Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

করোনা রোখার মন্ত্র ‘চাচা আপন প্রাণ বাঁচা’ 
তন্ময় মল্লিক

করোনা মোকাবিলায় সোশ্যাল ডিস্ট্যান্সিং মেনে চলার ও মাস্ককে জীবনসঙ্গী করার পরামর্শ হচ্ছে উপেক্ষিত। সুস্থতার হার ৮৭ শতাংশ। সকলের নজর সেই দিকেই। তাতে সাহসী হচ্ছে মানুষ। বাড়ছে বেপরোয়া ভাব। এগিয়ে আসছে বাংলার ভোট। প্রকট হচ্ছে রাজনৈতিক দলগুলির ক্ষমতা দখলের বাসনা। করোনার মধ্যেও ইস্যু পেলেই আন্দোলন। না থাকলে তৈরির চেষ্টা। অভিমুখ রাজ্যপাট। তাই কথায় কথায় মিছিল আর লড়াই।
মুখে ঩জনস্বার্থের স্লোগান, আর মনে মনে গাইছে ঠাকুরের গান, ‘তোরা যে যা বলিস ভাই আমার সোনার হরিণ চাই।’ ‘সোনার হরিণ’ পাওয়ার
বাসনা অনেক সময়ই ডেকে আনে ভয়ঙ্কর বিপদ। সীতার সোনার হরিণের চাহিদাতেই বেঁধেছিল লঙ্কাকাণ্ড। আবার সেই সোনার হরিণেরই নাগাল পাওয়ার চেষ্টা। মহামারীর চোখ রাঙানিকে পরোয়া না করেই চলছে মিটিং, মিছিল। কর্মী সমর্থকদের জীবন সেখানে তুচ্ছ। তা দেখে জাগছে সংশয়, ফের কি এক লঙ্কাকাণ্ডের দোরগোড়ায়?
খুব বেশি দিন আগের কথা নয়। বড়জোর মাস খানেক হবে। হুগলির এক সভায় বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ ঘোষণা করেছিলেন, ‘করোনা চলে গিয়েছে। দিদিমণি (মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়) বিজেপিকে আটকাতে লকডাউন করছেন।’ বিজেপির রাজ্য সভাপতি যখন এই দাবি করেছিলেন তখন রাজ্যে প্রতিদিন গড় আক্রান্তের সংখ্যা ছিল তিন হাজার। বেপরোয়া মনোভাবের সৌজন্যে এখন
সাড়ে তিন হাজার। শুধু ভাষণে নয়, বিজেপি নেতৃত্বের আচরণেও করোনাকে উপেক্ষার বার্তা। তাতে
কর্মীরাও হয়েছেন উৎসাহিত। কারণ নেতানেত্রীদের অনুসরণ ও অনুকরণের ঝোঁক অনুগামীদের ম঩ধ্যে সর্বদাই প্রবল। গেরুয়া শিবিরে একটাই লক্ষ্য, বঙ্গজয়। তা দলের কর্মসূচিতেই স্পষ্ট। প্রতিদিন রাজ্যজুড়ে চলছে মিছিল। বলাই বাহুল্য, জমায়েতে মাস্ক পরিহিত কর্মী সমর্থকের সংখ্যা খুবই নগণ্য। তারই মধ্যে বিজেপির যুব মোর্চার ‘নবান্ন অভিযান’। ভোটারদের প্রভাবিত করতে শক্তি জাহিরের চেষ্টা। তাতে বিজেপির প্রভাব কতটা বাড়ল, সেটা সময় বলবে। কিন্তু, এই সুযোগে করোনা যে তার থাবা আরও প্রসারিত করে নিল, তা হলফ করে বলা যায়।
তবে সুখের কথা, দিলীপবাবু তাঁর মত বদলেছেন। তিনি বুঝেছেন, করোনা আছে এবং তার ভয়ও যথেষ্ট। সেই কারণেই তিনি দুর্গোৎসবে শামিল না হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন। তাঁর আশা, করোনা মহামারী থেকে মা দুর্গা দ্রুত উদ্ধার করবেন। এ কথার অর্থ, বিজেপিকে আটকানোর জন্য লকডাউন করা হচ্ছে বলে তাঁর দাবির পিছনে যুক্তি ছিল না, ছিল রাজনীতি।
