Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

ষড়যন্ত্রের তত্ত্বে সব ব্যর্থতা ঢাকা যায় না 
সন্দীপন বিশ্বাস

ব্যর্থতার এক একটি মাইলস্টোন স্থাপন করতে করতে ক্রমেই অতল খাদের দিকে এগিয়ে চলেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি অ্যান্ড কোম্পানি। অনেকেই অবশ্য মানবেন না যে খাদটা অতল। কেননা ভোটের এখনও অনেকদিন বাকি। কিন্তু তাঁর জনপ্রিয়তার প্রতিদিনই পতন হচ্ছে। সেটা তিনি নিজেও বোঝেন। তাই ইদানীং ছাতি বাজানো, তালি বাজানো বন্ধ করে দিয়েছেন। চেষ্টা করছেন, নানা রকম ভুজুং ভাজুং দিয়ে হারানো গৌরব উদ্ধার করতে। কিন্তু তা আর সহজ নয়। নিত্যনতুন তাঁর সিদ্ধান্তে দেশের মানুষের নাভিশ্বাস উঠছে। কথায় আছে, যার শিল, যার নোড়া, তারই ভাঙি দাঁতের গোড়া। এই মন্ত্রেই কাজ করছেন মোদিজি। দেশের মানুষের ভোটে তিনি ক্ষমতায় এসেছেন, দেশের মানুষের করের টাকায় তাঁর সরকারের যাবতীয় ফান্টুসগিরি। অথচ তাঁর যাবতীয় সিদ্ধান্তে সবথেকে ক্ষতিগ্রস্ত দেশের মানুষই। একেবারে সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষের দলই তাঁর অপশাসনের শিকার। অর্থনীতি, শিল্পনীতির বুদ্ধিভ্রমে সবকিছু গোল্লায় যেতে বসেছে। ব্যাঙ্কের সুদের হার ক্রমশ কমতে থাকায় অবসরপ্রাপ্ত বৃদ্ধবৃদ্ধাদের বেঁচে থাকার পুঁজিতে টান পড়েছে। এখন আবার রেলের সবরকম কনসেশনও তুলে দেওয়া হল। সেই সঙ্গে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে সাংসদ, বিধায়করা কিন্তু যথারীতি রেলের টিকিটে ছাড় পাবেন। এই সিদ্ধান্তের মধ্যে নির্লজ্জতার প্রকাশ দেখে সাধারণ মানুষও লজ্জা পাচ্ছে। ভাবুন, সাংসদ বা বিধায়ক হওয়া এমন একটা ‘পেশা’, যেখানে তাঁরাই নিজেদের বেতন ঠিক করতে পারেন, নিজেরা কতটা সুযোগ সুবিধা ভোগ করবেন, সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে পারেন। সেখানে দলগত আদর্শের কোনও বিরোধ নেই। যে দেশে একজন মানুষ কোনও কোনও ক্ষেত্রে সারাজীবন খেটে মরেও কর্মজীবনের শেষে পেনশন পান না, সেখানে একজন সাংসদ বা বিধায়ক পাঁচ বছরের জন্য নির্বাচিত হয়ে সারাজীবন জনগণের পয়সায় পেনশনের সুবিধা ভোগ করেন। আজ দেশের সঙ্কটের মুহূর্তে সব কিছুতে যখন কাটছাঁট হচ্ছে, তখন সাংসদদের ভোগবিলাসিতার উপর কোপ পড়বে না কেন? কেন হাজার হাজার কোটি টাকা খরচ করে নেতামন্ত্রীদের বিদেশ সফর বন্ধ হবে না। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি যেন গ্লোব ট্রটার। সারা বিশ্ব ঘুরেছেন। করোনা সেই ভ্রমণে বড় বাধা সৃষ্টি করেছে। তা এত ঘুরে কী হল? পাকিস্তান ছাড়া প্রতিবেশী দেশগুলি বন্ধুই ছিল। চীন শান্ত ছিল। এখন চীন, নেপাল সবাই সুযোগ বুঝে খোঁচা মারছে।
