কর্ম নিয়ে স্থানান্তর গমনে সাফল্যের যোগ। কর্মে স্থানগত বা সংস্থাগত পরিবর্তন অসম্ভব নয়। পারিবারিক ক্ষেত্রে ... বিশদ
হলদিয়ায় বাড়ি বাড়ি নলবাহিত পানীয় জল পৌঁছে দিতে ২০১৬ সালে ‘অম্রুত ওয়ান’ প্রকল্প শুরু হয়। ওই প্রকল্পের জন্য বরাদ্দ হয় ৮০ কোটি টাকা। জানা গিয়েছে, অম্রুত ওয়ান প্রকল্পের বরাদ্দ অর্থের প্রায় ৫ কোটি টাকা এখনও খরচ করতে পারেনি পুর কর্তৃপক্ষ। পুরসভার দাবি, মিউনিসিপ্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং ডিপার্টমেন্ট (এমইডি) এবং ঠিকাদারের দীর্ঘসূত্রিতার কারণে অম্রুতের প্রথম দফার কাজে ঢিলেমি হয়েছে। অভিযোগ, সেই প্রকল্পের কাজ আট বছরেও শেষ হয়নি। পুরসভার দুই তৃতীয়াংশ এলাকায় এখনও বাড়ি বাড়ি পানীয় জল পৌঁছয়নি। এরমধ্যে বড় অংশ পুরসভার গ্রামীণ এলাকা। এবার অম্রুত টু প্রকল্পে সেই এলাকাগুলিতে নলবাহিত পানীয় জল পৌঁছে দিতে জোরকদমে কাজ করছে পুরসভা। পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, অম্রুত টু ফেজে ১ থেকে ২০ নম্বর ওয়ার্ড পর্যন্ত ৭০ বর্গ কিলোমিটার এলাকায় জল সরবরাহের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এরমধ্যে ১৭, ১৮ নম্বর ওয়ার্ড সহ কয়েকটিতে অম্রুত ওয়ানে আংশিক পাইপ লাইন পাতা হয়েছে। অম্রুত টু-তে ওই ওয়ার্ডগুলির বাকি বাসিন্দারা জল পাবেন।
পুরসভার এক আধিকারিক বলেন, হলদিয়া শহর এলাকায় ব্যাপক পরিমাণে জল উত্তোলনের ফলে ভূগর্ভস্থ জল ক্রমশ কমছে। সেজন্য দ্রুত অম্রুত টু প্রকল্প কার্যকরী করতে উদ্যোগী পুর কর্তৃপক্ষ। হুগলি নদীর জল গেঁওখালি জলপ্রকল্পে শোধনের পর তা বাড়ি বাড়ি সরবরাহ করা হবে। পুরসভার বেশিরভাগ ওয়ার্ডে এখন টিউবওয়েল বা সাবমার্সিবলের জলই ভরসা। অম্রুত টু বাস্তবায়িত হলে প্রায় দেড় লক্ষ মানুষ উপকৃত হবেন। পুরসভার সমস্ত এলাকায় বাড়ি বাড়ি নলবাহিত পানীয় জল সরবরাহের জন্য পুরসভার ২৯টি ওয়ার্ডকে ২৪টি ওয়াটার জোনে ভাগ করা হয়েছে। এজন্য ২৪টি রিজার্ভার তৈরি হবে। অম্রুত ওয়ানে ৯টি এ ধরনের রিজার্ভার তৈরি হয়েছে। সেগুলি তৈরির সময়ে পুর বোর্ড থাকায় এবং পুরসভার নিজস্ব জমি থাকায় সমস্যা হয়নি। পুর প্রশাসক সুপ্রভাত চট্টোপাধ্যায় বলেন, অম্রুত ওয়ান দ্রুত শেষ করে অম্রুত টু শুরু হবে। এজন্য ডিটেল প্রজেক্ট রিপোর্ট তৈরি হচ্ছে ও জমি চিহ্নিতকরণের কাজ চলছে।