শরীর নিয়ে চিন্তায় থাকতে হবে। মাথা ও কোমরে সমস্যা হতে পারে। উপার্জন ভাগ্য শুভ নয়। ... বিশদ
এদিন কৃষ্ণেন্দুবাবু বলেন, আমি সারাবছরই সংগঠন করি। তবে এবার ব্লকে ব্লকে গিয়ে দলকে চাঙ্গা করব। লোকসভা নির্বাচনে আমরা আশানুরূপ ফল করতে পারিনি। সেই ভুল শুধরে সংগঠনকে মজবুত করতে হবে। জেলায় গুরুত্বপূর্ণ পদে বসেও অনেকে কাজ করছেন না। আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য তাঁদের ফল ভুগতে হবে।
মালদহ জেলা তৃণমূল সভানেত্রী মৌসম নুর বলেন, জেলা নেতৃত্বের সম্পর্কে কে কী মন্তব্য করছে তাতে গুরুত্ব দিতে চাই না। রাজ্য নেতৃত্বের নির্দেশে আমরা চলি। তবে দলের অভ্যন্তরীণ বিষয় নিয়ে সংবাদমাধ্যমকে কিছু বলতে চাই না। দলের ভালোর জন্য যা করার করব।
উল্লেখ্য, কৃষ্ণেন্দুবাবু একসময় মালদহে তৃণমূলের অন্যতম কাণ্ডারী ছিলেন। কিন্তু ইংলিশবাজার পুরসভার চেয়ারম্যানের দায়িত্ব থেকে দলে তাঁকে সরিয়ে দেওয়ার পর থেকে কৃষ্ণেন্দুবাবু ক্রমশ কোণঠাসা হতে শুরু করেন। জেলা তথা ইংলিশবাজারের তৃণমূল নেতাদের সঙ্গে তাঁর দূরত্ব বাড়তে থাকে। তিনি একাধিকবার জেলা নেতৃত্বের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে তোপ দাগেন। নেতৃত্বের সঙ্গে বনিবনা না হওয়ায় পোড়খাওয়া ওই রাজনীতিবিদ তৃণমূল ত্যাগ করতে পারেন বলেও একসময় জল্পনা তৈরি হয়। যদিও কৃষ্ণেন্দুবাবু সেই জল্পনায় জল ঢেলে তৃণমূলে থেকে যাওয়ার কথা জানিয়ে দেন।
এদিকে, বিধানসভা নির্বাচনের আগে মালদহে তৃণমূলের সাংগাঠনিক অবস্থা খুব একটা ভালো নয়। এই অবস্থায় অভিজ্ঞ তৃণমূল নেতাদের ফের ময়দানে নামাতে রাজ্য নেতৃত্ব সক্রিয় হয়েছে। সেই কারণে শিলিগুড়িতে মঙ্গলবারের বৈঠকে জেলা সভানেত্রী, চেয়ারম্যান এবং তিন কো-অর্ডিনেটরের পাশাপাশি কৃষ্ণেন্দুবাবুকেও ডেকে পাঠানো হয়।
জেলা তৃণমূলের এক কো-অর্ডিনেটর বলেন, কিষাণদা’কে (এই নামেই কৃষ্ণেন্দুবাবু দলীয় মহলে পরিচিত) বৈঠকে অভিষেকবাবু যথেষ্ট গুরুত্ব দেন। তাঁকে ফের জোরকদমে সংগঠনের কাজ করার জন্য রাজ্য নেতৃত্ব বলে। পাশাপাশি প্রাক্তন মন্ত্রীকে বৈঠকে ডেকে দলে ফের তাঁর গুরুত্ব বাড়ানোর ইঙ্গিত রাজ্য নেতৃত্ব দিয়েছে। তবে বিভিন্ন সময়ে তির্যক মন্তব্য নিয়ে এর আগে জেলা নেতৃত্বের সঙ্গে বিবাদ বেঁধেছিল। ফলে জেলা নেতাদের সঙ্গে তাঁর বনিবনা কতটা হবে তা নিয়ে অনেকেই সন্দিহান।