শরীর নিয়ে চিন্তায় থাকতে হবে। মাথা ও কোমরে সমস্যা হতে পারে। উপার্জন ভাগ্য শুভ নয়। ... বিশদ
কোচবিহার জেলা ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক চাঁদমোহন সাহা বলেন, অন্যান্যবার যে পরিমাণ পুজোয় বিক্রিবাটা হয়, এবার এখন তার অর্ধেকও হচ্ছে না। ছুটির দিনগুলিতেও ক্রেতাদের সেই জোয়ার চোখে পড়ছে না। পুজোর আর একসপ্তাহ হাতে। যাঁরা পুজোর সামগ্রী দোকানে তুলেছেন, তাঁরা চিন্তায় রয়েছেন। নিম্নঅসমের ক্রেতারা অন্যান্যবার এ সময়ে আসেন। এবার তার একঅংশও ক্রেতা নেই।
কোচবিহার বস্ত্র ব্যবসায়ী সমিতির সহ সম্পাদক সুরজ ঘোষ বলেন, অন্যান্যবারের থেকে এবার পুজোর বাজার খারাপ এ কথা ঠিক। তবে আগে যেমনটা মনে হয়েছিল পুজোর বাজারে সেভাবে ক্রেতা আসবেন না তেমনটা কিন্তু হয়নি। আমরা শহরের ক্রেতাদের পাচ্ছি। কিন্তু গ্রামীণ এলাকা কিংবা নিম্নঅসমের ক্রেতাদের দেখা মিলছে না। আমাদের ব্যবসার অনেকটাই ওই ক্রেতাদের উপর নির্ভর করে।
কোচবিহারের পুজোর বাজার মানেই ভবানীগঞ্জ সহ শহরের বিভিন্ন রাস্তার ধারে থাকা বড় দোকান, শপিংমল। ওইসব দোকানে পুজোর একমাস আগে থেকেই দুপুর গড়িয়ে রাত পর্যন্ত ভিড় হয়। জামাকাপড়, চটিজুতো, প্রসাধনী সামগ্রীর দোকানে ক্রেতাদের ভিড় উপচে পড়ে। শহরের ক্রেতাদের পাশাপাশি জেলার বিভিন্ন গ্রামীণ এলাকা থেকে মানুষ কেনাকাটা করতে আসেন। খুচরো কেনাকাটার পাশাপাশি পাইকারি ক্রেতারাও এখান থেকে জিনিসপত্র কিনে নিয়ে যান। নিম্নঅসমের একটা বড় সংখ্যক ক্রেতা কোচবিহার শহর থেকে বাজার করে নিয়ে যান। এবার তাঁরা সেইঅর্থে শহরের বাজারে আসেননি। শহরের যাঁরা কেনাকাটা করছেন, তাঁরা সন্ধ্যার আগেই বাজার সেরে বাড়ি ফিরছেন। সন্ধ্যার পর কার্যত দোকানগুলি ফাঁকাই থাকছে।