বিদ্যার্থীরা শুভ ফল লাভ করবে। মাঝে মাঝে হঠকারী সিদ্ধান্ত গ্রহণ করায় ক্ষতি হতে পারে। নতুন ... বিশদ
তৃণমূলের শ্রমিক সংগঠন আইএনটিটিইউসির সংশ্লিষ্ট কারখানার ইউনিট সভাপতি ইনায়ুল হক বলেন, মালিকপক্ষ যে যুক্তি দেখিয়ে কারখানায় উৎপাদন বন্ধ করেছে, তা ঠিক নয়। আসলে কর্মী ছাঁটাইয়ের উদ্দেশে কর্তৃপক্ষ আচমকা কারখানায় উৎপাদন বন্ধ করেছে। শুধু জেলা প্রশাসন নয়, এই ব্যাপারে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেও জানানো হয়েছে।
কারখানার ম্যানেজার দেবব্রত পাল অবশ্য বলেন, শ্রমিকদের বক্তব্য নিয়ে কোনও মন্তব্য করতে পারব না। তবে কেন্দ্রীয় সরকারের পেট্রপণ্য সরবরাহকারী সংস্থাগুলি বরাত না দেওয়ায় কারখানার উৎপাদন স্থগিত করা হয়েছে।
এদিন সকালে কারখানায় গিয়ে উৎপাদন স্থগিতের নোটিস দেখে শ্রমিকরা ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন। তাঁরা সেখানে দিনভর বিক্ষোভ দেখান। পাশাপাশি কারখানা কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে একগুচ্ছ অভিযোগ লিখিতভাবে শ্রম কমিশনার, এনজেপি থানা এবং জলপাইগুড়ি জেলা প্রশাসনের কাছে জানান। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সংশ্লিষ্ট কারখানায় মোট শ্রমিক সংখ্যা ৩৫০ জন। যারমধ্যে ১০৯ জন স্থায়ী। বাকি ২৪১ জন চুক্তির ভিত্তিতে কর্মরত। পুজোর আগে অনির্দিষ্টকালের জন্য কারখানার উৎপাদন বন্ধ হওয়ায় শ্রমিকরা দুশ্চিন্তায় পড়েছেন। শ্রমিকদের একাংশ বলেন, অন্যান্য দিনের মতো এদিন সকালে কারখানার কাজে যোগ দিতে যাই। কিন্তু মালিক পক্ষ উৎপাদন স্থগিত করায় এদিন কারখানায় কোনও কাজ হয়নি। ফুলবাড়ি-১ ব্লকের অন্তর্গত ডাবগ্রাম শিল্পতালুকে ওই কারখানা অবস্থিত। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, কেন্দ্রীয় সরকারের পেট্রপণ্য সরবরাহ বিভিন্ন সংস্থার বরাত অনুসারে এই কারখানায় একসময়ে দিনে ২২০০টি সিলিন্ডার প্রস্তুত করা হতো। বর্তমানে ওই সংস্থাগুলি সিলিন্ডার তৈরির বরাত আর দিচ্ছে না। তাই এখানে উৎপাদন হ্রাস পেয়েছে। প্রচুর সিলিন্ডার বিক্রি হয়নি। উৎপাদন স্থগিতের নোটিসে বিষয়টি বিস্তারিতভাবে উল্লেখ করা হয়েছে।