আজ মোদি সরকারের ব্যর্থতায় দেশের মানুষ ক্লান্ত। কিন্তু দেশের মানুষের হাতে গণতন্ত্রের হাতকড়া। গণতন্ত্রই মোদিজিকে দিয়েছে পাঁচ বছরের জন্য দেশ শাসনের অধিকার। মনে পড়ে যাচ্ছে ২০১৪ সালে তৈরি সলমন খানের মশলা সিনেমা ‘জয় হো’র একটি সংলাপ। সেখানে মন্ত্রীর ভূমিকায় অভিনেতা ড্যানির মুখে সংলাপটা বসানো হয়েছিল। তিনি বলছেন, ‘আমি যখন প্রতিরক্ষামন্ত্রী ছিলাম, তখন আমার কুর্সি হঠাৎ নড়বড়ে হয়ে গেল। সেই সময় আমি গদি বাঁচাতে একটা সাজানো আতঙ্কবাদী হামলা করিয়ে দিলাম। সেই অ্যাটাকে আমাদের কিছু সেনা শহিদ হয়ে গেল। সেটাকে ইস্যু করে সারাদেশে দেশভক্তির ঝড় তুলে দিলাম। ব্যস আমার গদিও বেঁচে গেল।’ এইটুকই সংলাপ। সেটা কতটা তাৎপর্যপূর্ণ,বোঝা গেল ঠিক ৫ বছর পরে। ২০১৯ সালে পুলওয়ামার ঘটনা মনে করলে সেই একই ছকের কথা মনে পড়ে যায় না কি? ভোটের আগে সেই সন্ত্রাসবাদী আতঙ্ক, বীর সেনাকর্মীদের শহিদ হয়ে যাওয়া, দেশজুড়ে দেশভক্তির সুনামি এবং সেই আবেগের দোলায় চড়ে নরেন্দ্র মোদির বিপুল ভোটে ফিরে আসা। এরপর উত্তরপ্রদেশের ঘটনা দেখুন, সেখানে হাতরাসের নৃশংসতম ঘটনাকে কেন্দ্র করে যোগী সরকারের ভূমিকা নিয়ে সারা দেশে যেই একটা সমালোচনার ঝড় উঠল, তাঁর পদত্যাগের দাবিতে সারাদেশ যেই উত্তাল হয়ে উঠল, অমনি যোগী সরকার একটা বিদেশি ফান্ডিং আবিষ্কার করে হাওয়া ঘোরাতে চাইল। বিদেশ থেকে নাকি একশো কোটি টাকা ঢালা হয়েছে উত্তরপ্রদেশে দাঙ্গা করার জন্য। কী বড় চক্রান্ত রে বাবা! মৃত দলিত মেয়েটাকে জন্তুর মতো পুড়িয়ে উত্তেজনায় ইন্ধন দিয়েছে তো যোগী প্রশাসনই।
সেই অন্যায় নিয়ে মুখ বন্ধ কেন? প্রশাসন কোনও অন্যায় করেনি। হাতরাসের ঘটনার পর সেখানে উচ্চবর্ণের যে উল্লাস ও হুমকি দেখা গিয়েছে, তাতে তারাও কোনও অন্যায় করেনি। আর সাংবাদিকরা সত্য উন্মোচনের জন্য ঝাঁপিয়ে পড়লেই সরকার সাজিশের গন্ধ পেয়ে যায়। হতভাগ্য মেয়েটির মা তাঁর মৃত মেয়েকে সৎকার করার অধিকার দাবি করলে বিদেশি ফান্ডিং সংক্রান্ত ষড়যন্ত্রের গালগপ্পো এসে হাজির হয়। বিদেশি ফান্ডিংয়ের সাজানো গল্প এনে শাক দিয়ে মাছ ঢাকার এও তো এক রদ্দি ছক। প্রশাসন হাতে থাকলে সব কাল্পনিক গল্পকেই বাস্তবের চিত্রনাট্যে সাজিয়ে নেওয়া যায়।
এভাবেই সুশান্ত সিংয়ের আত্মহত্যা, শাহিনবাগ, সিএএ, এমনকী করোনা ছড়িয়ে পড়ার মধ্যেও কেন্দ্রীয় সরকার চক্রান্তের গন্ধ পায়। সুশান্ত সিংয়ের আত্মহত্যা নিয়ে সরকারই রাজনীতি করল। খুন বলে চালানোর চেষ্টা করল, রিয়া চক্রবর্তী গ্রেপ্তার হলেন, কঙ্গনা রানাওয়াত সেই চক্রান্তের গন্ধে একটু ঘৃতাহুতি দিয়ে ওয়াই প্লাস ক্যাটিগরির নিরাপত্তা নিয়ে চলে গেলেন। শেষ পর্যন্ত নিশানা ঘুরে তদন্তের অভিমুখ হল বলিউডে মাদক যোগ। তার মানে পর্বতের মূষিক প্রসব হল। মনোমতো কিছু না হলেই সরকারের আচরণের মধ্যে প্রকাশ্যে একটা উষ্মা দেখা যাচ্ছে। সহনশীলতার অভাব দেখা যাচ্ছে। ঠিক এই কথাটাই দিন কয়েক আগে সুপ্রিম কোর্ট কেন্দ্রকে বলেছে। তবলিগি মামলায় সুপ্রিম কোর্ট অসন্তোষ প্রকাশ করে বলেছে, সাম্প্রতিক সময়ে মানুষের বাক স্বাধীনতা সবথেকে নিষ্পেষিত।
