মাতৃসূত্রে বিপুল অঙ্কে বিত্তলাভ হতে পারে। কর্ম ও ব্যবসায় ক্রমোন্নতি। ঈশ্বর চিন্তায় মনে শান্তিলাভ। ... বিশদ
হেরিটেজ পাতিয়ালা রেলস্টেশন থেকে মল রোড ধরে এগলে ফোয়ারা চক পেরিয়ে রাস্তা এগিয়েছে মেজর মনউইনন্দর সিং চকে। সেখানেই ৫৭ বিঘা এলাকায় ২০০ আমের বাগিচাঘেরা নিউ মোতি বাগ প্যালেসই প্রীণীতের ওয়াররুম। তাঁর ব্যক্তিগত সচিব এম পি সিং, প্রাসাদের কর্মচারী কার্গিলের প্রাক্তন সেনা গুরমেল সিংয়ের কণ্ঠেই উদ্বেগ। বললেন, ‘দেখিয়ে এখানে ক্যাপ্টেন সাহাবের প্রভাব আছে ঠিকই। তবে অসুস্থতার জন্য তিনি প্রচারে নামেননি। ম্যাডাম প্রীণীত কউরজি চারবারের এমপি। কিন্তু এতদিন জিতেছেন পাঞ্জায় (হাত চিহ্নে)। পহেলি বার কমল। ইসি লিয়ে থোড়া সা....।’
পাতিয়ালার প্রসিদ্ধ কালীবাড়িতে পুজো দিয়ে লঙ্গরে খেতে আসা নীলম সারিন, দীপক ভরদ্বাজরাও বলছেন, ‘শহর মে তো মহল (মোতি বাগ প্যালেস) কা অসার রহতা হ্যায়। লেকিন গাঁও মে মুশকিল। কিষান হ্যায় না।’ পাঞ্জাবে কৃষক আন্দোলনের প্রভাব প্রবল। পাতিয়ালায় নাভা, সামানা, দেহরা বাসসির মতো রয়েছে ১২৭০ গ্রাম। কৃ।করা খেপে লাল মোদির উপর।
দেবীগড়ের বাজারে সার কিনতে এসেছিলেন মহিন্দর পাল সিং। সঙ্গে নাতি ইন্দর। এবারই প্রথমবার ভোট দেবেন। বললেন, ‘মোদিজি তো কৃষকদের কথাই শোনেন না। মহারানি ভি বিশ সাল সে কুছ নেহি কিয়া। এখানে ভোট পাবেন ডক্টর গান্ধী।’ কংগ্রেসের প্রার্থী হার্ট স্পেশালিস্ট ধরমবীর গান্ধী। পাতিয়ালা শহরে নিউ অফিসার্স কলোনির এই বাসিন্দাই ১০ বছর আগে হারিয়েছিলেন প্রীণীত কাউরকে। সেবার ছিলেন আম আদমি পার্টির। এবার কংগ্রেসে।
শহরে শেরানওয়ালা গেটের পাশেই পাতিয়ালা শাহি লস্যির দোকান। খুব বিক্রি। সেখানেই ঠান্ডা আম লস্যির গ্লাসে চুমুক দিতে দিতে অঞ্জু শর্মা, অক্ষয় আহুজা, পরমিন্দর কউরের সোজাসাপ্টা সংলাপ, ‘ডাক্তার গান্ধী এলাকায় স্কুলে স্কুলে বসিয়েছেন ওয়াটার পিউরিফায়ার। কানাডা হোক বা মালয়েশিয়া, পাতিয়ালার কোনও পাঞ্জাবি সমস্যায় পড়লে মিটিয়েছেন তিনিই। ডক্টর সাহাব হামারে দিল মে হ্যায়।’
তাই পাতিয়ালায় লড়াই চতুষ্কোণ হলেও আদতে টক্কর কংগ্রেস-বিজেপির। আম আদমি পার্টি ইন্ডিয়া জোটের শরিক হলেও পাঞ্জাবে আলাদা। তবে পাতিয়ালায় সেভাবে প্রচারই নেই প্রার্থী দলবীর সিংয়ের। পাঞ্জাব সরকারের মন্ত্রী হওয়া সত্ত্বেও। শিরোমণি অকালি দলের নরেন্দ্র কুমার শর্মার ছবিও তেমন চোখে পড়ল না। তবে কি ‘ইন্ডিয়া’ জোট অটুট রাখতেই কেজরিওয়ালের কৌশল?