করোনা থাবা বসানোর পর রাজ্যের সমস্ত দলই মিটিং মিছিল এড়িয়েই চলছিল। কিন্তু অমিত শাহ ভার্চুয়াল সভায় বঙ্গ দখলের বার্তা দিতেই গেরুয়া শিবির ঝাঁপিয়ে পড়ে। জীবন ও জীবিকার স্বার্থে মুখ্যমন্ত্রীর দোকান খুলে দেওয়ার ঘোষণাকে যাঁরা তীব্র সমালোচনায় বিদ্ধ করেছিলেন, তাঁরাই মিটিং মিছিল শুরু করে দিলেন। তারপরেও করোনা সংক্রমণের কথা মাথায় রেখে বহুদিন তৃণমূল, সিপিএম এবং কংগ্রেস কোনও রাজনৈতিক কর্মসূচি নেয়নি। রাজনীতিতে কেউই দীর্ঘদিন প্রতিপক্ষকে খেলার জন্য ফাঁকা ময়দান ছেড়ে দেয় না। তাই ফের জমি দখলের লড়াই। একে একে নেমে পড়ল সবাই।
কেন্দ্রীয় সরকার নয়া কৃষি আইন পাশ করামাত্র প্রতিবাদে সরব হল তৃণমূল। ‘কালা কানুন’ বাতিলের দাবিতে মিছিল, মিটিং শুরু করে দিল। হাতরাস ইস্যুতে আন্দোলনের তীব্রতা বাড়িয়ে দিল অনেকটাই। আর সেই সব মিছিলে হাজার হাজার মানুষের ভিড়। গায়ে গা লাগিয়ে হাঁটায় সংক্রমণের আশঙ্কা বেড়েই চলেছে। তাই করোনা ছড়ানোর দায় বিরোধীদের পাশাপাশি শাসক দলকেও নিতে হবে বইকি।
ইস্যু তৈরিতে বিজেপি এই মুহূর্তে এক নম্বর। সাফল্যের ভাণ্ডার ঠকঠকালেও বিরোধিতার অস্ত্র একেবারে শানিত তরোয়াল। তা থেকে রাজনৈতিক ফায়দা তোলায় কোনও কার্পণ্য থাকে না। টিটাগড়ে ‘দলবদলু’ মনীশ শুক্লা খুন হতেই ৩৬৫ ধারার ক্ষেত্র প্রস্তুতের মরিয়া চেষ্টা। মৃতদেহ নিয়ে রাজভবন অভিযানের নামে কলকাতা শহরকে কার্যত লণ্ডভণ্ড করল। কিন্তু, লাভ হল না। তাই ইস্যু জিইয়ে রাখতে সিবিআইয়ের দাবিতে বারাকপুরে মোমবাতি র‌্যালি। তৃণমূলও পাল্টা হিসেবে ‘শান্তি মিছিলে’র নামে বিশাল পদযাত্রা করে শক্তি জাহির করল। তাতে শিল্পাঞ্চলে তৃণমূলের কর্মী সমর্থকরা হয়তো কিছুটা চাঙ্গা হলেন, কিন্তু করোনোর বিপদ বাড়ল।
বাম নেতৃত্ব তাদের পার্টি ক্লাসে একটা কথা প্রায়ই দাবি করে, সিপিএম বিজ্ঞান নির্ভর দল। সেই দলের মাথায় রয়েছেন সূর্যকান্ত মিশ্র। তিনি একজন চিকিৎসক। তাই সেই দলের কাছে বিজ্ঞানমনস্ক পদক্ষেপই কাম্য। কিন্তু, তারাও একই পথের পথিক। আসলে রাজ্যের মূল দুই প্রতিদ্বন্দ্বী দল মিটিং মিছিল করবে, আর করোনা সংক্রমণের আশঙ্কায় বামেরা চুপচাপ বসে থাকবে! সেটা করলে যে ‘লড়াই লড়াই লড়াই চাই, লড়াই করে বাঁচতে চাই’ স্লোগানের জনকদের গরিমায় ঘা লাগবে। তাই তাঁরাও রাস্তায়।
বামেরা রাজ্যের ক্ষমতা থেকে গেলেও তাদের দ্বিচারিতার স্বভাব থেকেই গেল। একদিকে বিভিন্ন ইস্যুতে রাজ্যজুড়ে মিছিল মিটিং করছেন। মাস্ক ছাড়াই মিছিলে হাঁটছেন, সভায় ভাষণ দিচ্ছেন। আবার সেই দলের নেতা সূর্যকান্তবাবুই বলছেন, ‘উৎসবে শৃঙ্খলার দায়িত্ব নিতে হবে রাজ্য সরকারকে।’ এটাই চোরকে চুরি করতে বলে গৃহস্থকে সাবধান করার উদাহরণ, এর চেয়ে ভালো কিছু হতে পারে না।