মানুষের বাক স্বাধীনতাও দেশের জিডিপির মতো তলানিতে ঠেকেছে। মানুষ প্রতিবাদী হলে বা মুখ খুললে তাকে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় ফাঁসিয়ে দেওয়া হচ্ছে। এ ব্যাপারে সরকারের সবথেকে বড় অস্ত্র হল রাষ্ট্রদ্রোহ এবং ইউএপিএ মামলা। ন্যাশনাল ক্রাইম রেকর্ডস ব্যুরোর তথ্য থেকে জানা যাচ্ছে, গত বছরে রাষ্ট্রদ্রোহ সংক্রান্ত মামলার সংখ্যা বেড়ে গিয়েছে ১৬৫ শতাংশ এবং ইউএপিএ সংক্রান্ত মামলা বেড়েছে ৩৩ শতাংশ। কাউকে এই মামলায় সরকার বিনা বিচারে ১৮০ দিন পর্যন্ত আটকে রাখতে পারে। অর্থাৎ এখন এমন একটা সময়, যখন সরকারের ধামাধরা হলে দেশপ্রেমী এবং সমালোচনা করলে রাষ্ট্রদ্রোহী। তার গায়ে সেঁটে দেওয়া হয় চক্রান্তের তকমা।
দেশপ্রেম নিয়ে সুন্দর একটা কথা বলেছেন ইংল্যান্ডের লেখক জুলিয়ান বার্নস। তিনি স্পেনের সাহিত্যিক গুস্তাভ ফ্লবেয়ারের জীবনী নিয়ে একটি উপন্যাস লেখেন। তার নাম ‘ফ্লবেয়ার’স প্যারট’। সেই উপন্যাসে বার্নস অসাধারণ একটি মন্তব্য করেছেন। তিনি বলেছেন, ‘দেশ যখন ক্রমেই অন্যায়ের দিকে, ভয়ঙ্কর পরিণতির দিকে কিংবা অসম্মানজনক পরিস্থিতির দিকে গড়িয়ে চলে, তখন মাথা তুলে দাঁড়িয়ে প্রতিবাদ করাটাই সাচ্চা দেশপ্রেম।’ কিন্তু আজ মোদি সরকারের কাছে দেশপ্রেমের অর্থ অন্যতর।
দেশ যখন আজ ঠিক এইরকম পরিস্থিতির সামনে দাঁড়িয়ে, তখন মনে পড়ে ৯২ বছরের মানুষটির কথা। তিনি হলেন লালকৃষ্ণ আদবানি। একদিন রামরাজ্য প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে তাঁর যে রথযাত্রা, তারই ডিভিডেন্ড পাচ্ছে বিজেপি। কিন্তু আজ ঘরে বসে সেই নবতিপর মানুষটির কি একবারও মনে হচ্ছে না, যে রামরাজ্য তিনি চেয়েছিলেন, তার স্বরূপ এমনটা ছিল না? হিংসায়, বিভেদকামী মানসিকতায়, নিত্য ব্যর্থতায়, ধর্মবিদ্বেষে এবং দরিদ্র-বিরোধী পদক্ষেপে সরকারের যে দীনতা প্রকাশ পাচ্ছে, তা নিশ্চয়ই আদবানিজির কাঙ্ক্ষিত ছিল না। বাজপেয়ি-আদবানির আদর্শ থেকে আজ দল অনেক দূরে সরে গিয়েছে। মোদি সরকারের একের পর এক ভুল সিদ্ধান্তে মানুষের ক্ষোভ বাড়ছে। এখন সত্যের খাতিরে কি আদবানি মুখ খুলবেন না? সত্যের থেকেও কি তবে দলের প্রতি তাঁর আনুগত্য অনেক বেশি? মনে রাখা দরকার, জীবনের শেষ প্রান্তে এসে ভীষ্ম যুধিষ্ঠিরকে সুশাসনের অনেক পরামর্শ দিয়েছিলেন। আজ সেই ভূমিকাতেই আদবাদিজিকে দেখতে চান দেশের মানুষ। ইন্দিরার অপশাসনের বিরুদ্ধে একদিন এই ভূমিকাই পালন করেছিলেন জয়প্রকাশ নারায়ণ। জীবনে আদবানিজি অনেকগুলি যাত্রা করেছেন। রথযাত্রা, জনাদেশ যাত্রা, স্বর্ণজয়ন্তী রথযাত্রা, ভারত উদয় যাত্রা, ভারত সুরক্ষা যাত্রা ইত্যাদি। আজ তাঁর আরও একটি যাত্রা করা উচিত, সেটা হল জনস্বার্থ সুরক্ষা যাত্রা। আজ আমাদের কোনওকিছুই যে সুরক্ষিত নয়। 
14th  October, 2020
করোনা রোখার মন্ত্র ‘চাচা আপন প্রাণ বাঁচা’ 
তন্ময় মল্লিক

