ব্যবসায় বেচাকেনা বেশ ভালো হবে। কাজকর্মে কোনও প্রভাবশালী ব্যক্তির আনুকূল্য লাভ ও ভাগ্যোন্নতি। ... বিশদ
রবিবার পুরীর জগন্নাথ মন্দিরে তিন ঘণ্টা ধরে চলে ‘পহান্ডি’। তারপর একে একে রথে চড়েন প্রভু জগন্নাথ, বলরাম ও সুভদ্রা। গুণ্ডিচা মন্দিরের উদ্দেশে রওনার আগে সিংহদ্বারের কাছে দাঁড় করিয়ে রাখা হয় তিনটি রথ। শঙ্খ, ঘণ্টা- কাঁসর, জয় জগন্নাথ ধ্বনিতে ভরে ওঠে মন্দির চত্বর। পহান্ডি শেষ হতেই প্রথামতো বিশেষ পুজো করেন পুরীর শঙ্করাচার্য নিশ্চলানন্দ সরস্বতী। ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী মোহনচরণ মাঝি, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান, রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়েকও উপস্থিত ছিলেন অনুষ্ঠানে। বিকেল চারটে নাগাদ প্রথা অনুযায়ী ‘ছেড়া পহরা’ করেন পুরীর রাজা গজপতি দিব্যসিংহ দেব। এরপর যাত্রা শুরু করে তালধ্বজ, দর্পদলন ও নন্দিঘোষ। প্রথমে বলভদ্রের তালধ্বজ। তারপর সুভদ্রার দর্পদলন। শেষে জগন্নাথের রথ নন্দিঘোষ। রথের রশিতে টান দেন অগনিত ভক্ত।
মন্দির সূত্রে খবর, এদিন যাত্রা শুরু করলেও মাসির বাড়ি পৌঁছবে না রথ। নেপথ্যে বিরল যোগ। কিছুটা এগিয়ে বিরতি। আজ, অর্থাৎ সোমবার ফের শুরু হবে যাত্রা। শেষবার ১৯৭১ সালে দু’দিনের রথযাত্রার সাক্ষী থেকেছিল পুরীর জগন্নাথ মন্দির। অর্থাত্ ৫৩ বছর পর ফিরল সেই রীতি।
অন্যদিকে, রথযাত্রার সময় প্রচণ্ড ভিড়ের চাপে দমবন্ধ হয়ে এক ব্যক্তির মৃত্যুর খবর মিলেছে। প্রশাসন সূত্রে খবর, ওই ব্যক্তি তালধ্বজ রথ টানছিলেন। সেই সময় অসুস্থ হয়ে পড়েন। প্রশাসন সূত্রে খবর, সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে পুরী জেলা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু চিকিত্সকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মোহন চরণ মাঝি মৃতের পরিবারের জন্য ৪ লক্ষ টাকা সাহায্য ঘোষণা করেন। সূত্রের খবর, ওই ব্যক্তিকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার সময়ও সিপিআরও দেওয়া হয়। কিন্তু লাভ হয়নি। ১০ লক্ষেরও বেশি মানুষের সমাগম হওয়ায় বেশ কয়েকবার পদপিষ্ট হওয়ার মতো পরিস্থিতি হয়। সূত্রের খবর, ৩০০ জনকে অসুস্থ অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। ৫০ জনকে চিকিত্সার পর ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।