দ্বিতীয়বার প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি হয়েছেন অধীর চৌধুরী। নেতৃত্বের বলিষ্ঠতার স্বীকৃতিস্বরূপ দল তাঁকে দিয়েছে লোকসভার বিরোধী নেতার মর্যাদা। তাই নিজের রাজ্যে কংগ্রেসকে ফের শক্তপোক্ত জায়গায় দাঁড় করানোর তাগিদ তাঁর থেকেই যায়। সম্ভবত সেই তাগিদ থেকেই তাঁর কলকাতায় মিছিলের ডাক। জবরদস্ত মিছিলে কংগ্রেসের মরা গাঙে জোয়ার না আসলেও সঞ্চারিত হয়েছে ফল্গুধারা। তার সঙ্গে প্রসারিত হয়েছে করোনার থাবাও।
তবে, ইদানীং বিজেপির মিছিল একটু বেশিই হ঩চ্ছে। অবশ্য কারণও আছে। এতদিন দিলীপবাবুই ছিলেন দলের শেষ কথা। এখন আরও একজন ভাগীদার হয়েছেন। মুকুল রায়। ফলে দলীয় মেরুকরণের লড়াইয়ে কোন গোষ্ঠী কর্তৃত্ব করবে, তা নিয়েও শুরু হয়েছে প্রতিযোগিতা। এক গোষ্ঠী মিছিল করে যেতে না যেতেই অন্য গোষ্ঠী সেখানে পৌঁছে যাচ্ছে। যাচাই হচ্ছে, কার পাল্লা ভারী! তাই নিয়ে রাজ্যে রীতিমতো মিছিলের প্রতিযোগিতা চলছে। একে অপরকে টক্কর দেওয়ার লড়াইয়ে মত্ত। আর তার জন্য দিন দিন কঠিন হচ্ছে করোনা মোকাবিলা।
বাংলায় উৎসবের মরশুম শুরু। দুর্গাপুজো দিয়ে শুরু, শেষ হবে দীপাবলিতে। উৎসব মানেই ভিড়, আড্ডা, আনন্দ। কিন্তু সেই আনন্দ যেন নিরানন্দের কারণ হয়। তাই এবারের উৎসব শুধু আনন্দের নয়, পরীক্ষারও। বাংলার এবং বাঙালির পরীক্ষা।
সংযমের অগ্নিপরীক্ষা। হাততালি দিয়ে, কাঁসর ঘণ্টা বাজিয়ে, প্রদীপ জ্বেলে যে করোনা মোকাবিলা সম্ভব নয়, তা প্রমাণিত। করোনাকে ঠেকাতে গেলে নিয়ম মানতে হবে। উৎসবে, ধর্মীয় অনুষ্ঠানেও যে বাংলা সংযত থাকতে পারে তার প্রমাণ দিয়েছে
ঈদ ও মহরম। ঘরে থেকেই পালিত হয়েছে ধর্মীয় আচার। দুর্গোৎসবেও ফের একবার প্রমাণ দিতে
হবে। ইতিমধ্যেই মহামিলনের তীর্থক্ষেত্র বেলুড় মঠ কর্তৃপক্ষ পুজোয় মঠে সাধারণের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। করা হচ্ছে ঘরে বসেই মাতৃদর্শনের ব্যবস্থা। কলকাতার দু’একটি নামী পুজো কমিটিও সেই পথেই হাঁটছে। উৎসবে করোনাকে বুড়ো আঙুল দেখানোর এটাও একটা রাস্তা।
এই উৎসবই আমাদের সামনে এনে দিয়েছে একটা সুযোগও। শ্রেষ্ঠত্ব প্রমাণের। করোনা নিয়ন্ত্রণ করে গোটা দেশ সহ বিশ্বের প্রশংসা কুড়িয়েছিল কেরল। সেই কেরলও ওনাম উৎসবে সংযম দেখাতে পারেনি। তাই এক ধাক্কায় কেরলের দৈনিক সংক্রমণের হার এক হাজার থেকে বেড়ে ১২ হাজারের কাছাকাছি। শিক্ষার নিরিখে দেশের এক নম্বর রাজ্য কেরল। সেই কেরলও পারেনি। এবার বাংলার পরীক্ষা।
করোনা কেড়ে নিয়েছে বহু অমূল্য প্রাণ। মহামারীর বিরুদ্ধে লড়াই করতে করতে করোনা যোদ্ধারা ক্লান্ত, পরিশ্রান্ত। প্রাণ হারাচ্ছেন তাঁরাও। ইতিমধ্যেই হাসপাতালে হাসপাতালে বেডের হাহাকার। এই অবস্থায় উৎসবের দিনে সংযম হারালেই সুনামির বিধ্বংসী শক্তি নিয়ে আছড়ে পড়বে মারণ ভাইরাস। তখন সমস্ত প্রতিরোধই খড়কুটো। তাই এখন থেকেই হতে হবে সতর্ক। বিপদ থেকে পরিত্রাণের একটাই মন্ত্র, ‘চাচা আপন প্রাণ বাঁচা।’ 
অতিরিক্ত দিল্লি নির্ভরতাই বঙ্গ-বিজেপির সঙ্কট
সমৃদ্ধ দত্ত

মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে তাঁর মতো ঝোড়ো আর্থ সামাজিক রাজনৈতিক পরিস্থিতির মোকাবিলা করেননি আর কেউই। সবেমাত্র দেশ স্বাধীন হয়েছে। লক্ষ লক্ষ উদ্বাস্তু-স্রোত। এই সঙ্কটের মধ্যেই তাঁকে কাজ করতে হয়েছে। তাঁকে অভীধা দেওয়া হয় বাংলার রূপকার। কিন্তু ডা. বিধানচন্দ্র রায়ের বিরুদ্ধে বিরোধীদের প্রধান অভিযোগ ছিল, তিনি কৃষিকে অবহেলা করেছেন। তাঁর ১৪ বছরের শাসনকালে তিনি যতটা উন্নতিসাধন করেছিলেন শিল্পে, সেই তুলনায় কৃষির উন্নয়ন কম হয়েছে।  
বিশদ

16th  October, 2020
ষড়যন্ত্রের তত্ত্বে সব ব্যর্থতা ঢাকা যায় না 
সন্দীপন বিশ্বাস

ব্যর্থতার এক একটি মাইলস্টোন স্থাপন করতে করতে ক্রমেই অতল খাদের দিকে এগিয়ে চলেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি অ্যান্ড কোম্পানি। অনেকেই অবশ্য মানবেন না যে খাদটা অতল। কেননা ভোটের এখনও অনেকদিন বাকি। কিন্তু তাঁর জনপ্রিয়তার প্রতিদিনই পতন হচ্ছে। সেটা তিনি নিজেও বোঝেন। তাই ইদানীং ছাতি বাজানো, তালি বাজানো বন্ধ করে দিয়েছেন। চেষ্টা করছেন, নানা রকম ভুজুং ভাজুং দিয়ে হারানো গৌরব উদ্ধার করতে।  
বিশদ

14th  October, 2020
ডিজিটাল রঙ্গমঞ্চের কাঠের পুতুল
শান্তনু দত্তগুপ্ত 

ল্যাপটপটা পড়ে আছে টেবিলের উপর। শাটডাউন। খোলা শুধু টপ কভারটা। আপনি অফিস থেকে ফিরে ঘরে ঢুকলেন। জামাকাপড় চেঞ্জ করছেন। এরপর বাথরুম। ফ্রেশ হয়ে বেরিয়ে বসলেন বিছানায়...। বন্ধ ঘরে কেউ নেই। কেউ দেখছে না আপনার ব্যক্তিগত মুহূর্তগুলো। 
বিশদ