করোনা মোকাবিলায় সোশ্যাল ডিস্ট্যান্সিং মেনে চলার ও মাস্ককে জীবনসঙ্গী করার পরামর্শ হচ্ছে উপেক্ষিত। সুস্থতার হার ৮৭ শতাংশ। সকলের নজর সেই দিকেই। তাতে সাহসী হচ্ছে মানুষ। বাড়ছে বেপরোয়া ভাব। এগিয়ে আসছে বাংলার ভোট। প্রকট হচ্ছে রাজনৈতিক দলগুলির ক্ষমতা দখলের বাসনা। করোনার মধ্যেও ইস্যু পেলেই আন্দোলন। না থাকলে তৈরির চেষ্টা। অভিমুখ রাজ্যপাট। তাই কথায় কথায় মিছিল আর লড়াই।  
বিশদ

অতিরিক্ত দিল্লি নির্ভরতাই বঙ্গ-বিজেপির সঙ্কট
সমৃদ্ধ দত্ত

মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে তাঁর মতো ঝোড়ো আর্থ সামাজিক রাজনৈতিক পরিস্থিতির মোকাবিলা করেননি আর কেউই। সবেমাত্র দেশ স্বাধীন হয়েছে। লক্ষ লক্ষ উদ্বাস্তু-স্রোত। এই সঙ্কটের মধ্যেই তাঁকে কাজ করতে হয়েছে। তাঁকে অভীধা দেওয়া হয় বাংলার রূপকার। কিন্তু ডা. বিধানচন্দ্র রায়ের বিরুদ্ধে বিরোধীদের প্রধান অভিযোগ ছিল, তিনি কৃষিকে অবহেলা করেছেন। তাঁর ১৪ বছরের শাসনকালে তিনি যতটা উন্নতিসাধন করেছিলেন শিল্পে, সেই তুলনায় কৃষির উন্নয়ন কম হয়েছে।  
বিশদ

16th  October, 2020
ডিজিটাল রঙ্গমঞ্চের কাঠের পুতুল
শান্তনু দত্তগুপ্ত 

ল্যাপটপটা পড়ে আছে টেবিলের উপর। শাটডাউন। খোলা শুধু টপ কভারটা। আপনি অফিস থেকে ফিরে ঘরে ঢুকলেন। জামাকাপড় চেঞ্জ করছেন। এরপর বাথরুম। ফ্রেশ হয়ে বেরিয়ে বসলেন বিছানায়...। বন্ধ ঘরে কেউ নেই। কেউ দেখছে না আপনার ব্যক্তিগত মুহূর্তগুলো। 
বিশদ

