেলাশাসক এস পুন্নমবালম বলেন, এ বিষয়ে খবর পেয়েছি। স্কুলে হাজির হয়ে পরীক্ষা নেওয়া বা ক্লাস করার সরকারি অনুমতি নেই। তদন্ত করে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেব।
স্কুল সূত্রে জানা গিয়েছে, স্কুলে প্রায় ৩০০ ছাত্রছাত্রী রয়েছে। নার্সারি থেকে দ্বাদশ শ্রেণী পর্যন্ত পড়ানো হয়। তবে একাদশ থেকে শুধু আর্টস ও কমার্স বিভাগে পঠনপাঠানের সুবিধা রয়েছে। ২১ অক্টোবর পর্যন্ত পরীক্ষার রুটিন দেওয়া হয়েছে। বিভিন্ন বিষয়ের পরীক্ষা রোজই হচ্ছে। পরীক্ষা নেওয়া হলেও ছাত্রছাত্রীরা বিনা স্কুল ইউনিফর্মে আসছে।
সম্প্রতি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় শিলিগুড়িতে এসে বলেছিলেন, কালীপুজোর পরে স্কুল খোলার ব্যাপারে আলোচনা করা হবে। সেক্ষেত্রে রাজ্য সরকারের নিষেধাজ্ঞা এখনও জারি আছে। এমন অবস্থায় কেন ওই স্কুল পরীক্ষা নিচ্ছে তা নিয়ে অভিভাবকদের মধ্যে ক্ষোভ জমেছে।