13th  October, 2020
শাস্তি থেকে অব্যাহতির পীঠস্থান উত্তরপ্রদেশ 
পি চিদম্বরম

গত ২০ সেপ্টেম্বর নয়াদিল্লির সফদরজং হাসপাতালে এক তরুণী মারা গেলেন। ২২ সেপ্টেম্বর ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে এক বয়ানে তিনি জানান, ১৪ সেপ্টেম্বর ওই তরুণী নিগৃহীতা এবং ধর্ষিতা হয়েছেন। এই ঘটনায় তরুণী যে চারজনের নামে অভিযোগ এনেছেন তারা তাঁরই গ্রামের ছেলে—উত্তরপ্রদেশে হাতরাস জেলার বুলাগড়ি গ্রামের বাসিন্দা।  
বিশদ

12th  October, 2020
বাংলার বদনাম করার চক্রান্ত রুখে দিন
হিমাংশু সিংহ

ক্ষমতায় না আসতেই গেরুয়া শক্তির গুন্ডামির ন্যক্কারজনক প্রদর্শনী দেখল বাংলার রাজপথ। ক্ষমতায় এলে এরা রাজ্যটাকে কোন নরকে টেনে নামাবে তার একটা সুস্পষ্ট ইঙ্গিতও মিলল। সেই সঙ্গে আতঙ্কের ঠান্ডা স্রোত খেলে গেল রাজ্যবাসীর শিরদাঁড়ায়। বৃহস্পতিবারের নবান্ন অভিযানের ছবিগুলো দেখতে দেখতে একসময় মনে হচ্ছিল, এ কোনও গণতান্ত্রিক আন্দোলন, না স্রেফ দাঙ্গা-হাঙ্গামার মহড়া! 
বিশদ

11th  October, 2020
কাঁটা দিয়ে কাঁটা তোলাই ভোটের কৌশল
তন্ময় মল্লিক

বাতাসে হিমের ছোঁয়া লাগলেই বোঝা যায়, পুজো আসছে। মাটিতে ঝরে পড়া শিউলি বুঝিয়ে দেয়, পুজোর আর দেরি নেই। উচ্ছ্বসিত কিশোরীর মতো কাশফুলের দোল খাওয়া দেখলেই মনে হয়, ঢাকে কাঠি এই পড়ল বলে। নীল আকাশের কোলে সাদা মেঘের ছোটাছুটি বুঝিয়ে দেয়, শারদোৎসব আগতপ্রায়। 
বিশদ

10th  October, 2020
আমেরিকায় কর ফাঁকি দিয়েও ভোটে জেতা যায়?
মৃণালকান্তি দাস

কর এড়িয়ে যাওয়ার অভিযোগ আমেরিকার মতো দেশে অনেক বড় অপরাধ। কিন্তু মুশকিল হচ্ছে, ডোনাল্ড ট্রাম্পের সমর্থকরা ‘গোঁড়া সমর্থক’ হিসেবেই পরিচিত। যা কিছুই হোক, তাঁরা ট্রাম্পের সঙ্গেই রয়েছেন। বিশদ

09th  October, 2020
সুন্দর অভ্যাসগুলিকেও কি বিদায় দেব
হারাধন চৌধুরী

সাল ২০১৮। সাল ২০১৯। পর পর দু’বছর। কলকাতা সারা দেশের মধ্যে সবচেয়ে নিরাপদ শহরের শিরোপা দখল করেছিল। ন্যাশনাল ক্রাইম রেকর্ডস ব্যুরোর (এনসিআরবি) সর্বশেষ রিপোর্ট প্রকাশ হয় ২০২০-র জানুয়ারিতে। তাতেই কলকাতা এইভাবে চিহ্নিত হয়।   বিশদ

08th  October, 2020
যোগী মহারাজ আদিত্যনাথকে খোলা চিঠি 
সন্দীপন বিশ্বাস

মাননীয় যোগী মহারাজ, নামবদল করতে আপনি খুব ভালোবাসেন। মুসলিম নামের ছোঁয়া আছে, এমন সব নাম আপনি ‘ইতিহাসবিজ্ঞের’ মতো দুমদাম বদলে দিচ্ছেন। স্টেশনের নাম, শহরের নাম, স্থাপত্যের নাম। এখন দেশের মানুষই আপনার রাজ্যটার নাম বদলে দিতে চাইছে। মানুষ বলছে, উত্তরপ্রদেশ রাজ্যটার নাম ‘ধর্ষণপ্রদেশ’ হলে যথার্থ হয়। উন্নাও, বলরামপুর, বুলন্দশহর, আজমগড়, হাতরাস।  বিশদ

