উপকরণ: ময়দা ১৫০গ্ৰাম,১চামচ কালো জিরে, সামান্য জোয়ান, নুন আন্দাজ মতো, চিনি ১চামচ, ঘি ময়ানের জন্য ৩ চামচ, সাদা তেল ভাজার জন্য।প্রণালী: ময়দার মধ্যে নুন ও চিনি, কালো জিরে ও জোয়ান দিয়ে ভালো করে মিশিয়ে নিতে হবে। তারপর ঘি ময়ান দিয়ে ময়দার সঙ্গে ভালো করে মিশিয়ে নিয়ে জল দিয়ে ময়দা মেখে নিতে। ময়দাটা খুব ভালো করে ঠেসে নিয়ে ১৫ মিনিট চাপা দিয়ে রেখে দিতে হবে।
বাঙালি আড্ডাপ্রিয় ও খাদ্যরসিক। বাঙালিয়ানার ভরপুর সেই স্বাদ রয়েছে ‘ক্যাফে ফিউশন’-এ। অঙ্কিতা বন্দ্যোপাধ্যায়, আকৃতি বন্দ্যোপাধ্যায় ও স্নেহাবৃষ্টি নন্দীর প্রয়াসে শুরু হয়েছে নতুন রেস্তরাঁ ক্যাফে ফিউশন। তিন নারীর চেষ্টায় গড়ে তোলা এই ছোট্ট আড্ডাখানা, ফেব্রুয়ারি ২০২০-তে শুরু হয়।
ডাল অমৃতসরি
দক্ষিণ ভারতীয় কিছু নোনতা ও মিষ্টি রান্নার রেসিপি দিলেন মণিকাঞ্চন দে।
দুর্গা সপ্তমীর দিন বাড়িতে বুঝি লোক নেমন্তন্ন করেছেন? এখন ভাবছেন কেমন রান্না করবেন? চিন্তার কিছু নেই। চোখ রাখুন অন্দরমহল পাতায়। পুজোর মহাভোজের আমিষ ও নিরামিষ রেসিপি দিলেন দেবারতি রায়।
ভাত হোক অথবা রুটি-পরোটার সহযোগ, খাবার পাতে আচারের জুরি মেলা ভার। ঘরোয়া পদ্ধতিতে তৈরি কিছু চেনা, কিছু বা অচেনা স্বাদের আচারের রেসিপি দিলেন শ্রাবণী রায়।
একই চিকেন তবু স্বাদে বিভিন্ন। রাজ্য অনুযায়ী মুরগির মাংস রান্নার পদ্ধতি বদলে যায়। মশলা ব্যবহৃত হয় নানা রকম। ভারতের চার রাজ্যের আলাদা পদ্ধতিতে তৈরি চিকেনের রেসিপি দিলেন সোমা চৌধুরী।
পুজোয় বাড়িতে থাকলেও খাওয়াদাওয়ার ষোলো আনা বজায় থাকা চাই। তাই তো আপনাকে সাহায্য করতে এগিয়ে এসেছে বাঞ্ছারাম সুইটস, তাদের মিষ্টি মিক্স নিয়ে। যা দিয়ে বাড়িতেই বানানো যাবে নানা মিষ্টি।
পোস্ত দিয়ে আমিষ বা নিরামিষ দু’রকম রান্নাই করা যায়। আর যে পদেই পোস্ত পড়ুক না কেন, তাই হয়ে ওঠে সুস্বাদু। পোস্ত সহযোগে ভিন্ন ধরনের রান্নার রেসিপি দিলেন পম্পা গুপ্ত।
শরীর নিয়ে চিন্তায় থাকতে হবে। মাথা ও কোমরে সমস্যা হতে পারে। উপার্জন ভাগ্য শুভ নয়। ... বিশদ
আওয়াধ ১৫৯০-তে পুজোর মেনুতে পাবেন নানারকম কাবাব। সেই কাবাব যদি বাড়িতে বানাতে চান তাহলে তাও এখন সম্ভব। রেসিপি দিলেন রেস্তরাঁর এগজিকিউটিভ শেফ।
