শরীর নিয়ে চিন্তায় থাকতে হবে। মাথা ও কোমরে সমস্যা হতে পারে। উপার্জন ভাগ্য শুভ নয়। ... বিশদ
আগামী ২৮ অক্টোবর বিহারে প্রথম দফার ভোটগ্রহণ। গত মঙ্গলবার ভোটের ভার্চুয়াল প্রচার শুরু করেছেন জেডিইউ প্রধান নীতীশ কুমার। মুখ্যমন্ত্রীর সেদিনের এক মন্তব্যকে হাতিয়ার করেই এদিন চাঁচাছোলা ভাষায় তাঁকে নিশানা বানালেন তেজস্বী। মঙ্গলবার নীতীশ বলেছিলেন, আমরা রাজ্যে বড় মাপের বিনিয়োগ আনতে চেয়েছিলাম। কিন্তু বিহার চারপাশ থেকে স্থলভাগে ঘেরা হওয়ায় সেই প্রচেষ্টায় বাধা তৈরি হচ্ছে। ওই মন্তব্যের প্রেক্ষিতে এদিন তেজস্বীর খোঁচা, বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার বড়ই ক্লান্ত। রাজ্যকে সামলানোর ক্ষমতা তাঁর আর নেই। তিনি আর উন্নয়ন, বেকারত্ব, শিক্ষা, স্বাস্থ্য পরিকাঠামো ও দারিদ্র নিয়ে কথা বলতে চান না।
মনোনয়নপত্রে তেজস্বী যাদব ঘোষণা করেছেন, তাঁর ৫.৮ কোটি টাকার সম্পত্তি রয়েছে। লালু-পুত্রের সম্পত্তির পরিমাণ নিয়ে ইতিমধ্যেই বিজেপি প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছে। উপমুখ্যমন্ত্রী তথা প্রবীণ বিজেপি নেতা সুশীলকুমার মোদি বৃহস্পতিবার বলেন, তেজস্বী তো কোনও চাকরি-বাকরি করেন না! তাঁর এত সম্পত্তি কোথা থেকে এল? এদিন তেজস্বীর পাল্টা জবাব, বিহারের বেকারত্ব ও রাজ্যে ফিরে আসা পরিযায়ী শ্রমিকদের বেহাল অবস্থা থেকে নজর ঘোরাতেই এইসব কথা বলা হচ্ছে। এদিকে, জেডিইউ প্রার্থী চন্দ্রিকা রাইয়ের প্রচারের মঞ্চ ভেঙে বহু মানুষ জখম হয়েছেন। তবে কারও চোটই গুরুতর নয়। চন্দ্রিকা রাই হলেন লালুপ্রসাদ যাদবের বড় ছেলে তেজপ্রতাপের শ্বশুর। সম্প্রতি তিনি লালুর দল ছেড়ে জেডিইউয়ে যোগ দিয়েছেন। বৃহস্পতিবার সোনপুর আসন থেকে নীতীশ কুমারের দলের প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন পেশ করেন তিনি। এরপর একটি নির্বাচনী সভা করেন। সেখানে প্রথমে বক্তব্য রাখেন জোটসঙ্গী বিজেপির নেতা রাজীবপ্রতাপ রুডি। এরপর বক্তব্য রাখার কথা ছিল রাইয়ের। কিন্তু সেই সময় মঞ্চে বাড়তি ভিড়ের কারণে তা ভেঙে পড়ে। অভিযোগ, রাইয়ের এই সভায় করোনা সংক্রান্ত স্বাস্থ্যবিধি শিকেয় ওঠে।
আওরঙ্গাবাদে নির্বাচনী প্রচারে নীতীশ কুমার। -পিটিআই