13th  October, 2020
শাস্তি থেকে অব্যাহতির পীঠস্থান উত্তরপ্রদেশ 
পি চিদম্বরম

গত ২০ সেপ্টেম্বর নয়াদিল্লির সফদরজং হাসপাতালে এক তরুণী মারা গেলেন। ২২ সেপ্টেম্বর ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে এক বয়ানে তিনি জানান, ১৪ সেপ্টেম্বর ওই তরুণী নিগৃহীতা এবং ধর্ষিতা হয়েছেন। এই ঘটনায় তরুণী যে চারজনের নামে অভিযোগ এনেছেন তারা তাঁরই গ্রামের ছেলে—উত্তরপ্রদেশে হাতরাস জেলার বুলাগড়ি গ্রামের বাসিন্দা।  
বিশদ

12th  October, 2020
বাংলার বদনাম করার চক্রান্ত রুখে দিন
হিমাংশু সিংহ

ক্ষমতায় না আসতেই গেরুয়া শক্তির গুন্ডামির ন্যক্কারজনক প্রদর্শনী দেখল বাংলার রাজপথ। ক্ষমতায় এলে এরা রাজ্যটাকে কোন নরকে টেনে নামাবে তার একটা সুস্পষ্ট ইঙ্গিতও মিলল। সেই সঙ্গে আতঙ্কের ঠান্ডা স্রোত খেলে গেল রাজ্যবাসীর শিরদাঁড়ায়। বৃহস্পতিবারের নবান্ন অভিযানের ছবিগুলো দেখতে দেখতে একসময় মনে হচ্ছিল, এ কোনও গণতান্ত্রিক আন্দোলন, না স্রেফ দাঙ্গা-হাঙ্গামার মহড়া! 
বিশদ

11th  October, 2020
কাঁটা দিয়ে কাঁটা তোলাই ভোটের কৌশল
তন্ময় মল্লিক

বাতাসে হিমের ছোঁয়া লাগলেই বোঝা যায়, পুজো আসছে। মাটিতে ঝরে পড়া শিউলি বুঝিয়ে দেয়, পুজোর আর দেরি নেই। উচ্ছ্বসিত কিশোরীর মতো কাশফুলের দোল খাওয়া দেখলেই মনে হয়, ঢাকে কাঠি এই পড়ল বলে। নীল আকাশের কোলে সাদা মেঘের ছোটাছুটি বুঝিয়ে দেয়, শারদোৎসব আগতপ্রায়। 
বিশদ

10th  October, 2020
আমেরিকায় কর ফাঁকি দিয়েও ভোটে জেতা যায়?
মৃণালকান্তি দাস

কর এড়িয়ে যাওয়ার অভিযোগ আমেরিকার মতো দেশে অনেক বড় অপরাধ। কিন্তু মুশকিল হচ্ছে, ডোনাল্ড ট্রাম্পের সমর্থকরা ‘গোঁড়া সমর্থক’ হিসেবেই পরিচিত। যা কিছুই হোক, তাঁরা ট্রাম্পের সঙ্গেই রয়েছেন। বিশদ

09th  October, 2020
সুন্দর অভ্যাসগুলিকেও কি বিদায় দেব
হারাধন চৌধুরী

সাল ২০১৮। সাল ২০১৯। পর পর দু’বছর। কলকাতা সারা দেশের মধ্যে সবচেয়ে নিরাপদ শহরের শিরোপা দখল করেছিল। ন্যাশনাল ক্রাইম রেকর্ডস ব্যুরোর (এনসিআরবি) সর্বশেষ রিপোর্ট প্রকাশ হয় ২০২০-র জানুয়ারিতে। তাতেই কলকাতা এইভাবে চিহ্নিত হয়।   বিশদ

08th  October, 2020
যোগী মহারাজ আদিত্যনাথকে খোলা চিঠি 
সন্দীপন বিশ্বাস

মাননীয় যোগী মহারাজ, নামবদল করতে আপনি খুব ভালোবাসেন। মুসলিম নামের ছোঁয়া আছে, এমন সব নাম আপনি ‘ইতিহাসবিজ্ঞের’ মতো দুমদাম বদলে দিচ্ছেন। স্টেশনের নাম, শহরের নাম, স্থাপত্যের নাম। এখন দেশের মানুষই আপনার রাজ্যটার নাম বদলে দিতে চাইছে। মানুষ বলছে, উত্তরপ্রদেশ রাজ্যটার নাম ‘ধর্ষণপ্রদেশ’ হলে যথার্থ হয়। উন্নাও, বলরামপুর, বুলন্দশহর, আজমগড়, হাতরাস।  বিশদ

