কর্মরতদের ক্ষেত্রে শুভ। উপার্জন ভাগ্য ভালো। কর্মে উন্নতির যোগ আছে। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সহযোগিতা মিলবে। ব্যবসা ... বিশদ
মাত্র ২৪ ঘণ্টা আগে ওই তেলেঙ্গানা ভবনেই দলের ওয়ার্কিং প্রেসিডেন্ট কেটি রাও বুঝিয়ে দিয়েছিলেন, তেলেঙ্গানায় বিধানসভা কেন্দ্রগুলির পুনর্বিন্যাস হয়নি শুধু নরেন্দ্র মোদির জন্য। ক্ষমতায় জোট সরকার এলে, সেই কাজ দ্রুত এগবে। অর্থাৎ, মোদি ক্ষমতায় না এলেই তাঁদের কার্যসিদ্ধি হবে, তা বুঝিয়ে দিয়েছিলেন ওই কর্তা। তাহলে শ্রীনিবাস কেন অন্য কথা বললেন? তাঁর ব্যাখ্যা, ‘বন্ধু বৎসল’ পার্টি এমআইএমের জন্য একটি আসন ছেড়ে রাখা হয়েছে। রাজ্যের ১৭টির মধ্যে বাকি ১৬টি লোকসভা আসন জেতাই মূল লক্ষ্য এখন। তাহলে দিল্লির সঙ্গে দর কষাকষির অধিকার, জোর থাকবে। সেক্ষেত্রে কেসিআরের হাতে যে প্রকল্পগুলি তেলেঙ্গানায় জনপ্রিয় হয়েছে, সেগুলি দিল্লিতে প্রতিষ্ঠা করার সুযোগ বাড়বে। তাঁর কথায়, ‘কৃষকদের আর্থিক অনুদান, বিমা, সেচ, বয়স্ক নাগরিকদের সামাজিক সুরক্ষায় অর্থ সাহায্য প্রভৃতি প্রকল্পগুলির প্রশংসা করেছে নানা রাজ্য। এক্ষেত্রে যে দল তাঁদের প্রকল্পগুলির মূল কাঠামোটিকে অগ্রাধিকার দেবে, তাঁরা সেই দলের সঙ্গে যাবেন। সেক্ষেত্রে বিজেপি এগিয়ে এলে, তাঁদের সঙ্গে যেতে বাধা নেই বলেই জানিয়েছেন রেড্ডি। তবে কংগ্রেসের সঙ্গে দর কষাকাষির রাস্তা এখনই একেবারে বন্ধ করে দিতে নারাজ তিনি।
চন্দ্রশেখর রাও সাম্প্রতিককালে যে দু’বার কলকাতায় এসেছেন, তিনি দিল্লিতে অকংগ্রেস ও অবিজেপি সরকার গড়ার কথাই বলেছেন। তাঁর পাশে দাঁড়িয়ে বিজেপির বিরুদ্ধে তোপ দেগেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। কিন্তু এখন ভোটের মুখে এসে টিআরএস যে ততটা কঠিন মনোভাব নিতে পারছে না, তা বুঝিয়েছেন শ্রীনিবাস। তিনি বলেন, ‘ভোটের বাস্তব বড় কঠিন। তাই আগে থেকে রুট ঠিক করে রাখাও কঠিন। আমাদের প্রধান লক্ষ্য নিজেদের ক্ষমতা বাড়ানো। তারপর দিল্লির দিকে চাইব।’ আপাতত ভোট বৈতরণী পার করাটাই বড় পরীক্ষা।