07th  October, 2020
ঘটনার ঘনঘটা... প্রমাণ কোথায়?
শান্তনু দত্তগুপ্ত

 একটা দিল্লি, একটা উন্নাও, একটা হাতরাসের মতো ঘটনা প্রচারের ডানা মেললেই হাঁ হাঁ করে ওঠে রাজনীতির কারবারিরা। একদল চেষ্টায় থাকে দুনিয়াদারি থেকে সব কিছু আড়াল করার। অন্য পক্ষ নামে প্রতিবাদে। বিক্ষোভে। এটাই যে রীতি! সাধারণ মানুষের প্রতিবাদ হাইজ্যাক করে নেয় রাজনীতির দণ্ডমুণ্ডের কর্তারা। বিশদ

06th  October, 2020
কৃষি আইন: কাঙ্ক্ষিত নয়, স্রেফ হল্লা
পি চিদম্বরম

ভারসাম্য নষ্ট করে সরকার কৃষকদের আরও বিরুদ্ধে চলে গিয়েছে। পাশাপাশি, এপিএমসির বাইরে নিয়ন্ত্রণহীন বেসরকারি বাণিজ্য একবার আইনসিদ্ধ হয়ে গেলে, এপিএমসি থেকে ব্যবসায়ীদের বেরিয়ে যাওয়ার পক্ষে সেটাই হয়ে উঠবে জবরদস্ত মদত।
বিশদ

05th  October, 2020
বিচারের বাণী নীরবে নয়, আজ সশব্দে কাঁদছে
হিমাংশু সিংহ

একটা বিচার করতেই যদি এতটা সময় লাগে এবং শেষে সব অভিযুক্তই ছাড়া পেয়ে যায়, তাহলে নিরপেক্ষ বিচার ব্যবস্থার উপর মানুষের আস্থা অটুট থাকবে তো? নাকি আস্থা হারিয়ে অন্ধকার জগতে হারিয়ে যাবে মানুষ? বিচার ব্যবস্থার প্রতি সম্পূর্ণ শ্রদ্ধা জানিয়েই বলি, সেদিনটা আইনের শাসনের পক্ষে খুব সুখের হবে তো!
বিশদ

04th  October, 2020
একনজরে
সংবাদদাতা, জয়নগর: বন্ধ স্কুলে চুরির জেরে চাঞ্চল্য ছড়াল এলাকায়। ঘটনাটি ঘটে বৃহস্পতিবার রাতে জয়নগরের মরিশ্বর মতিলাল উচ্চ বিদ্যালয়ে। অভিযোগ, গেটের তালা ভেঙে ভেতরে ঢুকে আলমারির লকার ভেঙে গুরত্বপূর্ণ নথি নিয়ে চম্পট দেয় দুষ্কৃতীরা।   ...

নয়াদিল্লি: আফগানিস্তানের অশান্তির পিছনে হাত রয়েছে পাকিস্তানি জঙ্গিদের। এমনই অভিযোগ করলেন আফগানিস্তানের এক উচ্চপদস্থ আধিকারিক। গত সপ্তাহের শেষ থেকে হেলমন্দ প্রদেশে তালিবান জঙ্গিদের সঙ্গে আফগান বাহিনীর সংঘর্ষ চলছে। সেই সংঘর্ষে মদত দিচ্ছে পাক মদতপুষ্ট লস্কর-ই-তোইবা এবং জয়েশ-ই-মহম্মদ জঙ্গিরা। এমনকী, নিরাপত্তা ...

লখনউ: হাতরাস গণধর্ষণ ও খুন কাণ্ডের তদন্তে নেমে অভিযুক্ত লবকুশ শিকারওয়ারের বাড়ি থেকে ‘রক্তমাখা’ পোশাক উদ্ধার করল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই। যদিও পরিবারের দাবি, রক্ত নয় পোশাকটিতে লাল রঙ লেগে ছিল। অভিযুক্তের দাদা একটি ফ্যাক্টারিতে রংমিস্ত্রির কাজ করেন।   ...