আওয়াধ ১৫৯০ বিখ্যাত মোগলাই খানার জন্য। সেই মতোই এবছর পুজোয় নানা স্বাদের কাবাব, চাঁপ ও বিরিয়ানি পাবেন। বাদাম শরবত দিয়ে মহাভোজের শুরু। স্টার্টারে পাবেন মুর্গ জাফরানি কাবাব, কোলমি কাবাব, গলৌটি কাবাব, দহি কা কাবাব, ফিশ টিক্কা ইত্যাদি আমিষ ও নিরামিষ পদ। মেন কোর্সে আওয়াধি বিরিয়ানি, রান বিরিয়ানি, মুর্গ বিরিয়ানি বা ঝিঙ্গা বিরিয়ানির সঙ্গে পাবেন নিহারি খাস, কিমা কালেজি, মুর্গ ইরানি গোস্ত রোগান জোশ, আওয়াধি ডাল, পনির কোর্মা, সব্জি মাখন মশলা-সহ নানারকম জিভে জল আনা পদ। আর শেষ পাতে রয়েছে ফিরনি ও শাহি টুকরা। এই মেনুতে পুজোর ভোজ সারতে চাইলে দু’জনের খরচ মোটামুটি ১২০০ টাকা। ১৯ থেকে ২৬ অক্টোবর পর্যন্ত পাবেন পুজো স্পেশাল মেনু। আওয়াধি জমকালো মেনু চাইলে বাড়িতেও বানাতে পারেন। তেমনই মনের মতো দু’টি রেসিপি দিলেন আওয়াধ রেস্তরাঁর শেফ।
মাহি সুগন্ধী
উপকরণ: ভেটকি মাছের ফিলে ২০০ গ্রাম, আদা-রসুন বাটা ১৫ গ্রাম, কাজুবাদাম বাটা ২৫ গ্রাম, জল ঝরানো টক দই ২৫ গ্রাম, চিজ ১০ গ্রাম, ক্রিম ১০ গ্রাম, দারচিনির গুঁড়ো ১০ গ্রাম, সাদা মরিচের গুঁড়ো
৫ গ্রাম, চিনি ৫ গ্রাম, নুন স্বাদ মতো, তেল পরিমাণ মতো, গন্ধরাজ লেবু ২-৩ টুকরো, লেবুর পাতা কুচিয়ে কেটে নেওয়া ২টো।
প্রণালী: মাছ ধুয়ে শুকনো করে মুছে নিন। এবার লেবুর টুকরো বাদে সব উপকরণ একসঙ্গে মিশিয়ে একটা পেস্ট তৈরি করুন। এই মিশ্রণ আধ ঘণ্টা রেখে দিন। তারপর এই মিশ্রণে মাছ ম্যারিনেট করে নিন। ম্যারিনেট করা অবস্থায় মাছ আরও আধ ঘণ্টা রেখে দিন। তারপর প্রতিটি মাছ আলাদা আলাদা করে শিকে গেঁথে নিন এবং ১৫ থেকে ২০ মিনিট তন্দুর আভেনে গ্রিল করুন। তন্দুর আভেন থেকে বের করে ওপর থেকে লেবুর রস ছড়িয়ে পরিবেশন করুন মাহি সুগন্ধী কাবাব।
মাহি চাঁপ
উপকরণ: ভেটকি মাছের ফিলে ২০০ গ্রাম (৪ পিস), আদা-রসুন বাটা ১ চা চামচ, বেরেস্তা করা পেঁয়াজ বাটা ১ চা চামচ, জল ঝরানো টক দই ৪০ গ্রাম, কাজুবাদাম বাটা ২০ গ্রাম, চারমগজ বাটা ১০ গ্রাম, সাদা তেল ২ টেবিল চামচ, ঘি ২ চা চামচ, নুন স্বাদ মতো, সাদা মরিচ গুঁড়ো ২ চিমটে, জয়িত্রী-এলাচ একসঙ্গে গুঁড়ো করা চা চামচ, কেওড়া জল চা চামচ, গোলাপ জল চা চামচ, মিঠা আতর ১ ফোঁটা, গোলাপের পাঁপড়ি সাজানোর জন্য।
প্রণালী: মাছের ফিলে ধুয়ে জল ঝরিয়ে শুকনো করে নিন। এরপর দই, কাজুবাদাম বাটা, আদা-রসুন বাটা, পেঁয়াজ বাটা, চারমগজ বাটা, সাদা মরিচ গুঁড়ো এবং জয়িত্রী ও এলাচ গুঁড়ো একসঙ্গে মিশিয়ে নিন। তাতে নুন মেশান। এই পেস্ট খানিকক্ষণ রেখে দিন। একটা পাত্রে তেল ও ঘি একসঙ্গে গরম করুন। এবার তাতে এই পেস্ট দিয়ে হালকা হাতে নাড়াচাড়া করুন। তার মধ্যে মাছের ফিলেগুলো দিন। ঢিমে আঁচে ঢাকা দিয়ে রান্না করুন। মাছ মোটামুটি সেদ্ধ হলে মাছে কেওড়ার জল, গোলাপ জল, মিঠা আতর একে একে মেশান। তেল ছেড়ে আসা পর্যন্ত মাছ আঁচে রেখে দিন। মাছ সুসিদ্ধ হলে বুঝবেন চাঁপ তৈরি। ওপর থেকে গোলাপের পাপড়ি ছড়িয়ে পরিবেশন করুন মাহি চাঁপ।
