কর্ম নিয়ে স্থানান্তর গমনে সাফল্যের যোগ। কর্মে স্থানগত বা সংস্থাগত পরিবর্তন অসম্ভব নয়। পারিবারিক ক্ষেত্রে ... বিশদ
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, নওদার মধুপুর পঞ্চায়েতের তৃণমূল সদস্য মনিরুল শেখ গত বেশ কয়েক বছর ধরে গঙ্গাধারী এলাকায় থাকেন। শুক্রবার সকালে নিজের বাড়ি থেকে বেরিয়ে তিনি দেখতে পান বাড়ির সামনে কেউ বা কারা একটি থান কাপড়, ধূপ, সাবান, আতর-সহ অন্ত্যেষ্টির জন্য ব্যবহৃত বেশ কিছু জিনিসপত্র এবং কয়েকটি হুমকি পোস্টার রেখে গিয়েছে। এই ঘটনার কথা জানাজানি হতেই রীতিমতো আতঙ্কিত হয়ে পড়েন এলাকার বাসিন্দারাও। খবর পেয়ে সেখানে হাজির হয় নওদা থানার পুলিস।
ওই পঞ্চায়েত সদস্যের বাড়ির সামনে থেকে উদ্ধার হওয়া কয়েকটি পোস্টার বেশ অন্যরকম। কালার প্রিন্ট করে সেই পোস্টার তৈরি। সেখানে মনিরুলের ছবি রয়েছে। মনিরুল পারিবারিক ব্যবসার সঙ্গেও যুক্ত। তাঁর ধারণা, রাজনীতির কারণেই এই হুমকির মুখোমুখি হয়েছেন তিনি।
মনিরুল বলেন, ‘আমার বাবা গত ২০-২৫ বছর ধরে সক্রিয় রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। আমিও গত দু’টি টার্মে পঞ্চায়েতের সদস্য। আগে কখনও এমন ঘটনার সম্মুখীন হইনি আমরা। ঘটনার পর থেকে আমি ও আমার পরিবার বেশ আতঙ্কে রয়েছি। গোটা ঘটনাটি ইতিমধ্যে নওদা থানার পুলিসকে জানিয়েছি। ব্লক তৃণমূল নেতৃত্বকেও এই ব্যাপারটি জানানো হয়েছে।’
নওদার তৃণমূল ব্লক সভাপতি সফিউজ্জামান শেখ বলেন, ‘ওই পঞ্চায়েত সদস্য বহু বছর ধরে আমাদের সঙ্গে রাজনীতি করেন। হঠাৎ করে তাঁর বাড়ির সামনে এই রকম পোস্টার ও সাদা থান কারা রেখে গেল, সেই ব্যাপারে উপযুক্ত তদন্ত প্রয়োজন। এক সময় এই এলাকার মাওবাদীদের কবলে ছিল। সেই সময়ে এই ধরনের রাজনীতি করত অনেকেই। গত লোকসভা নির্বাচনে দেখা গিয়েছে, এখানে কংগ্রেস ও বিজেপির পায়ের তলা থেকে মাটি সরে গিয়েছে। তারাও রাজনৈতিক শত্রুতার কারণে এই ঘটনা ঘটিয়ে থাকতে পারে। শান্ত নওদাকে কারা অশান্ত করতে চাইছে সেটা আমরাও খোঁজ নিচ্ছি।’
বহরমপুর-মুর্শিদাবাদ সাংগঠনিক জেলার বিজেপির সাধারণ সম্পাদক লাল্টু দাস বলেন, ‘গতকালই আমরা দেখেছি মালদায় তৃণমূল নেতাকে গুলি করা হয়েছে। তারপর দিনই নওদায় এই ধরনের পোস্টার পড়েছে। বিজেপি কখনও সন্ত্রাসের রাজনীতি করে না। নওদা একসময় মাওবাদী উপদ্রুত এলাকা ছিল। তখন এই ধরনের কার্যকলাপ দেখা যেত। এখন কারা এই ধরনের কাজ করছে পুলিস উপযুক্ত তদন্ত করুক। তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দলের ফলেও এই ঘটনা ঘটে থাকতে পারে।’