চণ্ডীগড়: দুপুরে হরিয়ানা বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপি প্রার্থীদের হয়ে জোরকদমে প্রচার করছিলেন। ঠিক এক ঘণ্টা পরেই কংগ্রেসে ফিরে এলেন সিরসার প্রাক্তন সাংসদ অশোক তানোয়ার। এদিন মহেন্দ্রগড়ে রাহুল গান্ধীর জনসভায় ফের কংগ্রেসের পতাকা হাতে তুলে নিলেন এই দলিত নেতা। রাহুলের পাশাপাশি উপস্থিত ছিলেন ভূপিন্দর সিং হুডা, কে সি বেণুগোপাল সহ অন্যান্যরা। হরিয়ানায় বিধানসভা নির্বাচন ৫ অক্টোবর। রাজ্যে জয়ের হ্যাটট্রিক করতে মরিয়া গেরুয়া শিবির। অন্যদিকে, কংগ্রেস হারানো ক্ষমতা দখলের আপ্রাণ চেষ্টা চালাচ্ছে। এই আবহে ভোট প্রচারের শেষদিনে প্রাক্তন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতির দলবদল অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। এদিন দুপুরে নালোয়ার বিজেপি প্রার্থী রণধীর পানিহারের হয়ে জনসভায় প্রচার করেন প্রাক্তন সাংসদ অশোক। এক্স হ্যান্ডলে সেই ছবিও পোস্ট করেন তিনি। তার এক ঘণ্টার মধ্যেই পদ্ম শিবিরকে বিদায় জানালেন অশোক। এবিষয় এক্স হ্যান্ডলে হাত শিবিরের পোস্ট, ‘কংগ্রেস সবসময় সমাজে নিপীড়িত ও বঞ্চিত ব্যক্তিদের হয়ে লড়াই করেছে। সেই সংগ্রামে অনুপ্রাণিত হয়ে কংগ্রেসে যোগদান করলেন বিজেপির নির্বাচনী কমিটির সদস্য তথা প্রাক্তন সাংসদ অশোক তানোয়ার।’ সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে অশোক বলেন, ‘পাঁচ বছর আগে এই দিনে কংগ্রেসের সঙ্গ ত্যাগ করেছিলাম। তবে দলের একাধিক নেতার সঙ্গে যোগাযোগ ছিল। সেসব ইতিহাস। এখন কংগ্রেসের সঙ্গে মিলে হরিয়ানাকে দেশের এক নম্বর রাজ্য হিসেবে গড়ে তুলব।’
এদিন নুহর জনসভা থেকে বিজেপিকে আক্রমণ করলেন লোকসভার বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধী। সাম্প্রদায়িক হিংসার জেরে গত বছর উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল হরিয়ানার এই জেলাটি। এদিন রাহুল জানান, যুদ্ধটা মহব্বতের (ভালোবাসা) সঙ্গে নফরতের (ঘৃণা)। কংগ্রেস নেতার কথায়, ‘ভ্রাতৃত্ব সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ। সব জায়াগায় গিয়ে ঘৃণা ছড়ায় বিজেপি, আরএসএস। কোনও রাজ্যে গেলেই ভাষা, ধর্ম, জাতি নিয়ে কথা বলে। এটা খতম করতে হবে। ভারত ঘৃণার দেশ নয়। মহব্বতের দেশ। ভালোবাসা, ভ্রাতৃত্ব আর ঐক্যের জয় হবে।’ হাতে সংবিধান নিয়ে রাহুলের বার্তা, ‘সংবিধান না থাকলে দরিদ্র ব্যক্তিরা সব হারাবেন। জমি, অর্থ, জল। সবকিছু ২০ থেকে ২৫ জনের হাতে চলে যাবে।’