07th  October, 2020
ঘটনার ঘনঘটা... প্রমাণ কোথায়?
শান্তনু দত্তগুপ্ত

 একটা দিল্লি, একটা উন্নাও, একটা হাতরাসের মতো ঘটনা প্রচারের ডানা মেললেই হাঁ হাঁ করে ওঠে রাজনীতির কারবারিরা। একদল চেষ্টায় থাকে দুনিয়াদারি থেকে সব কিছু আড়াল করার। অন্য পক্ষ নামে প্রতিবাদে। বিক্ষোভে। এটাই যে রীতি! সাধারণ মানুষের প্রতিবাদ হাইজ্যাক করে নেয় রাজনীতির দণ্ডমুণ্ডের কর্তারা। বিশদ

06th  October, 2020
কৃষি আইন: কাঙ্ক্ষিত নয়, স্রেফ হল্লা
পি চিদম্বরম

ভারসাম্য নষ্ট করে সরকার কৃষকদের আরও বিরুদ্ধে চলে গিয়েছে। পাশাপাশি, এপিএমসির বাইরে নিয়ন্ত্রণহীন বেসরকারি বাণিজ্য একবার আইনসিদ্ধ হয়ে গেলে, এপিএমসি থেকে ব্যবসায়ীদের বেরিয়ে যাওয়ার পক্ষে সেটাই হয়ে উঠবে জবরদস্ত মদত।
বিশদ

05th  October, 2020
বিচারের বাণী নীরবে নয়, আজ সশব্দে কাঁদছে
হিমাংশু সিংহ

একটা বিচার করতেই যদি এতটা সময় লাগে এবং শেষে সব অভিযুক্তই ছাড়া পেয়ে যায়, তাহলে নিরপেক্ষ বিচার ব্যবস্থার উপর মানুষের আস্থা অটুট থাকবে তো? নাকি আস্থা হারিয়ে অন্ধকার জগতে হারিয়ে যাবে মানুষ? বিচার ব্যবস্থার প্রতি সম্পূর্ণ শ্রদ্ধা জানিয়েই বলি, সেদিনটা আইনের শাসনের পক্ষে খুব সুখের হবে তো!
বিশদ

04th  October, 2020
একনজরে
লখনউ: হাতরাস গণধর্ষণ ও খুন কাণ্ডের তদন্তে নেমে অভিযুক্ত লবকুশ শিকারওয়ারের বাড়ি থেকে ‘রক্তমাখা’ পোশাক উদ্ধার করল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই। যদিও পরিবারের দাবি, রক্ত নয় পোশাকটিতে লাল রঙ লেগে ছিল। অভিযুক্তের দাদা একটি ফ্যাক্টারিতে রংমিস্ত্রির কাজ করেন।   ...

নয়াদিল্লি: আফগানিস্তানের অশান্তির পিছনে হাত রয়েছে পাকিস্তানি জঙ্গিদের। এমনই অভিযোগ করলেন আফগানিস্তানের এক উচ্চপদস্থ আধিকারিক। গত সপ্তাহের শেষ থেকে হেলমন্দ প্রদেশে তালিবান জঙ্গিদের সঙ্গে আফগান বাহিনীর সংঘর্ষ চলছে। সেই সংঘর্ষে মদত দিচ্ছে পাক মদতপুষ্ট লস্কর-ই-তোইবা এবং জয়েশ-ই-মহম্মদ জঙ্গিরা। এমনকী, নিরাপত্তা ...

শারজা: মরশুমের প্রথম ম্যাচ খেলতে নেমেই রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর বিরুদ্ধে দুরন্ত হাফ সেঞ্চুরি করেছেন ক্রিস গেইল। লোকেশ রাহুলের সঙ্গে জুটি গড়ে পাঞ্জাবকে এনে দিয়েছেন স্বস্তির জয়। ৪৫ বলে ৫৩ রানের মূল্যবান ইনিংস খেলেন তিনি।  ...

