শরীর নিয়ে চিন্তায় থাকতে হবে। মাথা ও কোমরে সমস্যা হতে পারে। উপার্জন ভাগ্য শুভ নয়। ... বিশদ
পুজো উপলক্ষে ‘সেরিনিটি বাই সৈকত’ এনেছে ধুতিতে কাঁথার কাজ। বিশেষত্ব রয়েছে ধুতির মেটিরিয়াল নির্বাচনেও। এখানে শাড়ির থান কেটে তাতে প্রিন্ট করে ধুতি বানানো হয় না। ধুতি তৈরি হয় ধুতির থানেই; তাতে তারপর প্রিন্ট বা কাঁথা কাজ করা হয়। ধাক্কা পাড়ের উপর কাঁথা কাজের ধুতি দেখতে লাগে অসাধারণ, আভিজাত্যই আলাদা। আর ফ্যাব্রিক হিসেবে সুতির ওপরে ভরসা রাখেন ডিজাইনার সৈকত বন্দ্যোপাধ্যায়।
ধুতির উপর কারুকাজে তিনি তুলে এনেছেন প্রকৃতি বা দৈনন্দিন জীবনের নানা টুকিটাকি জিনিসের ছবি। তবে সৈকতের একান্ত পছন্দের ডিজাইন হল জ্যামিতিক নকশা। কাঁথা কাজের ধুতিতে গল্প ফুটিয়ে তোলার চেষ্টাও করেছেন তিনি। টিয়া বসেছে কদমডালে, অথবা হাতির শাবক চলেছে বনের পথে, রয়েছে এমন সব ডিজাইন। ধুতির পাড়ে আছে ডোকরার মাছের নকশাও। প্রতিটিই নিজের হাতে আঁকার পরে ফুটিয়ে তোলেন ধুতির পাড়ে।
প্রিন্টেড ধুতির মধ্যে সেরিনিটির বিশেষত্ব স্কার্ট পাড় এবং তাতে চওড়া জ্যামিতিক নকশা। রয়েছে কলকাতা স্কাইলাইনও।
কাঁথা নিয়ে আরও পরীক্ষানিরীক্ষার ইচ্ছে আছে সৈকতের। সাধারণ কিছু চলতি সুতোর কাজ যে কাঁথা নয়, সেই ভুল ভাঙানো ও বাংলার এই ঐতিহ্যকে রক্ষা করাই তাঁদের লক্ষ্য। সঙ্গে ধুতির মতো পোশাকে আধুনিকতা এনে নতুন প্রজন্মের কাছে তাকে জনপ্রিয় করে তুলতে চান তাঁরা। ফেসবুকে তাঁদের পেজ সেরিনিটি বাই সৈকত-এ দেখতে পারেন কালেকশন।
সৈকতের ডিজাইনে ধুতির সঙ্গে পেয়ে যাবেন পাঞ্জাবিও। তিনি বলেন, ‘আগে মূলত উৎসবেই পাঞ্জাবি পরত লোকে। এখন কিন্তু এটা রেগুলার ওয়্যার।’ তাই আরামের দিকে খেয়াল রেখে মূলত কটনের পাঞ্জাবিই করেন তিনি। তার সঙ্গে প্যাচ ওয়ার্ক। থাকে ব্লক, এমব্রয়ডারি দিয়ে মিক্স অ্যান্ড ম্যাচ। এখানেও তাঁর নিজের হাতে আঁকা কাঁথা কাজের প্রাধান্য। ধুতির পাশাপাশি মেয়েদের জন্য শাড়িও তিনি করেন। তাতেও জ্যামিতিক নকশা পছন্দ তাঁর। এর সঙ্গে গামছা প্যাচও থাকে সলিড কালারের পাঞ্জাবিতে। তার সঙ্গে কখনও থাকে কাঁথা বা এমব্রয়ডারি কাজ।
বিবি রাসেলের ডিজাইনে অনুপ্রাণিত হয়ে সৈকত শাড়ি শুরু করেছিলেন গামছার মেটেরিয়াল দিয়ে। এখানেও আছে ব্লক আর এমব্রয়ডারি। কটনের শাড়িতেও কাঁথাকাজ করেন। তাঁর দাবি, ‘এ শহরে সেটা খুব কম জায়গাতেই পাবেন। কটন কাঁথার চাহিদা ভীষণ। দামও সাধ্যের মধ্যে।’ শাড়িতে বাটিকের নকশাও নিজের হাতে করেন। বাড়ির পুজোয় আলপনা দিতেন। সেই কনসেপ্টই তুলে আনেন বাটিকের নকশায়। শাড়িতে সিল্কও আছে তাঁর, কাঁথার উপরেই। পুজোর পরে শাড়িতে তিনি আনছেন জারদৌসি এবং আরি এমব্রয়ডারি। তাতেও তাঁর নিজের হাতের আঁকা নকশা থাকবে।
ফোন: ৮৭৭৭৩৭১৪৪০