শরীর নিয়ে চিন্তায় থাকতে হবে। মাথা ও কোমরে সমস্যা হতে পারে। উপার্জন ভাগ্য শুভ নয়। ... বিশদ
মধ্যযুগীয় এই অমানবিক ঘটনাটি ঘটেছে আলিপুরদুয়ার রেল জংশনের নর্থ পয়েন্ট এলাকায়। ঘটনার বর্বরতায় হতভম্ব পুলিসও। স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে মামলা করে দোকান মালিক অর্জুন তেলিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিস। বুধবার অসহ্য যন্ত্রণায় কাতর জগদীশ দাস নামে ওই প্রৌঢ় ভবঘুরেকে আলিপুরদুয়ার জেলা হাসপাতালে ভর্তি করে পুলিসই।
এলাকার গলিতে পরিত্যক্ত কাগজ ও প্ল্যাস্টিকের বোতল কুড়োনোর সময় ওই ভবঘুরের গায়ে গরম জল ঢেলে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ উঠেছে। জল গায়ে পড়ার জন্য ওই ব্যক্তি তীব্র যন্ত্রণায় কাতরাতে কাতরাতে ছুটতে থাকে। মুহূর্তের মধ্যে ওই দৃশ্য সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে যায়। প্রৌঢ়কে ওইভাবে যন্ত্রণায় দৌড়াতে দেখে এলাকার উত্তেজিত জনতা ছুটে যান মুদি দোকানে। কিন্তু ওই ব্যবসায়ী গরম জল দেওয়ার কথা অস্বীকার করে। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ওই ঘটনা ঘটলেও এ ব্যাপারে কেউ লিখিত অভিযোগ না করায় ওই দিন পুলিস ওই ব্যবসায়ীকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি। কিন্তু সোশ্যাল মিডিয়ায় যন্ত্রণায় প্রৌঢ়ের দৌড়ে যাওয়ার দৃশ্য দেখে শহরজুড়ে নাগরিকদের মধ্যে তীব্র নিন্দার ঝড় ওঠে। নাগরিক সমাজ মধ্যযুগীয় এই বর্বর ঘটনার জন্য দোষী ব্যক্তির বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানায়। এরপরেই পুলিস বুধবার সকালে মামলা রুজু করে মুদিখানা দোকানের মালিক অর্জুন তেলিকে গ্রেপ্তার করে। আলিপুরদুয়ার থানার আইসি অনিন্দ্য ভট্টাচার্য বলেন, এমন পাশবিক ঘটনা মেনে নেওয়া যায় না। গুরুতর জখম প্রৌঢ়কে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা করে দোষী ব্যবসায়ীকে গ্রেপ্তার করা হয়।
স্থানীয় বাসিন্দা নান্টু মুখোপাধ্যায় বলেন, প্রৌঢ়ের প্রতি এমন অমানবিক আচরণ মেনে নেওয়া যায় না। তাই চুপচাপ থাকতে পারিনি। আমরা পুলিসের কাছে দোষী ব্যক্তির কঠোর শাস্তির দাবি জানিয়েছি। এই জঘন্য ঘটনা কোনওভাবেই মানা যায় না। স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশ জানিয়েছেন, তাঁরা ওই মুদিখানা দোকান থেকে আগামী দিনে কোনও পণ্যসামগ্রী কিনবেন না।