শরীর নিয়ে চিন্তায় থাকতে হবে। মাথা ও কোমরে সমস্যা হতে পারে। উপার্জন ভাগ্য শুভ নয়। ... বিশদ
স্থানীয় ব্ল্যাক ডায়মন্ড ক্লাব পরিচালিত এই পুজোর আয়োজনের দায়িত্বে গাজোল থানা রোড সর্বজনীন দুৰ্গাপুজো কমিটি। পুজো উদ্যোক্তা কমিটির সদস্যদের মধ্যে হিন্দু ও মুসলমান উভয় সম্প্রদায়ের সদস্যরাই থাকেন। পুজো সম্পর্কিত মিটিং করা থেকে শুরু করে পুজোর বাজার করা, এলাকায় বাড়ি বাড়ি গিয়ে দিনের পর দিন চাঁদা তোলা, মণ্ডপ সাজানো, কুমোরটুলি থেকে প্রতিমা মণ্ডপে নিয়ে আসা—সব কাজ কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে করেন দুই সম্প্রদায়ের বাসিন্দারা। তিন দশকেরও বেশি সময় ধরে ঠিক এভাবেই একে অপরের হাত ধরে সম্প্রীতির পুজোর আয়োজন হয়ে আসছে ওই এলাকায়। এবছর তাদের পুজোর ৩৪ তম বছর।
উদ্যোক্তারা জানিয়েছেন, করোনা পরিস্থিতি জন্য বিভিন্ন অনুষ্ঠান এবার বাদ দেওয়া হয়েছে। পুজোয় থিমে কোনও চমক থাকছে না। আলোকসজ্জারও বাহুল্য নেই। তবুও ক্লাব সদস্যদের উৎসাহ এতটুকু কমেনি। দুৰ্গাপুজো কমিটির সম্পাদক অসিত প্রসাদ বলেন, আমরা প্রতিবছর জাতি-ধর্ম নির্বিশেষে হিন্দু ও মুসলমান একসঙ্গে মিলেই পুজোর আয়োজন করি। এবার আমাদের পুজোর বাজেট দেড় লক্ষ টাকা। সরকারি নির্দেশিকা মেনেই খোলামেলা মণ্ডপ বানানো হচ্ছে। করোনার সমস্ত স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা হবে। করোনার জন্য পুজো উপলক্ষে অন্যান্যবারের মতো কোনও অনুষ্ঠান হবে না। প্রতিমা হবে সাবেকি ধাঁচের।
এই পুজোর ভাইস প্রেসিডেন্ট আসিফ আনসারি বলেন, ধর্ম যার যার, উৎসব সবার। সেই কথা মাথায় রেখেই আমরা দুৰ্গাপুজোর আয়োজন করি। সকলে মিলে পুজোয় সমানভাবে অংশ নিই। কমিটির হিন্দু সদস্যদের সঙ্গে মিলেমিশে একসঙ্গেই চাঁদা তোলা থেকে বিসর্জন পর্যন্ত সব দায়িত্ব সামলাই। এভাবে পুজোর আয়োজনে জড়িয়ে পড়তে আমাদের খুবই ভালো লাগে। আমাদের এই পুজোকে ঘিরে সম্প্রীতির ইতিহাস অনেক পুরনো। আমি ছোটবেলায় বাবা-কাকাদের এভাবেই পুজোর আয়োজনের সঙ্গে জড়িয়ে থাকতে দেখেছি। এখন তাঁরা আর সেভাবে সক্রিয় নেই। কিন্তু পরবর্তী প্রজন্মের আমরা আছি একইরকমভাবে। দুর্গাপুজো মানে আমাদেরও উৎসব। আমাদেরও আনন্দ। ক্লাব সূত্রে জানা গিয়েছে, ১৯৮৬ সাল থেকে শুরু হয়েছিল এই পুজো। তার আগে এই এলাকায় কোনও দুর্গাপুজোই হতো না। তবে আগে থেকেই কিন্তু সরস্বতী পুজো হতো। সেই পুজোর আয়োজনও মিলেমিশেই করতেন বাসিন্দারা। সরস্বতীপুজোর সঙ্গে যুক্ত থাকা উদ্যোক্তাদেরই মনে হয়, এলাকায় একটি দুর্গাপুজোর আয়োজন করলে কেমন হয়? ব্যস, সেই থেকেই শুরু। প্রথম থেকেই এলাকার হিন্দু ও মুসলিম সম্প্রদায়ের বাসিন্দারা মিলেমিশে এই পুজো এখনও চালিয়ে যাচ্ছেন।