শরীর নিয়ে চিন্তায় থাকতে হবে। মাথা ও কোমরে সমস্যা হতে পারে। উপার্জন ভাগ্য শুভ নয়। ... বিশদ
লঘুচর হাই স্কুলের প্রধান শিক্ষক মুস্তাফিজুর রহমান বলেন, সরকারি নিয়ম অনুযায়ী আমি স্কুলের ম্যানেজিং কমিটির সম্পাদকের দায়িত্বে আছি। স্কুলে জেলা সমগ্র মিশনের অধীনে নির্মাণ কাজ হচ্ছে। গ্রামবাসীরা সেই কাজ দেখে নিম্নমানের কাজ হচ্ছে বলে আমার কাছে মৌখিকভাবে জানিয়েছিলেন। আমি টেকনিক্যাল বিষয় কিছু জানি না। কাজের ভালো-মন্দ দেখার জন্য জেলা সমগ্র মিশন থেকে ইঞ্জিনিয়ার আসেন, তিনিই সব দেখছেন। আমি চাই স্কুলের ভবন যেন নিয়ম অনুযায়ী হয়।
দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা সমগ্র শিক্ষা মিশনের আধিকারিক বিমলকৃষ্ণ গায়েন বলেন, হরিরামপুর লঘুচর হাই স্কুলের পরিকাঠামোর উন্নয়নের জন্য আমাদের দপ্তর থেকে প্রায় ৭২ লক্ষ টাকা বরাদ্দ করে ভবন নির্মাণের কাজ শুরু হয়েছে। একতলার কাজ হওয়ার পর এখন দ্বিতীয় তলার কাজ চলছে। গ্রামবাসীরা নিম্নমানের কাজের অভিযোগ তুলে আমার কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন। ঠিকাদার সংস্থা নিম্নমানের কাজ করলে কাউকেই ছাড়া হবে না। পুরো ভেঙে ফেলে নতুন করে নির্মাণ হবে। আমাদের দপ্তরের ইঞ্জিনিয়াররা ঘটনাস্থলে গিয়েছেন। অভিযোগ পাওয়ার পর জেলা থেকে আরও একজন ইঞ্জিনিয়ারকে পাঠান হয়েছে। ভবনের নির্মাণ কাজ কেমন হয়েছে তা পরীক্ষা করার জন্য এক বেসরকারি সংস্থাকেও জানানো হয়েছে। তারা এসে কাজ খতিয়ে দেখে রিপোর্ট দেবে।
এদিকে, অভিযোগকারী গ্রামবাসীদের মধ্যে হাবিব আহসান বলেন, আমাদের গ্রামের স্কুল। সেখানে সংখ্যালঘু সম্প্রদায় থেকে শুরু করে অন্যান্য পড়ুয়ারাও পড়াশোনা করতে আসে। আমাদের চোখের সামনে এখানে নিম্নমানের কাজ হচ্ছে। বারবার লিখিত অভিযোগ জানানোর পরেও কাজ হচ্ছে না। সরকারি শিডিউল মেনে কাজ হচ্ছে না। সামগ্রীও নিম্নমানের। ভবিষ্যতে আমাদের গ্রামের পড়ুয়ারা স্কুলে গিয়ে দুর্ঘটনার শিকার হতে পারে। এই আশঙ্কায় দিদিকে বলোতেও আমরা অভিযোগ জানিয়েছিলাম। কিন্তু লাভ হয়নি।