শারজা: মরশুমের প্রথম ম্যাচ খেলতে নেমেই রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর বিরুদ্ধে দুরন্ত হাফ সেঞ্চুরি করেছেন ক্রিস গেইল। লোকেশ রাহুলের সঙ্গে জুটি গড়ে পাঞ্জাবকে এনে দিয়েছেন স্বস্তির জয়। ৪৫ বলে ৫৩ রানের মূল্যবান ইনিংস খেলেন তিনি।  ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

শরীর নিয়ে চিন্তায় থাকতে হবে। মাথা ও কোমরে সমস্যা হতে পারে। উপার্জন ভাগ্য শুভ নয়। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

আন্তর্জাতিক দারিদ্র দূরীকরণ দিবস
১৮৯০: সাধক বাউল লালন ফকিরের মৃত্যু
১৯৫৫: অভিনেত্রী স্মিতা পাতিলের জন্ম
১৯৭০: ক্রিকেটার অনিল কুম্বলের জন্ম 



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৭২.৬৪ টাকা ৭৪.৩৫ টাকা
পাউন্ড ৯৩.১২ টাকা ৯৬.৪৩ টাকা
ইউরো ৮৪.৪৪ টাকা ৮৭.৫৮ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৫১,৫৯০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৪৮,৯৫০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৪৯,৬৮০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৬১,৮৬০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৬১,৯৬০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

৩১ আশ্বিন ১৪২৭, শনিবার, ১৭ অক্টোবর ২০২০, প্রতিপদ ৩৮/৪৮ রাত্রি ৯/৯। চিত্রা নক্ষত্র ১৫/৩৪ দিবা ১১/৫২। সূর্যোদয় ৫/৩৭/৩৭, সূর্যাস্ত ৫/৬/৩৭। অমৃতযোগ দিবা ৬/২৪ মধ্যে পুনঃ ৭/১০ গতে ৯/২৭ মধ্যে ১১/৪৫ গতে ২/৪৭ মধ্যে পুনঃ ৩/৩৩ গতে অস্তাবধি। রাত্রি ১২/৩৮ গতে ২/১৮ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ রাত্রি ২/১৮ গতে ৩/৭ মধ্যে। বারবেলা ৭/৪ মধ্যে পুনঃ ১২/৪৯ গতে ২/১৫ মধ্যে পুনঃ ৩/৪২ গতে অস্তাবধি। কালরাত্রি ৬/৪১ মধ্যে পুনঃ ৪/৪ গতে উদয়াবধি। 
৩০ আশ্বিন ১৪২৭, শনিবার, ১৭ অক্টোবর ২০২০, প্রতিপদ রাত্রি ১১/২৪। চিত্রা নক্ষত্র দিবা ২/১৮। সূর্যোদয় ৫/৩৮, সূর্যাস্ত ৫/৮। অমৃতযোগ দিবা ৬/৩১ মধ্যে ও ৭/১৬ গতে ৯/২৯ মধ্যে ও ১১/৪২ গতে ২/৪০ মধ্যে ৩/২৫ গতে ৫/৮ মধ্যে এবং রাত্রি ১২/৩৮ গতে ২/২১ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ রাত্রি ২/২১ গতে ৩/১২ মধ্যে। কালবেলা ৭/৪ মধ্যে ও ১২/৪৯ গতে ২/১৫ মধ্যে ও ৩/৪২ গতে ৫/৮ মধ্যে। কালরাত্রি ৬/৪২ মধ্যে ও ৪/৪ গতে ৫/৩৯ মধ্যে।  
মোসলেম: ২৯ শফর। 

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
আজকের রাশিফল 
মেষ: শরীর নিয়ে চিন্তায় থাকতে হবে। বৃষ: আর্থিক ক্ষেত্রে কিছুটা ...বিশদ

04:29:40 PM

ইতিহাসে আজকের দিনে 
আন্তর্জাতিক দারিদ্র দূরীকরণ দিবস১৮৯০: সাধক বাউল লালন ফকিরের মৃত্যু১৯৫৫: অভিনেত্রী ...বিশদ

04:28:18 PM

আইপিএল: সিএসকের বিরুদ্ধে ৫ উইকেটে জয়ী দিল্লি ক্যাপিটালস 

11:21:10 PM

আইপিএল: দিল্লি ক্যাপিটালস ১২৯/৩ (১৫ ওভার) 

10:49:02 PM

আইপিএল: দিল্লি ক্যাপিটালস ৭৬/২ (১০ ওভার) 

10:22:23 PM

আইপিএল: দিল্লি ক্যাপিটালস ২৯/২ (৫ ওভার) 

09:57:03 PM