কর্মরতদের ক্ষেত্রে শুভ। উপার্জন ভাগ্য ভালো। কর্মে উন্নতির যোগ আছে। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সহযোগিতা মিলবে। ব্যবসা ... বিশদ
ভোটের কুরুক্ষেত্রে এবারই প্রথম কলানিধি বীরস্বামী। তিনি প্রাক্তন মন্ত্রী আরকট বীরস্বামীর ছেলে। কলানিধিকে প্রার্থী করা হয়েছে উত্তর চেন্নাই থেকে। আরও এক প্রয়াত নেতার মেয়ে থামিলাচি থাঙ্গাপান্ডিয়ানকে প্রার্থী করা হয়েছে দক্ষিণ চেন্নাই আসনে। কলানিধি বীরস্বামীর দাবি, লড়াই মোটেও সহজ নয়। কারণ একসময় দলের শক্ত ঘাঁটি উত্তর চেন্নাই আসনটি এবার এআইএডিএমকের দখল থেকে ছিনিয়ে আনার ভার তাঁর উপর দিয়েছে দল। তাঁর বক্তব্য, গতবার বিধানসভা নির্বাচনে আমাকে টিকিট দেওয়া হয়নি। আমাদের টিকিট দেওয়া হোক বা না হোক, আমরা ডিএমকে পরিবারের মতো। পরস্পরের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে চলি।
ডিএমকের শরিক কংগ্রেস শিবগঙ্গা আসনে প্রার্থী করেছে কার্তি চিদম্বরমকে। কার্তি প্রবীণ নেতা তথা প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী পি চিদম্বরমের ছেলে। প্রদেশ কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতি কৃষ্ণস্বামীর ছেলে তথা প্রাক্তন বিধায়ক বিষ্ণু প্রসাদকেও লোকসভা ভোটে প্রার্থী করেছে রাহুল গান্ধীর দল। ক্ষমতাসীন এআইএডিএমকে শিবিরও নেতার ছেলেদের প্রার্থী করার এই দৌড় থেকে পিছিয়ে নেই। দলের চার নেতার ছেলে এবার টিকিট পেয়েছেন। সেই তালিকায় রয়েছেন উপ-মুখ্যমন্ত্রী পনিরসেলভামের ছেলে রবীন্দ্রনাথ। প্রার্থী করা হয়েছে প্রাক্তন স্পিকার বি এইচ পান্ডিয়ানের ছেলে মনোজকে। এবারও প্রার্থী হয়েছেন মৎস্যমন্ত্রী জয়কুমারের ছেলে জয়বর্ধন। এনডিএ শরিক পিএমকে সুপ্রিমো রামদাসের ছেলে আম্বুমনিকে এবারও প্রার্থী করা হয়েছে। ধর্মপুরী লোকসভা আসন থেকে ভোটে লড়ছেন তিনি।
তামিল রাজনীতির এই পরিবারতন্ত্র নিয়ে বিভিন্ন প্রতিক্রিয়া শোনা যাচ্ছে। কেউ বলছেন, নতুন প্রজন্মকে সুযোগ করে দেওয়ার মধ্যে দোষের কী! আবার বিভিন্ন দলের নিচু তলার কর্মীদের একটা অংশ প্রশ্ন তুলছেন। প্রকাশ্যে না বললেও তাঁদের চাপা ক্ষোভ, অনেকেই তো ছিলেন যাঁরা প্রার্থী হিসেবে আরও যোগ্য। এমনিতে এবার তামিলনাড়ু থেকে দেশের মধ্যে সবচেয়ে বেশি বেহিসেবি নগদ উদ্ধার হয়েছে। তারই মধ্যে প্রায় সব দলেই পরিবারতন্ত্রের এই বাড়বাড়ন্ত নিয়ে চলছে গুঞ্জন। অনেকেই প্রশ্ন তুলছেন, নির্বাচিত হলে এই প্রার্থীরা এলাকার উন্নয়নের জন্য কাজ করবেন, নাকি পরিবারের জন্য?