বিমা প্রভূতক্ষেত্র থেকে অর্থাগম যোগ। গৃহ সংস্কার বা ক্রয়ের প্রয়োজনীয় অর্থ পেয়ে যেতে পারেন। শরীরের ... বিশদ
রাজনৈতিক মহল মনে করছে, তৃণমূলের হাত ধরে রাজ্যে যেভাবে উন্নয়নের জোয়ার বইছে, আগামীদিনও তা বহাল থাকবে, এমনটাই বুঝিয়েছেন মমতা। আর এখানেই ২০২৪ সালে বছরভর সাধারণ মানুষের সেবায় কর্মকাণ্ডের একটি ঝলক ফুটে উঠেছে মমতার বার্তায়। বাংলায় সব ধর্মের মানুষের সহাবস্থান, কেন্দ্রীয় বঞ্চনার পরেও ১০০ দিনের শ্রমিকদের প্রাপ্য মজুর রাজ্যের তরফে প্রদান, বাংলার বাড়ি প্রকল্পের জন্য ১২ লক্ষ মানুষকে আর্থিক সহায়তা প্রদান, লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পে ভাতা বৃদ্ধি, ধর্ষণ বিরোধী অপরাজিতা বিল বিধানসভায় পাস করানো, প্রাকৃতিক দুর্যোগে প্রান্তিক মানুষের কাছে ছুটে যাওয়া, শান্তির বাংলায় সকলকে একত্রিত রেখে সুরক্ষিত রাখা— সহ বিভিন্ন কর্মকাণ্ড এখন সকলের গোচরে। এই প্রেক্ষাপটেই মমতা বলেছেন, আমাদের মূল শক্তি মা-মাটি-মানুষের সমর্থন, আস্থা ও বিশ্বাস। তাদের আমি কৃতজ্ঞতা জানাই।
২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে বাংলার মানুষের আশীর্বাদে ২৯টি আসন জয়ী হয় তৃণমূল। যেটিকে মাইলস্টোন হিসেবে চিহ্নিত করেছেন মমতা। বলেছেন, তৃণমূলের প্রতি ভালবাসা উজাড় করে দিয়েছেন বাংলার মানুষ। এই বছরটিকে অবিস্মরণীয় করে তোলার জন্য হাতজোড় করে বাংলার মানুষকে প্রণাম জানাই। একইসঙ্গে ইংরেজি নতুন বছরে সকলকে শুভেচ্ছা জানিয়ে মমতার প্রতিশ্রুতি, আমরা নতুন একটি বছরের যাত্রা শুরু করছি, তাতে আগের প্রতিশ্রুতি আমি পুননর্বিকরণ করছি। সাধারণ মানুষের সেবা করব, রক্ষা করব। এবং ন্যায়, স্বাধীনতা, সংহতি ও ভাতৃত্বের আদর্শকে সুনিশ্চিত রাখব। জয় বাংলা!
দিল্লির জমিদারদের যে বঞ্চনা চলছে, তার বিরুদ্ধে লড়াই-সংগ্রাম চালিয়ে যাওয়ার শপথ নিয়েছেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেছেন, জীবন দেব, কিন্তু মানুষের জন্য সংগ্রাম থেকে বিচ্যুত হব না। ২০২৪ সালে গণদেবতার নিঃস্বার্থ ভালোবাসা ও আশীর্বাদ পেয়েছি, যা সমস্ত প্রতিকূলতার বিরুদ্ধে আমাদের সাহস জুগিয়েছে। মানুষের পাশে দাঁড়ানোর প্রতিশ্রুতিতে আমরা অটল। কেন্দ্রীয় বঞ্চনার বিরুদ্ধে দীর্ঘদিন ধরে লড়াই করছে তৃণমূল। কলকাতা থেকে দিল্লি পর্যন্ত আন্দোলন সংগঠিত করা হয়েছিল। এখানেই অভিষেকের অঙ্গীকার, যারা আমাদের বিভক্ত ও বঞ্চিত করতে চায়, তাদের বিরুদ্ধে আমাদের লড়াই চলবে।