মাঝেমধ্যে মানসিক উদ্বেগের জন্য শিক্ষায় অমনোযোগী হয়ে পড়বে। গবেষণায় আগ্রহ বাড়বে। কর্মপ্রার্থীদের নানা সুযোগ আসবে। ... বিশদ
সিএএ ইস্যু থাকবে দ্বিতীয় সারিতে। দিল্লির সদ্য সমাপ্ত বিধানসভা নির্বাচনে বিশেষ করে বাঙালি অধ্যুষিত এলাকাগুলিতে দলীয় প্রার্থীদের সমর্থনে প্রচার করতে বঙ্গ বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্বকে নির্দেশ দিয়েছিল দলের কেন্দ্রীয় পার্টি। নয়াদিল্লির চিত্তরঞ্জন পার্ক (সি আর পার্ক), কালকাজি, গ্রেটার কৈলাসের মতো একাধিক এলাকায় সেইমতো প্রচারও করেছেন দিলীপ ঘোষ, রাহুল সিনহাদের মতো বঙ্গ বিজেপির শীর্ষ নেতারা। দিল্লির বিজেপি প্রার্থীদের হয়ে প্রচার করেছিলেন দলের লোকসভার এমপিরাও। পথসভা, বাড়ি বাড়ি প্রচার, মহল্লা সভার মতো একাধিক কর্মসূচিও নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু বিজেপি প্রার্থীদের কোনও প্রচারই কাজে আসেনি। কালকাজি, গ্রেটার কৈলাসের (সি আর পার্ক এই বিধানসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত) মতো বাঙালি অধ্যুষিত এলাকার ভোটাররা ঢেলে ভোট দিয়েছেন আম আদমি পার্টিকেই (আপ)। দিল্লি বিধানসভা নির্বাচনের ফলাফল প্রকাশ্যে আসতেই তাই তড়িঘড়ি পশ্চিমবঙ্গে প্রচারের অভিমুখ পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন দলীয় নেতারা।
দলীয় নেতৃত্ব মনে করছেন, সিএএ-এনআরসির থেকেও ন্যূনতম পরিষেবা ওই এলাকার মানুষ পাচ্ছেন কি না, সেই ব্যাপারে লক্ষ্য রাখা পশ্চিমবঙ্গের পুর নির্বাচনে বেশি জরুরি। যদিও সিএএ-ইস্যুকে গৌণ করলেও পুর নির্বাচনে সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের এজেন্ডাকে একেবারে মুছে ফেলবে না বিজেপি। বঙ্গ নেতৃত্বকে তেমনই নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্রীয় পার্টি। দলীয় সূত্রের খবর, বিজেপি মনে করছে, সিএএ নিয়ে শহুরে এলাকার মানুষ যত না ভাবছেন, তার তুলনায় অনেক বেশি আতঙ্কিত হয়ে পড়ছেন গ্রামের মানুষেরা। বা শহরতলির বাসিন্দারা। বিরোধীদের ‘ভুল বোঝানো’র কারণেই এই পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে বলে বিজেপি নেতৃত্বের অভিযোগ। এই অবস্থায় পুরভোটে নির্বাচনী প্রচারে প্রধানত স্থানীয় সমস্যা নিয়ে রাজ্যের শাসক দলকে চেপে ধরলেও সিএএ ইস্যুতে আলোচনা জিইয়ে রাখা হবে বলেই ঠিক করেছেন বিজেপি নেতারা।