শরীর নিয়ে চিন্তায় থাকতে হবে। মাথা ও কোমরে সমস্যা হতে পারে। উপার্জন ভাগ্য শুভ নয়। ... বিশদ
এবিষয়ে রায়গঞ্জ পুরসভার চেয়ারম্যান সন্দীপ বিশ্বাস বলেন, উৎসবের মধ্যে রাস্তায় বা এলাকায় জমে থাকা আবর্জনা দেখতে কারওরই ভালো লাগে না। সেই অবাঞ্ছিত দৃশ্য যেন রায়গঞ্জের বাসিন্দাদের দেখতে না হয়, সেজন্য আমরা অতিরিক্ত সাফাই কর্মী নিয়োগ করার কথা ভেবেছি। এমনিতেও আমাদের সাফাই কর্মীরা নিয়মিত প্রতিটি ওয়ার্ডে কাজ করেন। তবে দুর্গাপুজো ও ছটপুজোর সময় আরও বেশি সংখ্যক কর্মীকে কাজে লাগানো হবে। একেকটি ওয়ার্ডের কাউন্সিলাররা দুর্গাপুজো পর্যন্ত অতিরিক্ত ২৫ জন পর্যন্ত কর্মীকে কাজে লাগাতে পারবেন। তারপরে ছটপুজো পর্যন্ত প্রতি ওয়ার্ডে বাড়তি ২৫ জনের বদলে ১৫ জন করে সাফাই কর্মী কাজ করবেন। উৎসবের মরশুমে ওই সাফাই কর্মীরা দুই শিফটে কাজ করবেন। ইতিমধ্যেই বোর্ড মিটিং এব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। মানুষকে ভালো পরিষেবা দেওয়াই আমাদের লক্ষ্য।
বাড়তি কর্মী কাজে লাগানোর পাশাপাশি এখন যাঁরা কাজ করছেন, তাঁদেরকেও দ্রুত আবর্জনা নিষ্কাশনের কথা বলা হয়েছে। রায়গঞ্জ পুরসভা মোট ২৭ টি ওয়ার্ড নিয়ে তৈরি। কসবা থেকে শিলিগুড়ি মোড় পর্যন্ত বিস্তীর্ণ এলাকাজুড়ে পরিষেবা দেয় রায়গঞ্জ পুরসভা। এমনিতে আবর্জনা সাফাই নিয়ে শহরের বাসিন্দাদের মধ্যে বিশেষ ক্ষোভ নেই। শহরের যত্রতত্র আবর্জনার স্তুপ জমে রয়েছে, এই দৃশ্যও দেখতে পাওয়া যায় না সচরাচর। তারপরেও শহরে প্রায় সাড়ে ৬০০ জন সাফাই কর্মী নিয়োগকে সাধুবাদ জানিয়েছেন বাসিন্দারা। সেইসব সাফাই কর্মীদের প্রত্যেককে দৈনিক ২৫০ টাকা করে দেওয়া হবে। সেজন্য ছটপুজো অবধি পুরসভার বাড়তি খরচও হবে। যদিও দুর্গাপুজোর পর যেহেতু কর্মীর সংখ্যা কমবে, তাই খরচও খানিক কমবে।
রায়গঞ্জ শহরের বাসিন্দা সৈকত দত্ত বলেন, আমি যে এলাকায় থাকি, সেখানে পুরসভার কর্মীরা নিয়মিত জঞ্জাল সাফ করে নিয়ে যান। এবছর লাগাতার বৃষ্টিপাত হওয়ার কারণে বিভিন্ন সময়ে জল জমে যাওয়ায় সমস্যা হয়েছিল। তারপরেও জল কমলে আবার সুষ্ঠুভাবেই কাজ হয়েছে। তবে পুজোর সময় তো অনেকে পথে বের হন। আবর্জনার পরিমাণও বাড়ে। বাড়তি কর্মী কাজে লাগালে ভালোই হবে।