উচ্চবিদ্যার ক্ষেত্রে বাধার মধ্য দিয়ে অগ্রসর হতে হবে। কর্মপ্রার্থীদের ক্ষেত্রে শুভ যোগ। ব্যবসায় যুক্ত হলে ... বিশদ
চলতি ধারণা হল, কৃষ্ণগহ্বরের মধ্যে আলো এসে পড়লেও নিস্তার নেই। তাকেও খেয়ে ফেলে ব্ল্যাকহোল। যদি কোনও কণা আলোর গতিবেগের চেয়েও বেশি বেগে যায় তখনই কেবল ব্ল্যাকহোলের ক্ষুধা এড়ানো সম্ভব। কিন্তু আলোর থেকে বেশি গতিবেগ সম্ভব নয়। তাই রাক্ষুসে কৃষ্ণগহ্বরকে এড়ানোও অসম্ভব। এই তত্ত্বের মধ্যে ফাঁক দেখিয়েছিলেন হকিং। ১৯৭৪ সালে হকিং জানিয়েছিলেন, ব্ল্যাকহোল সবকিছু হজম করতে পারে না। সেখান থেকেও বিকিরণ (এমিশন) সম্ভব। তিনি বলেন, আলোর ফোটন কণাগুলি জোড়ায় জোড়ায় চলে। এর একটিকে কৃষ্ণগহ্বর খেয়ে নিলেও অন্যটি পাশ কাটিয়ে বেরিয়ে যায়। জন্ম হয় ‘হকিং বিকিরণের।’ গাণিতিকভাবে এটা প্রমাণ হলেও, বাস্তবে এর প্রমাণ মিলছিল না। টেকনো-ইজরায়েল ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজির গবেষকরা কৃত্রিম কৃষ্ণগহ্বর তৈরি করে অসাধ্য সাধন করেছেন। সেখানেই হকিংয়ের তত্ত্ব নির্ভুল বলে প্রমাণিত হয়েছে। আলো সরলরেখায় চলে, এই চলতি ধারণাকে নস্যাৎ করেছিলেন আরেক বিশ্ববিশ্রুত বিজ্ঞানী আলবার্ট আইনস্টাইন। তাঁর জীবিতাবস্থাতেই এক সূর্যগ্রহণের দিনে সেই তত্ত্বের প্রমাণ মিলেছিল।