সংবাদদাতা, জয়নগর: বন্ধ স্কুলে চুরির জেরে চাঞ্চল্য ছড়াল এলাকায়। ঘটনাটি ঘটে বৃহস্পতিবার রাতে জয়নগরের মরিশ্বর মতিলাল উচ্চ বিদ্যালয়ে। অভিযোগ, গেটের তালা ভেঙে ভেতরে ঢুকে আলমারির লকার ভেঙে গুরত্বপূর্ণ নথি নিয়ে চম্পট দেয় দুষ্কৃতীরা।   ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

শরীর নিয়ে চিন্তায় থাকতে হবে। মাথা ও কোমরে সমস্যা হতে পারে। উপার্জন ভাগ্য শুভ নয়। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

আন্তর্জাতিক দারিদ্র দূরীকরণ দিবস
১৮৯০: সাধক বাউল লালন ফকিরের মৃত্যু
১৯৫৫: অভিনেত্রী স্মিতা পাতিলের জন্ম
১৯৭০: ক্রিকেটার অনিল কুম্বলের জন্ম 



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৭২.৬৪ টাকা ৭৪.৩৫ টাকা
পাউন্ড ৯৩.১২ টাকা ৯৬.৪৩ টাকা
ইউরো ৮৪.৪৪ টাকা ৮৭.৫৮ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৫১,৫৯০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৪৮,৯৫০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৪৯,৬৮০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৬১,৮৬০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৬১,৯৬০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

৩১ আশ্বিন ১৪২৭, শনিবার, ১৭ অক্টোবর ২০২০, প্রতিপদ ৩৮/৪৮ রাত্রি ৯/৯। চিত্রা নক্ষত্র ১৫/৩৪ দিবা ১১/৫২। সূর্যোদয় ৫/৩৭/৩৭, সূর্যাস্ত ৫/৬/৩৭। অমৃতযোগ দিবা ৬/২৪ মধ্যে পুনঃ ৭/১০ গতে ৯/২৭ মধ্যে ১১/৪৫ গতে ২/৪৭ মধ্যে পুনঃ ৩/৩৩ গতে অস্তাবধি। রাত্রি ১২/৩৮ গতে ২/১৮ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ রাত্রি ২/১৮ গতে ৩/৭ মধ্যে। বারবেলা ৭/৪ মধ্যে পুনঃ ১২/৪৯ গতে ২/১৫ মধ্যে পুনঃ ৩/৪২ গতে অস্তাবধি। কালরাত্রি ৬/৪১ মধ্যে পুনঃ ৪/৪ গতে উদয়াবধি। 
৩০ আশ্বিন ১৪২৭, শনিবার, ১৭ অক্টোবর ২০২০, প্রতিপদ রাত্রি ১১/২৪। চিত্রা নক্ষত্র দিবা ২/১৮। সূর্যোদয় ৫/৩৮, সূর্যাস্ত ৫/৮। অমৃতযোগ দিবা ৬/৩১ মধ্যে ও ৭/১৬ গতে ৯/২৯ মধ্যে ও ১১/৪২ গতে ২/৪০ মধ্যে ৩/২৫ গতে ৫/৮ মধ্যে এবং রাত্রি ১২/৩৮ গতে ২/২১ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ রাত্রি ২/২১ গতে ৩/১২ মধ্যে। কালবেলা ৭/৪ মধ্যে ও ১২/৪৯ গতে ২/১৫ মধ্যে ও ৩/৪২ গতে ৫/৮ মধ্যে। কালরাত্রি ৬/৪২ মধ্যে ও ৪/৪ গতে ৫/৩৯ মধ্যে।  
মোসলেম: ২৯ শফর। 

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
আজকের রাশিফল 
মেষ: শরীর নিয়ে চিন্তায় থাকতে হবে। বৃষ: আর্থিক ক্ষেত্রে কিছুটা ...বিশদ

04:29:40 PM

ইতিহাসে আজকের দিনে 
আন্তর্জাতিক দারিদ্র দূরীকরণ দিবস১৮৯০: সাধক বাউল লালন ফকিরের মৃত্যু১৯৫৫: অভিনেত্রী ...বিশদ

04:28:18 PM

আইপিএল: সিএসকের বিরুদ্ধে ৫ উইকেটে জয়ী দিল্লি ক্যাপিটালস 

11:21:10 PM

আইপিএল: দিল্লি ক্যাপিটালস ১২৯/৩ (১৫ ওভার) 

10:49:02 PM

আইপিএল: দিল্লি ক্যাপিটালস ৭৬/২ (১০ ওভার) 

10:22:23 PM

আইপিএল: দিল্লি ক্যাপিটালস ২৯/২ (৫ ওভার) 

09:57:03 PM