বিদ্যার্থীরা শুভ ফল লাভ করবে। মাঝে মাঝে হঠকারী সিদ্ধান্ত গ্রহণ করায় ক্ষতি হতে পারে। নতুন ... বিশদ
এবার লোকসভা ভোটে আলিপুরদুয়ারে বিজেপির কাছে প্রায় আড়াই লক্ষ ভোটে হেরে যায় শাসক দল তৃণমূল। আলিপুরদুয়ার লোকসভা আসনের সাতটি আসনেই তৃণমূলকে পেছনে ফেলে দিয়ে লিড নিয়েছিল বিজেপি। জেলার ৬৬টি পঞ্চায়েতের মধ্যে ৬০টি পঞ্চায়েত এবং জেলার ছ’টি পঞ্চায়েত সমিতির ছ’টিই তৃণমূলের দখলে রয়েছে। জেলা পরিষদও শাসক দলের দখলে আছে।
তৃণমূল নেতৃত্ব বারবার বলে আসছিল বামেদের ভোট রামের বাক্সে যাওয়াতেই উত্তরবঙ্গের অন্য অংশের মতো আলিপুরদুয়ারেও দল হেরে গিয়েছে। পাশাপাশি লোকসভা ভোটের সময় ঘরে বসে অনেকেই দলের বিরুদ্ধাচরণ করেছিল। ভোটে হারার সেটাও একটি কারণ।
এদিন নতুন জেলা সভাপতি মৃদুল গোস্বামীর সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে সেই প্রসঙ্গ টেনে দলের বিদায়ী জেলা সভাপতি মোহনবাবু বলেন, এটা ঘটনা যে ভোটের সময় ঘরে বসে কেউ কেউ দলের বিরুদ্ধাচরণ করে বিবৃতি দিয়েছিল। দলের নতুন জেলা সভাপতির কাছে আমার আর্জি, ঘরে বসে থাকা দলের বিরুদ্ধাচরণ করা নেতাদের বিরুদ্ধে যেন কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হয়।
আবেগমথিত মোহনবাবু আরও বলেন, লোকসভা ভোটে হারার পর স্ত্রীর অসুস্থতার জন্য দলের কাছে জেলা সভাপতি পদ থেকে অব্যাহতি চেয়েছিলাম। দলের জেলা পর্যবেক্ষক অরূপ বিশ্বাস এসেছিলেন। অরূপবাবুর কাছেও অব্যাহতির আর্জি জানিয়েছিলাম। তখন দল আমার কাছে নতুন জেলা সভাপতির নাম জানতে চেয়েছিল। আমি একবাক্যে মৃদুলবাবুর নাম বলেছিলাম।
সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে মোহনবাবুর সংযোজন, গত বৃহস্পতিবার দলনেত্রী মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ফোন করে নতুন জেলা সভাপতিকে সবরকম সহযোগিতা করার নির্দেশ দিয়েছেন। আমি দলকে এগিয়ে নিয়ে যেতে মৃদুলকে সবরকম সহযোগিতা করে যাব। পাশাপাশি কথা দিচ্ছি আমার বিধানসভা কেন্দ্র কালচিনি থেকে বিধানসভা ভোটে দলকে জিতিয়ে আনবই।
বিদায়ী জেলা সভাপতির বক্তব্য শেষ হতেই দলের পুরনো ও নতুন দলের সর্বস্তরের কর্মী সমর্থকরা উচ্ছ্বাসে ফেটে পড়েন। সেই উচ্ছ্বাস দেখে দলের নতুন জেলা সভাপতি মৃদুলবাবু বলেন, ঘরে বসে দলের বিরুদ্ধে ছুরি মারার দিন শেষ। যারা ঘরে বসে দলের বিরুদ্ধাচরণ করেন, দলের বিরুদ্ধে বিবৃতি দেন সেই গদ্দারদের বিরুদ্ধে অবশ্যই কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এদিন নতুন জেলা সভাপতির সংবর্ধনা অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করে দলের মধ্যে ঐক্যবদ্ধ ছবি ফুটে উঠে জেলা পার্টি অফিসে। সেখানে দলের পুরনো বা নব্য ভেদাভেদ ছিল না। সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, দলীয় বিধায়ক সৌরভ চক্রবর্তী, জেমস কুজুর, দলের চার জেলার সাধারণ সম্পাদক মনোরঞ্জন দে, সঞ্জিত ধর, অনুপ চক্রবর্তী ও অভিজিৎ সরকার।
এদিন জেলা পার্টি অফিসের আগে কালচিনিতেও দলের কালচিনি ব্লক কমিটির তরফে দলের নতুন জেলা সভাপতিকে সংবর্ধনা দেওয়া হয়। এদিন সংবর্ধনা অনুষ্ঠানেই মৃদুলবাবু জানান, দ্রুত দলের জেলা কোর কমিটি গঠন করা হবে।